ময়মনসিংহের নটরডেম কলেজ

১৯ দফা দাবিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি

ময়মনসিংহ অফিস
প্রকাশ : ১৪ আগস্ট ২০২৫, ২০: ০৭

ময়মনসিংহে নটরডেম কলেজে আট শিক্ষকের বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারির প্রতিবাদ, বৈষম্য দূরীকরণসহ ১৯ দফা দাবিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ করেছেন।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কলেজের প্রশাসনিক ভবনের সামনে প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থী ও বৈষম্যের শিকার শিক্ষকরা এ কর্মসূচিতে অংশ নেয়।

বিজ্ঞাপন

কলেজ সূত্রে জানা যায়, গত ৪ আগস্ট রসায়ন, পদার্থ বিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা এবং ইংরেজি বিভাগের মোট আটজন প্রভাষককে শোকজ করা হয়। কলেজের অধ্যক্ষ ফাদার থাদেউস হেম্ব্রম স্বাক্ষরিত নোটিশে অভিযোগ আনা হয়, গত ২৯ জুলাই কয়েকজন শিক্ষক বিভিন্ন দাবি নিয়ে ক্লাস বর্জন করেন।

যা ৩১ জুলাই গভর্নিং বডির জরুরি সভায় কলেজের আচরণবিধি ভঙ্গ হিসেবে বিবেচিত হয়। এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে কলেজের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মানহানি, শিক্ষার্থীদের উস্কানি এবং ক্লাস বর্জনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুণ্ন করার অভিযোগ আনা হয়। নোটিশে সাত কার্যদিবসের মধ্যে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়, অন্যথায় তদন্ত সাপেক্ষে একতরফা ব্যবস্থা নেওয়ার সতর্কবার্তা দেওয়া হয়।

তবে শিক্ষকদের দাবি, কলেজ কর্তৃপক্ষ স্বৈরাচারী কায়দায় বছরের পর বছর ধরে বৈষম্যমূলক আচরণ করছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে। নায্য দাবি করায় কর্তৃপক্ষ চাকুরি থেকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর মতোও হুমকি দিয়ে আসছে। আন্দোলন শিক্ষার্থীদের দাবি, শিক্ষার অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদ জানালেই কলেজের কতিপয় কিছু শিক্ষক ডেকে নিয়ে বিভিন্ন ধরণের হুমকি দেন।

এসব ঘটনার প্রেক্ষিতে আজ সকাল সাড়ে ১০টা থেকে শোকজপ্রাপ্ত শিক্ষক এবং প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থী প্রশাসনিক ভবনের নিচে অবস্থান নেন। দুপুর ২টা পর্যন্ত কর্মসূচি চলে। পরে আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা কলেজ ক্যাম্পাস থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অবস্থান নেয়। জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম নটরডেম কলেজ কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি সুরাহা করার জন্য তার কার্যালয়ে ডেকেছেন।

শিক্ষক মো. আতাউর রহমান জানান, প্রায় এক মাস ধরে ১৯ দফা শিক্ষার্থী-শিক্ষকবান্ধব দাবি নিয়ে কলেজ প্রশাসন ও জেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু আলোচনায় না বসে কর্তৃপক্ষ শোকজ করেছে।

তিনি অভিযোগ করেন, যে শিক্ষক শিক্ষার্থী কলেজ কর্তৃপক্ষের বিপক্ষে অবস্থান নিবে তাকে চাকরি থেকে বহিষ্কার করা হবে।

কলেজের ছাত্র পরিচালক ফাদার মৃনাল ম্রং জানান, শিক্ষকদের দাবি-দাওয়ার অনেকগুলোই মেনে নেয়া হয়েছে এবং বাকিগুলো আলোচনাধীন। তবে ক্লাস বর্জন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখালেখির কারণে আট শিক্ষককে শোকজ দেওয়া হয়েছে। আজ রাত পর্যন্ত জবাব দেওয়ার সময় ছিল।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত