বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বর্ষপূর্তিতে বাঁধনের বক্তব্য

জনগণের অর্থে কেনা বন্দুক তাক করেছিল নিজের নাগরিকদের দিকে

বিনোদন রিপোর্টার
প্রকাশ : ০১ জুলাই ২০২৫, ১৭: ২৮
আপডেট : ০২ জুলাই ২০২৫, ১৩: ১৬

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে ২০২৪ সালের জুলাইয়ের প্রথম দিন থেকেই রাস্তায় নেমেছিল সাধারণ শিক্ষার্থীরা। কিন্তু তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার শিক্ষার্থীদের এই দাবি নিয়ে শুরু করে তালবাহানা। ক্রমশ আন্দোলনরতদের ওপর শুরু হয় রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়ন। বাড়তে থাকে হতাহতের সংখ্যা। এমন পরিস্থিতিতে সেই কোটা সংস্কার আন্দোলন রূপ নেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে।

শুরু থেকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার পক্ষে ছিলেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। আন্দোলনের সঙ্গে একত্বতা প্রকাশ করে শুরুতে সামাজিক মাধ্যমে, এরপর সশরীরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে রাজপথেও সরব ছিলেন তিনি। আজ মঙ্গলবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বর্ষপূর্তিতে সেই সময় ও এই সময় নিয়ে কথা জানালেন এই অভিনেত্রী।

বিজ্ঞাপন

সামাজিক মাধ্যমে বাঁধন লিখেছেন,’জুলাই মাসের বিদ্রোহ আমার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলির মধ্যে একটি। এটি আমাকে আশা জুগিয়েছিল—এটি আমাকে আমার দেশের জনগণের পাশে দাঁড়ানোর সাহস জুগিয়েছিল। সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্তটা কোনো সহজ সিদ্ধান্ত ছিল না। কিন্তু আমি তা করেছিলাম এবং একটি নতুন ভবিষ্যতের সম্ভাবনায় বিশ্বাস করেছিলাম ।‘

বাঁধন বলেন, ‘আমরা এমন একটি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ ছিলাম যারা জনগণের নিজস্ব অর্থ দিয়ে কেনা বন্দুকগুলি তাক করেছিল তার জনগণের দিকে। কোনো কারণ ছাড়া মানুষকে গ্রেফতার করা হচ্ছিল। নির্দোষ মানুষ প্রাণ হারাচ্ছিল। রিয়া মনির মতো ছোট মেয়েদের জীবন দিতে হয়েছিল, কিন্তু তারা বুঝেই উঠতে পারেনি কেন জীবন দিচ্ছে!’

তিনি আরও বলেন, সেই দিনগুলিতে, আমরা একসাথে দাঁড়িয়েছিলাম—আমাদের অধিকারের জন্য, আমাদের জাতির জন্য। এটি ছিল এমন একটি মুহূর্ত যেখানে আমরা আরও ভালো কিছুর স্বপ্ন দেখার সাহস করেছিলাম, এবং আমি সর্বদা সেই সাহস এবং সেই আশা আমার সাথে বহন করব।‘

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত