ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তর

প্রতিনিধি, পবিপ্রবি

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) অধ্যাপক ড. জিল্লুর রহমান সম্প্রতি মারা গেছেন। তিনি ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা ও রিজেন্ট বোর্ডের সদস্য ছিলেন। তার মৃত্যুতে পদ দুটি খালি হয়।
শূন্যস্থান পূরণে অধ্যাপক ড. সুজাহাঙ্গীর কবির সরকারকে ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক এবং রিজেন্ট বোর্ডের সদস্য হিসেবে অধ্যাপক ড. মামুন অর রশিদকে নিয়োগ দেওয়া হয়। এতে নাখোশ হয়ে কার্যালয়েই তালা ঝুলিয়ে দেন বিশ্ববিদ্যালয়টির সহযোগী অধ্যাপক এবিএম সাইফুল ইসলাম।
অধ্যাপক জিল্লুর জামায়াতপন্থি শিক্ষক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তার মৃত্যুতে ওই পদে (সমমর্যাদায়) জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে যাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, তিনিও একই আদর্শের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
তবে রিজেন্ট বোর্ডের সদস্য হওয়া অধ্যাপক মামুন বিএনপিপন্থি। কিন্তু সহযোগী অধ্যাপক সাইফুল নিজেকে বিএনপির বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের বড় নেতা দাবি করে ওই পদ চাইছেন। অথচ তিনি ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন থাকায় নিয়োগ পাওয়ার আগ পর্যন্ত ছাত্র উপদেষ্টার দায়িত্ব (ভারপ্রাপ্ত) পালন করেন অধ্যাপক সুজাহাঙ্গীর।
বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-কর্মকর্তার বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, রিজেন্ট বোর্ডের সদস্য, রেজিস্ট্রার, প্রক্টরসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের উল্লেখযোগ্য ২৮ পদের মধ্যে ২৩ পদে বিএনপিপন্থি শিক্ষকরা আছেন।
অবশিষ্ট পাঁচটি পদে আছেন জামায়াতপন্থি শিক্ষকরা। এমনকি হত্যা, নারী কেলেঙ্কারি, দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অভিযোগ থাকার পরও শুধু বিএনপিপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন ইউট্যাব পবিপ্রবি ইউনিটের সভাপতি পদের কারণে অধ্যাপক মামুনকে রিজেন্ট বোর্ডের সদস্য নিয়োগ করা হয়। এসব অভিযোগের প্রমাণ প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষিত আছে।
এরপরও ছাত্র উপদেষ্টার পদ না পাওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় জামায়াতিকরণ করা হচ্ছে বলে বিভিন্ন জায়গায় বলে বেড়াচ্ছেন সহযোগী অধ্যাপক সাইফুল। তিনি নিজেকে বিএনপিপন্থি শিক্ষক ও বিএনপিপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন ইউট্যাবের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এবং পবিপ্রবি ইউট্যাবের সাংগঠনিক সম্পাদক দাবি করে ছাত্রবিষয়ক উপ-উপদেষ্টার পদ থেকে ইস্তফা দেন। তার দাবি, তিনি সহযোগী অধ্যাপক হলেও সিনিয়র, অপরদিকে নিয়োগ পাওয়া অধ্যাপক সুজাহাঙ্গীর জুনিয়র।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, অধ্যাপক সুজাহাঙ্গীর গ্রেড-২-এর অধ্যাপক এবং দেশের বাইরে থেকে পিএইচডি, পোস্ট-ডক ডিগ্রিধারী। অপরদিকে সহযোগী অধ্যাপক সাইফুল গ্রেড-৪-এর কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশ থেকে পিএইচডি ডিগ্রিধারী।
কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থী হুসাইন আল মামুন বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর শিক্ষকদের এমন দখলদারি মনোভাব আমাদের ভাবাচ্ছে। শিক্ষা ও গবেষণার অগ্রগতির দিকে লক্ষ না রেখে পদ দখলের প্রতিযোগিতা দুঃখজনক। সাবেক শিক্ষার্থী মুশফিকুর রহমান বলেন, জুলাই বিপ্লবপরবর্তী বাংলাদেশে এমন আগ্রাসন চরম হতাশাজনক।
কার্যালয়ে তালা লাগানোর কথা স্বীকার করে সহযোগী অধ্যাপক সাইফুল বলেন, ‘ড. জিল্লুর রহমানের মৃত্যুর পর আমি নিজ উদ্যোগে নিজস্ব একটি তালা পরিচালকের কক্ষে লাগিয়ে দেই। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি কোনো ইনভেন্টরি কমিটি গঠন করে, আমি কেবল ওই কমিটির কাছেই চাবি হস্তান্তর করব।’
অধ্যাপক সুজাহাঙ্গীর কীভাবে তার জুনিয়র জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা দুজনই ২০০৭ সালের একই দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করি। বিগত বছরগুলোয় আমি বঞ্চিত হয়েছি, আমাকে পদোন্নতি দেওয়া হয়নি। ড. সুজাহাঙ্গীর আমার চেয়ে বয়সে ছোট, তাই আমাকে দায়িত্ব না দিয়ে আমার জুনিয়রকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এমন বিবৃতি দিয়েছি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমি রাজনৈতিক পরিচয়ের চেয়ে যোগ্যতাকে প্রাধান্য দিয়ে শিক্ষকদের পদায়ন করেছি। কারো স্বার্থ হাসিলের লক্ষ্যে এমন হীন কর্মকাণ্ড অত্যন্ত দুঃখজনক। এসব করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ক্ষুণ্ণ করা হচ্ছে, নষ্ট করা হচ্ছে শিক্ষকদের ভাবমূর্তি। এমন কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখলে বিধি অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) অধ্যাপক ড. জিল্লুর রহমান সম্প্রতি মারা গেছেন। তিনি ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা ও রিজেন্ট বোর্ডের সদস্য ছিলেন। তার মৃত্যুতে পদ দুটি খালি হয়।
শূন্যস্থান পূরণে অধ্যাপক ড. সুজাহাঙ্গীর কবির সরকারকে ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক এবং রিজেন্ট বোর্ডের সদস্য হিসেবে অধ্যাপক ড. মামুন অর রশিদকে নিয়োগ দেওয়া হয়। এতে নাখোশ হয়ে কার্যালয়েই তালা ঝুলিয়ে দেন বিশ্ববিদ্যালয়টির সহযোগী অধ্যাপক এবিএম সাইফুল ইসলাম।
অধ্যাপক জিল্লুর জামায়াতপন্থি শিক্ষক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তার মৃত্যুতে ওই পদে (সমমর্যাদায়) জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে যাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, তিনিও একই আদর্শের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
তবে রিজেন্ট বোর্ডের সদস্য হওয়া অধ্যাপক মামুন বিএনপিপন্থি। কিন্তু সহযোগী অধ্যাপক সাইফুল নিজেকে বিএনপির বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের বড় নেতা দাবি করে ওই পদ চাইছেন। অথচ তিনি ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন থাকায় নিয়োগ পাওয়ার আগ পর্যন্ত ছাত্র উপদেষ্টার দায়িত্ব (ভারপ্রাপ্ত) পালন করেন অধ্যাপক সুজাহাঙ্গীর।
বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-কর্মকর্তার বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, রিজেন্ট বোর্ডের সদস্য, রেজিস্ট্রার, প্রক্টরসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের উল্লেখযোগ্য ২৮ পদের মধ্যে ২৩ পদে বিএনপিপন্থি শিক্ষকরা আছেন।
অবশিষ্ট পাঁচটি পদে আছেন জামায়াতপন্থি শিক্ষকরা। এমনকি হত্যা, নারী কেলেঙ্কারি, দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অভিযোগ থাকার পরও শুধু বিএনপিপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন ইউট্যাব পবিপ্রবি ইউনিটের সভাপতি পদের কারণে অধ্যাপক মামুনকে রিজেন্ট বোর্ডের সদস্য নিয়োগ করা হয়। এসব অভিযোগের প্রমাণ প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষিত আছে।
এরপরও ছাত্র উপদেষ্টার পদ না পাওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় জামায়াতিকরণ করা হচ্ছে বলে বিভিন্ন জায়গায় বলে বেড়াচ্ছেন সহযোগী অধ্যাপক সাইফুল। তিনি নিজেকে বিএনপিপন্থি শিক্ষক ও বিএনপিপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন ইউট্যাবের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এবং পবিপ্রবি ইউট্যাবের সাংগঠনিক সম্পাদক দাবি করে ছাত্রবিষয়ক উপ-উপদেষ্টার পদ থেকে ইস্তফা দেন। তার দাবি, তিনি সহযোগী অধ্যাপক হলেও সিনিয়র, অপরদিকে নিয়োগ পাওয়া অধ্যাপক সুজাহাঙ্গীর জুনিয়র।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, অধ্যাপক সুজাহাঙ্গীর গ্রেড-২-এর অধ্যাপক এবং দেশের বাইরে থেকে পিএইচডি, পোস্ট-ডক ডিগ্রিধারী। অপরদিকে সহযোগী অধ্যাপক সাইফুল গ্রেড-৪-এর কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশ থেকে পিএইচডি ডিগ্রিধারী।
কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থী হুসাইন আল মামুন বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর শিক্ষকদের এমন দখলদারি মনোভাব আমাদের ভাবাচ্ছে। শিক্ষা ও গবেষণার অগ্রগতির দিকে লক্ষ না রেখে পদ দখলের প্রতিযোগিতা দুঃখজনক। সাবেক শিক্ষার্থী মুশফিকুর রহমান বলেন, জুলাই বিপ্লবপরবর্তী বাংলাদেশে এমন আগ্রাসন চরম হতাশাজনক।
কার্যালয়ে তালা লাগানোর কথা স্বীকার করে সহযোগী অধ্যাপক সাইফুল বলেন, ‘ড. জিল্লুর রহমানের মৃত্যুর পর আমি নিজ উদ্যোগে নিজস্ব একটি তালা পরিচালকের কক্ষে লাগিয়ে দেই। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি কোনো ইনভেন্টরি কমিটি গঠন করে, আমি কেবল ওই কমিটির কাছেই চাবি হস্তান্তর করব।’
অধ্যাপক সুজাহাঙ্গীর কীভাবে তার জুনিয়র জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা দুজনই ২০০৭ সালের একই দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করি। বিগত বছরগুলোয় আমি বঞ্চিত হয়েছি, আমাকে পদোন্নতি দেওয়া হয়নি। ড. সুজাহাঙ্গীর আমার চেয়ে বয়সে ছোট, তাই আমাকে দায়িত্ব না দিয়ে আমার জুনিয়রকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এমন বিবৃতি দিয়েছি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমি রাজনৈতিক পরিচয়ের চেয়ে যোগ্যতাকে প্রাধান্য দিয়ে শিক্ষকদের পদায়ন করেছি। কারো স্বার্থ হাসিলের লক্ষ্যে এমন হীন কর্মকাণ্ড অত্যন্ত দুঃখজনক। এসব করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ক্ষুণ্ণ করা হচ্ছে, নষ্ট করা হচ্ছে শিক্ষকদের ভাবমূর্তি। এমন কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখলে বিধি অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আন্দোলনে অংশ নেওয়া ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী দেলোয়ার হোসেন শিশির বলেন, আমরা স্পষ্টভাবে বলছি, শাকসু বানচালের চেষ্টা চলছে। শিক্ষার্থীরা এটা কোনোভাবেই মেনে নেবে না। যদি আগামী সোমবার ভিসি এসে নির্বাচন কমিশন গঠন করে রোডম্যাপ ঘোষণা না করেন, তাহলে প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের...
৩ ঘণ্টা আগে
সংগঠনের তথ্য, উপহার প্রদান, অনুভূতি বক্স এবং মেহেদি দেওয়ার জন্য উৎসবের ছাউনিতে চারটি আলাদা বুথ। সেখানে ছিল নারী শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ। আয়োজকরা নতুন সদস্য আহ্বান ও প্রচারপত্র বিলি করেন। ফটকের সামনে একটি ব্যানারে লেখা, ‛প্রিয় ভাইয়েরা, ভেতরে প্রবেশ ও উঁকি মারা থেকে বিরত থাকুন।’
৩ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দীন বলেছেন, ছাত্রদল নেতা ও পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী জোবায়েদ হোসাইন হত্যাকাণ্ডে প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে—কেউ যেন আইনের ফাঁক দিয়ে কেউ বেরিয়ে না যায়।
৪ ঘণ্টা আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী রিয়াদ হাসানের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বোরকা ও পর্দাশীল নারীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে। এই মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা।
৫ ঘণ্টা আগে