এফডিসিতে নেই কোনো আয়োজন

নায়ক রাজ রাজ্জাকের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

বিনোদন রিপোর্টার
প্রকাশ : ২১ আগস্ট ২০২৫, ০৯: ০০
আপডেট : ২১ আগস্ট ২০২৫, ১৪: ১৬

আজ ‘নায়ক রাজ’ খ্যাত চলচ্চিত্র অভিনেতা রাজ্জাকের চলে যাবার দিন। ২০১৭ সালের এই দিনে তিনি এই পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে পরপারে চলে যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৭৫ বছর। তার তিন ছেলের মধ্যে দুই ছেলে বাপ্পারাজ ও সম্রাট অভিনয়ের সাথে সম্পৃক্ত হলেও আরেক ছেলে বাপ্পী দেশের বাইরেই স্থায়ী হয়েছেন। বাবার মৃত্যুর পর এফডিসিতেও নায়ক রাজ পরিবারের যাওয়া আসা একেবারেই কমে গেছে।

জানা যায়, নায়ক রাজের মৃত্যু বার্ষিকীকে ঘিরে এফডিসিতে প্রতিষ্ঠিত কোনো সমিতিরই বিশেষ কোনো আয়োজন নেই। তবে গণমাধ্যমগুলো নায়ক রাজের এই জন্মদিনে বিশেষ শ্রদ্ধা জানানোর উদ্যোগ নিয়েছে। বিশেষত বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে নায়ক রাজের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করেছে, যা সবসময়ই করে আসে গণমাধ্যমগুলো।

বিজ্ঞাপন

বাবার মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষ্যে নায়ক রাজ রাজ্জাকের ছোট ছেলে সম্রাট বলেন, ‘সত্যি বলতে কী দিন যত যাচ্ছে যে কারো জন্মদিন নিয়ে উচ্ছাসটা যেমন কমে যাচ্ছে। আর প্রয়াণ দিবসতো তেমন কেউ মনেই রাখেন না। একটা সময় আব্বুর জন্মদিনে বড় পার্টি হতো। সেইসময়টা খুব উপভোগ করতাম। কিন্তু এখনতো আসলে বিশেষ দিন বলেই যে এমন নয়, আব্বুর জন্য সবসময়ই দোয়া করি। আজকেও যথারীতি পারিবারিকভাবেই আব্বুর প্রয়াণ দিবসটি নিজেদের মতো করেই কাটিয়ে দেবো। আমি সবসময়ই আব্বুর কবরের কাছে যাই, আজকেও যাবো। আল্লাহর কাছে দোয়া করে শুধু এতটুকুই বলবো-আল্লাহ যেন আমার আব্বুকে বেহেস্ত নসিব করেন। আব্বু কোনোদিন কাউকে কোনো কষ্ট দিয়ে থাকলে যেন ক্ষমা করে দেন। শুধু দোয়া চাই সকলের কাছে। আব্বুর জন্মদিনে বা প্রয়াণ দিবসে কেউ বিশেষ আয়োজন করলেন কী করলেন না এসব নিয়ে আমাদের সত্যিই কোনো ভাবনা নেই।’

বহুবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এবং স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত নায়ক রাজ রাজ্জাক ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। উল্লেখ্য, নায়ক রাজের ৭৫’তম জন্মদিনে ওমর ফারুকের লেখা ও বাপ্পা মজুমদারের সুর সঙ্গীতে ‘নায়ক রাজ’ শিরোনামের একটি গান করা হয়েছিলো। গানটির সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন অভি মঈনুদ্দীন, গানটি প্রযোজনা করেছিলেন আরশাদ আদনান। গানটি গেয়েছিলেন কুমার বিশ্বজিৎ, ফাহমিদা নবী, বাপ্পা মজুমদার ও আঁখি আলমগীর।

বাংলাদেশের সিনেমায় আজ থেকে ৫৮ বছর আগে অর্থাৎ ১৯৬৬ সালে ‘১৩ নং ফেকু ওস্তাগার লেন’ সিনেমায় ছোট্ট একটি চরিত্রে অভিনয় করে চলচ্চিত্রে অভিনয়ে তার যাত্রা শুরু হয়। তবে জহির রায়হানের ‘বেহুলা’ সিনেমায় অন্যতম প্রধান চরিত্রে অভিনয় করে চলচ্চিত্রে নিজের অবস্থান গড়ে নেন। এরপর থেকে টানা কয়েকদশক প্রধান নায়ক হিসেবেই তিনি অভিনয় করে গেছেন।

তার অভিনীত অনেক উল্লেখযোগ্য সিনেমা রয়েছে। যার মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ‘কাগজের নৌকা’, ‘রংবাজ’, ‘আমার জন্মভূমি’, ‘স্বপ্ন দিয়ে ঘেরা’, ‘স্লোগান’, ‘ঝড়ের পাখি’, ‘স্বরলিপি’, ‘আলোর মিছিল’, ‘বেঈমান’, ‘আবির্ভাব’, ‘মনের মতো বউ’, ‘জীবন থেকে নেয়া’, ‘দর্পচূর্ণ’, ‘যে আগুনে পুড়ি’, ‘টাকা আনা পাই’, ‘নাচের পুতুল’, ‘ওরা ১১ জন’, ‘অবুঝ মন’, ‘অনন্ত প্রেম’, ‘ছুটির ঘণ্টা’, ‘আনার কলি’, ‘রজনীগন্ধা’, ‘বড় ভালো লোক ছিলো’, ‘তওবা’, ‘চাপা ডাঙ্গার বউ’, ‘সন্ধি’ ইত্যাদি।

বিষয়:

রাজ্জাক
এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত