
জাবালুন নূর

যে ফ্যাসিস্ট গত ৫ আগষ্ট পালিয়েছে সে তার ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখতে যে বলয় তৈরী করেছিলো সেখানে বিদ্বেষ বিভাজন ও অপরায়ন সবটাই ছিলো। কয়েক দিনে আগে ইউটিউবে প্রকাশিত নেত্র নিউজের একটি গুম নিয়ে প্রতিবেদন দেখছিলাম।
একটি দেশের শাসকগোষ্ঠী তার দেশের জনগণকে কতটা ডিসওন করলে তাকে এমন অমানবিক জীবনযাপনে বাধ্য করতে পারে! আসলে আওয়ামী লীগ ও তার মতাদর্শের মানুষগুলো তাদের ছাড়া আর কাউকে মানুষ হিসেবে মনেই করেনি, এজন্য দেশের ভিন্ন মতের মানুষগুলোর ওপর চূড়ান্ত অমানবিক হতে দ্বিধা করেনি।
আওয়ামী বিভাজনের মূলউপাদান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, বিদ্বেষের উপাদানও তাই। সাথে তেতুলের মত যোগ হতো ধর্মীয় উগ্রবাদ। হাসিনা ও তার দল যারা তার না সেসব দল ও গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আলাদা আলাদা গোষ্ঠী তৈরী করেছিলো। তারা আলাদাভাবে মাঠে সক্রিয় ছিলো। তবে অবশেষে তার বলয় ভেঙ্গে গেল, কারন বিরোধীমতের সবাই তাদের বিভক্তি ভূলে মাঠে নেমেছিলো। মাঠে নেমেছিলো রাজনৈতিক পরিচয়হীন নাহিদ আসিফদের ডাকে।
হাসিনা পলায়নের একবছর পেরিয়ে আগামীকাল দেশের একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্ররা প্রথম তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবে। বোধকরি ডাকসু ঘিরে তাই সবাই এত উচ্ছসিত। এবারের ডাকসু নির্বাচনের প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার নেয়ার সুযোগ হয়েছিলো। ডাকসুকে ঘিরে আমি দেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব দেথতে পেয়েছি। প্রার্থীদের কেউ কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশ নবাগত ।
প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা হল সংসদের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষ পড়া এক ছাত্রের সাথে কথা বলে অভিভূত হলাম জানতে চাইলাম কেন এত জুনিয়র হয়ে নির্বাচনে কি করতে চান ? একই প্রশ্ন করেছিলাম একজন ছাত্রীর কাছেও - জাবাটা কাছাকাছি ছিলো তাদের। তারা বললো আমি সততার সাথে দ্বায়িত্ব পালন করতে চাই।
ডাকসু পদধারী আমার কমিটির অন্যরা যেন অসৎ পন্থা অবলম্বণ না করতে পারে সেটা ঠেকাতে চাই। সত্যিই অভাবনীয়! দলীয় ব্যানারের বাইরেও অসংখ্য স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ডাকসুতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, যেন তাদের অধিকার নিয়ে আর কেউ রাজনীতি না করতে পারে।
তবে ডাকসু ঘিরে রাজনৈতিক মারপ্যাচ থেমে নেই। সবচয়ে সক্রিয় বিভাজন আর অপরায়নের রাজনীতি করতে চায় যারা সেই গ্রুপ । তাইতো সর্বশেষ ডাকসুর প্রার্থীদের প্রচারণা থেমে যাওয়ার পরও আমরা রাতের আধারে ছাত্র ইউনিয়নকে পোষ্টার লাগাতে দেখি যেখানে লেখা থাকে তোমাদের শিক্ষকদের হত্যাকারীদের ভোট দিওনা। কোন কোন সোকল্ড ইউটিউবার বুদ্ধিজীবীদের দেখি ব্যাক্তি ভালো হলেও নিদৃষ্ট আদর্শের প্যানেলে ভোট না দেয়ার প্রচারণা চালাতে।
আবার কিছুসংখ্যক ক্রিয়াশিলদের দেখি প্রার্থীদেরকে র্ধমীয় মাপকাঠিতে বিচার করতে। যেন ডাকসু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যা সমাধানের চেয়ে রাজনৈতিক সমস্যাই বেশি সমাধান করবে। প্রকৃত কথা এই যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ডাকসুর মাধ্যমে তাদের শিক্ষাঙ্গনের জন্য রাষ্ট্রের কাছ থেকে প্রাপ্য হিস্যাটাই বুঝে নিতে চায়। আমার বিশ্বাস জেন-জি তাদের এই হিস্যা বুঝে নেয়ার কাজে নিয়োজিত নেতাদের নির্বাচনে ভূল করবেনা।
পরিশেষে সুকান্তর মতো বলতে চাই "ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়" দীর্ঘদিন অমানবিক জীবনযাপন করতে বাধ্য হওয়া দেশের শীর্ষ এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রদের কাছে চেতনা ও রাজনৈতিক মতাদর্শের উর্ধ্বে তাদের প্রয়োজন কে পুরণ করবে, সেটাই বিচার করা এখন মূখ্য বিষয়। আর ৯ সেপ্টেম্বর নিরপেক্ষ ডাকসু নির্বাচন হলে আমরা ঢাবিয়ানদের মেধা ও বিচক্ষণতার পরিচয় পাবো।
অ্যাসিস্ট্যান্ট নিউজ এডিটর, এশিয়ান টেলিভিশন

যে ফ্যাসিস্ট গত ৫ আগষ্ট পালিয়েছে সে তার ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখতে যে বলয় তৈরী করেছিলো সেখানে বিদ্বেষ বিভাজন ও অপরায়ন সবটাই ছিলো। কয়েক দিনে আগে ইউটিউবে প্রকাশিত নেত্র নিউজের একটি গুম নিয়ে প্রতিবেদন দেখছিলাম।
একটি দেশের শাসকগোষ্ঠী তার দেশের জনগণকে কতটা ডিসওন করলে তাকে এমন অমানবিক জীবনযাপনে বাধ্য করতে পারে! আসলে আওয়ামী লীগ ও তার মতাদর্শের মানুষগুলো তাদের ছাড়া আর কাউকে মানুষ হিসেবে মনেই করেনি, এজন্য দেশের ভিন্ন মতের মানুষগুলোর ওপর চূড়ান্ত অমানবিক হতে দ্বিধা করেনি।
আওয়ামী বিভাজনের মূলউপাদান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, বিদ্বেষের উপাদানও তাই। সাথে তেতুলের মত যোগ হতো ধর্মীয় উগ্রবাদ। হাসিনা ও তার দল যারা তার না সেসব দল ও গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আলাদা আলাদা গোষ্ঠী তৈরী করেছিলো। তারা আলাদাভাবে মাঠে সক্রিয় ছিলো। তবে অবশেষে তার বলয় ভেঙ্গে গেল, কারন বিরোধীমতের সবাই তাদের বিভক্তি ভূলে মাঠে নেমেছিলো। মাঠে নেমেছিলো রাজনৈতিক পরিচয়হীন নাহিদ আসিফদের ডাকে।
হাসিনা পলায়নের একবছর পেরিয়ে আগামীকাল দেশের একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্ররা প্রথম তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবে। বোধকরি ডাকসু ঘিরে তাই সবাই এত উচ্ছসিত। এবারের ডাকসু নির্বাচনের প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার নেয়ার সুযোগ হয়েছিলো। ডাকসুকে ঘিরে আমি দেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব দেথতে পেয়েছি। প্রার্থীদের কেউ কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশ নবাগত ।
প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা হল সংসদের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষ পড়া এক ছাত্রের সাথে কথা বলে অভিভূত হলাম জানতে চাইলাম কেন এত জুনিয়র হয়ে নির্বাচনে কি করতে চান ? একই প্রশ্ন করেছিলাম একজন ছাত্রীর কাছেও - জাবাটা কাছাকাছি ছিলো তাদের। তারা বললো আমি সততার সাথে দ্বায়িত্ব পালন করতে চাই।
ডাকসু পদধারী আমার কমিটির অন্যরা যেন অসৎ পন্থা অবলম্বণ না করতে পারে সেটা ঠেকাতে চাই। সত্যিই অভাবনীয়! দলীয় ব্যানারের বাইরেও অসংখ্য স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ডাকসুতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, যেন তাদের অধিকার নিয়ে আর কেউ রাজনীতি না করতে পারে।
তবে ডাকসু ঘিরে রাজনৈতিক মারপ্যাচ থেমে নেই। সবচয়ে সক্রিয় বিভাজন আর অপরায়নের রাজনীতি করতে চায় যারা সেই গ্রুপ । তাইতো সর্বশেষ ডাকসুর প্রার্থীদের প্রচারণা থেমে যাওয়ার পরও আমরা রাতের আধারে ছাত্র ইউনিয়নকে পোষ্টার লাগাতে দেখি যেখানে লেখা থাকে তোমাদের শিক্ষকদের হত্যাকারীদের ভোট দিওনা। কোন কোন সোকল্ড ইউটিউবার বুদ্ধিজীবীদের দেখি ব্যাক্তি ভালো হলেও নিদৃষ্ট আদর্শের প্যানেলে ভোট না দেয়ার প্রচারণা চালাতে।
আবার কিছুসংখ্যক ক্রিয়াশিলদের দেখি প্রার্থীদেরকে র্ধমীয় মাপকাঠিতে বিচার করতে। যেন ডাকসু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যা সমাধানের চেয়ে রাজনৈতিক সমস্যাই বেশি সমাধান করবে। প্রকৃত কথা এই যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ডাকসুর মাধ্যমে তাদের শিক্ষাঙ্গনের জন্য রাষ্ট্রের কাছ থেকে প্রাপ্য হিস্যাটাই বুঝে নিতে চায়। আমার বিশ্বাস জেন-জি তাদের এই হিস্যা বুঝে নেয়ার কাজে নিয়োজিত নেতাদের নির্বাচনে ভূল করবেনা।
পরিশেষে সুকান্তর মতো বলতে চাই "ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়" দীর্ঘদিন অমানবিক জীবনযাপন করতে বাধ্য হওয়া দেশের শীর্ষ এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রদের কাছে চেতনা ও রাজনৈতিক মতাদর্শের উর্ধ্বে তাদের প্রয়োজন কে পুরণ করবে, সেটাই বিচার করা এখন মূখ্য বিষয়। আর ৯ সেপ্টেম্বর নিরপেক্ষ ডাকসু নির্বাচন হলে আমরা ঢাবিয়ানদের মেধা ও বিচক্ষণতার পরিচয় পাবো।
অ্যাসিস্ট্যান্ট নিউজ এডিটর, এশিয়ান টেলিভিশন

শিক্ষার্থীরা জানান, ২০০২ সালে সর্বশেষ বিএম কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়। ওই সময় চারদলীয় জোট সমর্থিত সেন্টু-বাদল-নেয়ামুল পরিষদ জয়লাভ করে। এর পর গত ২৩ বছরে কোনো নির্বাচন হয়নি। সম্প্রতি নতুন করে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবি ওঠে।
১৭ ঘণ্টা আগে
এখন থেকে উচ্চ রক্তচাপ সম্পর্কে নোটিফিকেশন পাবেন অ্যাপেল ওয়াচ ব্যবহারকারীরা ওয়াচওএস-২৬ এর অপারেটিং সিস্টেমে নতুনভাবে যোগ করা হয়েছে হাইপারটেনশন নোটিফিকেশন ফিচার। যদি আপনার হার্ট ডেটা দীর্ঘ সময় ধরে উচ্চ রক্তচাপের ধারা দেখায়, আপনার ঘড়ি তখনই সতর্কবার্তা দেবে।
১৮ ঘণ্টা আগে
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ছাত্রী ধর্ষণ এবং বুয়েট ছাত্র শ্রীশান্ত রায়ের মেয়েদের প্রতি কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য ও ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ছাত্রী সংস্থা।
১৯ ঘণ্টা আগে
ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (ডুয়েট) দুই দিনব্যাপী ‘ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন সায়েন্স অ্যান্ড হিউম্যানিটিজ ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট (আইসিএসএইচএসডি-২০২৫) বিষয়ক প্রথম আন্তর্জাতিক কনফারেন্স শুরু হয়েছে।
১৯ ঘণ্টা আগে