ইরান-বাংলাদেশের যৌথ প্রযোজনায় ‘ফেরেশতে’ আসছে শুক্রবার

বিনোদন রিপোর্টার
প্রকাশ : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৬: ১১

ইরানের জনপ্রিয় নির্মাতা মুর্তজা অতাশ জমজমের আগে অনন্ত জলিলের সঙ্গে ‘দিন : দ্য ডে’ নামের একটি সিনেমা করেছিলেন যৌথ প্রযোজনায়। সেই সিনেমার অভিজ্ঞতা তিক্ত হলেও বাংলাদেশে কাজ বন্ধ রাখেননি তিনি। বাংলাদেশি প্রযোজক সুমন ফারুকের সঙ্গে নির্মাণ করেছেন ‘ফেরেশতে’ নামের একটি সিনেমা। যার শুটিং হয়েছিল তিন বছর আগে। বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ কিছু চলচ্চিত্র উৎসব মাতিয়ে এবার ফেরেশতে মুক্তি পাচ্ছে বাংলাদেশে। প্রযোজক জানান আগামী শুক্রবার দেশের সব সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পেতে যাচ্ছে সিনেমাটি।

প্রযোজক ও এই সিনেমার অভিনেতা সুমন ফারুক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, তিন বছর আগে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে সিনেমার দৃশ্যধারণ করেন ইরানি নির্মাতা মুর্তজা অতাশ জমজম। পরিচালক সমাজের প্রান্তিক মানুষের জীবনের গল্প তুলে ধরেছেন এ চলচ্চিত্রে। সিনেমায় অভিনয়ের পাশাপাশি সহ-প্রযোজনা করেছেন জয়া আহসান। বর্তমানে কলকাতায় আছেন এই অভিনেত্রী। গত ৭ সেপ্টেম্বর সেখানে একটি অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে অংশ নিতে যান তিনি। কলকাতার কিছু কাজ সেরে এই সপ্তাহে ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে জয়ার। এরপর নামবেন সিনেমার প্রচার কাজে। এই কাজটিকে জয়া ‘চ্যালেঞ্জিং’ হিসেবে বর্ণনা করেছে। জয়া বলেন, ‘আমাদের দেশের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের ভেতরে যে সংগ্রামী ও সাহসী চরিত্র রয়েছে, তাদেরই একজনের ভূমিকায় আমি অভিনয় করেছি। পুরো টিম সহযোগিতা করায় শুটিং সুষ্ঠুভাবে শেষ করা সম্ভব হয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

নির্মাণের পর সিনেমাটি দেখানো হয়েছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক উৎসবে। ইরানের মর্যাদাপূর্ণ ফজর চলচ্চিত্র উৎসবে মানবিক বার্তার জন্য সিনেমাটি পুরস্কারও জিতেছে। এছাড়া ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব, ভারতের গোয়া আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবেও প্রশংসিত হয়েছে ‘ফেরেশতে’। সুমন ফারুক বলেন, ‘আমরা যেমন বিদেশি সিনেমা দেখে তাদের সংস্কৃতি জানতে পারি, তেমনি ফেরেশতে আমাদের সমাজ-সংস্কৃতির গল্প তুলে ধরেছে। প্রান্তিক মানুষের যে গল্প উচ্চবিত্ত সমাজ সহজে ভাবে না, সেই গল্প বলেছে সিনেমাটি। বিদেশে প্রচুর প্রশংসা পেয়েছি, এবার আমাদের দেশের দর্শকরা হাততালি দেবেন বলে আশা করছি।’ জয়া আহসান ও সুমন ফারুক ছাড়াও সিনেমায় আরো অভিনয় করেছেন শহীদুজ্জামান সেলিম, শাহেদ আলী, রিকিতা নন্দিনী শিমু, শাহীন মৃধা এবং শিশুশিল্পী সাথী। প্রযোজনার দায়িত্বে ছিলেন এই অভিনেতাও। ‘ফেরেশতে’র চিত্রনাট্য লিখেছেন বাংলাদেশের মুমিত আল-রশিদ, যিনি ফার্সি ও বাংলার অনুবাদেও কাজ করেছেন ফয়সাল ইফরানের সঙ্গে।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত