মোস্তফা কামাল
একজন শিল্পী চাইলে কি না করতে পারেন। কবিতা থেকে শুরু করে ছবি, সবকিছুতেই প্রাণসঞ্চার করার ক্ষমতা থাকে। কবি যেমন কলম দিয়ে ঝড় তুলতে পারেন। একজন চিত্রশিল্পী তেমনি রংতুলিতে একটা ছবিকে জীবন দিতে পারেন। তেমনই একজন সাবরিনা বিনতে হেলাল। পড়াশোনা করছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে।
ছোটবেলা থেকেই রংতুলির প্রতি আকর্ষণ সাবরিনার। সাত বছর বয়সে ভর্তি হন আর্ট স্কুলে। সেখান থেকেই চিত্রশিল্প জগতে যাত্রা শুরু। শৈশবে বইয়ের ভেতর ছাপা ছবিগুলোতেই তার মন ডুবে যেত। বই কাছে পেলে আগে দেখতেন ভেতরের আঁকিবুঁকি। দেখে দেখে সেগুলো আঁকতেনও। জন্ম ও বেড়ে ওঠা চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলায়। তিন ভাইবোনের মধ্যে তিনি সবার ছোট।
আঁকাআঁকির শুরুটা নিয়ে সাবরিনা বলেন, আমি সবসময় একটা কথা আমার মাথায় রেখে কাজ করি, সেটা হচ্ছে চর্চা মানুষকে উপযুক্ত করে তোলে। আমি পেইন্টিং নিজে থেকেই শিখেছি। এ ছাড়া গ্রাফিকস ডিজাইন, হ্যান্ড পেইন্ট, হ্যান্ড এমব্রয়ডারি, ক্যালিগ্রাফি নিজ উদ্যোগে শিখেছি। ক্যালিগ্রাফি শেখার জন্য অনলাইনে একটা কোর্স করেছি। যখন ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ি, তখন থেকে লেখালেখির প্রতি ঝোঁক তৈরি হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে লেখালেখির পরিবেশটা আমার জন্য উন্মুক্ত হয়। এখানে এসে স্যারদের অনুপ্রেরণায় লেখালেখিটা আরেকটু বেশি করা হচ্ছে।
সাবরিনার কাছে সব থেকে ভরসার জায়গা বাবা। বললেন, আমার জীবনের প্রথম অনুপ্রেরণা বাবা। যাকে দেখে আমি সাহস আর অনুপ্রেরণা পাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধুরা তার ছবি দেখে উৎসাহ দেন নিয়মিত। সাবরিনাও অকপটে স্বীকার করলেন। তার মতে, বন্ধুদের এমন উৎসাহ না পেলে ক্রমাগত আরও ভালো কিছু আঁকার তাগাদা কাজ করত না। বন্ধুদের পাশাপাশি পরিবার থেকে সবচেয়ে বেশি অনুপ্রেরণা দিয়েছেন বড় ভাই।
ধীরে ধীরে সবাই জানতে পারে সাবরিনার আঁকার হাত একেবারেই আলাদা। ২০২০ সালে তিনি ফেসবুকে একটি পেজ খুলেন। নাম দেন Sabrina's Arts & Crafts । ফেসবুক পেজে সাবরিনা তার কাজগুলোর প্রচার করেন। কেউ কেউ বিস্ময়ে বলে, আঁকা ছবি এত জীবন্ত হয় কী করে? বিশ্বাস করতে না পেরে আবার কেউ বলে, এসব হয়তো সফটওয়্যার দিয়ে করেছে!
অর্জনের ঝুলিও কম নয় সাবরিনার। ২০১৬ সালে পরিবেশ অধিদপ্তর আয়োজিত ছবি আঁকা প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেন। পথের বাঁকে থাকে ছোট ছোট অনেক গল্প। যে গল্প বিশ্বাসের, যে গল্প সাহসিকতার। নানা বাধা আসে চলার পথে। ঝুঁকি সামলে নিতে না নিতে আবার ঝুঁকি আসে। পথ চলতে গিয়ে থেমে যাওয়া মানে তো সবকিছু শেষ হয়ে যাওয়া নয়। আবার উঠে দাঁড়াতে হয়। সাবরিনা বলেন, একটি গল্প নিজের হবে, যে গল্পের প্রতিটা শব্দ হবে একজন সফল মানুষের। তাই তো বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডি শেষ করার আগে নিজের একটা গল্প তৈরির জন্য কাজ করছি।
সাবরিনা স্বপ্ন দেখতেন তার নিজস্ব একটা পরিচয় থাকবে, যা দিয়ে সবাই তাকে চিনবে। সাবরিনার এ স্বপ্নই তাকে উদ্যোক্তা হওয়ার প্রেরণা দিয়েছে। উদ্যোক্তা জীবনের প্রত্যেকের নিজস্ব একটা ছন্দ থাকে। সেই ছন্দের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিজেকে এগিয়ে নেওয়াটাই হলো জীবন। সাবরিনার মতে, মিশ্র একটা অনুভূতি। অনেক ভালো লাগে, যখন নিজের কাজ সম্পর্কে ভালো কোনো কথা শুনি। কখনো কাজের চাপে হাঁপিয়ে উঠি, হতাশা চলে আসে। তারপর আবার একটা ভালো খবর শুনে উৎফুল্ল হয়ে উঠি। এভাবেই কেটে যাচ্ছে দিনগুলো।
স্বপ্নের কথা জানালেন সাবরিনা, সব সময় চিন্তা করি আমি সৎপথে থাকব। অনলাইন পেজ থেকে অফলাইনে নিজের একটা প্রতিষ্ঠান করব। যেখানে আমার সহযোগী হবে সব মেয়ে। কারণ আমি চাই, মেয়েরা নিজের একটা গল্প তৈরি করুক। সে গল্পের শুরুটা আমার সঙ্গে হলো। আমি আমার স্বপ্নের পথে বহু দূর হেঁটে যেতে চাই।
একজন শিল্পী চাইলে কি না করতে পারেন। কবিতা থেকে শুরু করে ছবি, সবকিছুতেই প্রাণসঞ্চার করার ক্ষমতা থাকে। কবি যেমন কলম দিয়ে ঝড় তুলতে পারেন। একজন চিত্রশিল্পী তেমনি রংতুলিতে একটা ছবিকে জীবন দিতে পারেন। তেমনই একজন সাবরিনা বিনতে হেলাল। পড়াশোনা করছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে।
ছোটবেলা থেকেই রংতুলির প্রতি আকর্ষণ সাবরিনার। সাত বছর বয়সে ভর্তি হন আর্ট স্কুলে। সেখান থেকেই চিত্রশিল্প জগতে যাত্রা শুরু। শৈশবে বইয়ের ভেতর ছাপা ছবিগুলোতেই তার মন ডুবে যেত। বই কাছে পেলে আগে দেখতেন ভেতরের আঁকিবুঁকি। দেখে দেখে সেগুলো আঁকতেনও। জন্ম ও বেড়ে ওঠা চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলায়। তিন ভাইবোনের মধ্যে তিনি সবার ছোট।
আঁকাআঁকির শুরুটা নিয়ে সাবরিনা বলেন, আমি সবসময় একটা কথা আমার মাথায় রেখে কাজ করি, সেটা হচ্ছে চর্চা মানুষকে উপযুক্ত করে তোলে। আমি পেইন্টিং নিজে থেকেই শিখেছি। এ ছাড়া গ্রাফিকস ডিজাইন, হ্যান্ড পেইন্ট, হ্যান্ড এমব্রয়ডারি, ক্যালিগ্রাফি নিজ উদ্যোগে শিখেছি। ক্যালিগ্রাফি শেখার জন্য অনলাইনে একটা কোর্স করেছি। যখন ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ি, তখন থেকে লেখালেখির প্রতি ঝোঁক তৈরি হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে লেখালেখির পরিবেশটা আমার জন্য উন্মুক্ত হয়। এখানে এসে স্যারদের অনুপ্রেরণায় লেখালেখিটা আরেকটু বেশি করা হচ্ছে।
সাবরিনার কাছে সব থেকে ভরসার জায়গা বাবা। বললেন, আমার জীবনের প্রথম অনুপ্রেরণা বাবা। যাকে দেখে আমি সাহস আর অনুপ্রেরণা পাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধুরা তার ছবি দেখে উৎসাহ দেন নিয়মিত। সাবরিনাও অকপটে স্বীকার করলেন। তার মতে, বন্ধুদের এমন উৎসাহ না পেলে ক্রমাগত আরও ভালো কিছু আঁকার তাগাদা কাজ করত না। বন্ধুদের পাশাপাশি পরিবার থেকে সবচেয়ে বেশি অনুপ্রেরণা দিয়েছেন বড় ভাই।
ধীরে ধীরে সবাই জানতে পারে সাবরিনার আঁকার হাত একেবারেই আলাদা। ২০২০ সালে তিনি ফেসবুকে একটি পেজ খুলেন। নাম দেন Sabrina's Arts & Crafts । ফেসবুক পেজে সাবরিনা তার কাজগুলোর প্রচার করেন। কেউ কেউ বিস্ময়ে বলে, আঁকা ছবি এত জীবন্ত হয় কী করে? বিশ্বাস করতে না পেরে আবার কেউ বলে, এসব হয়তো সফটওয়্যার দিয়ে করেছে!
অর্জনের ঝুলিও কম নয় সাবরিনার। ২০১৬ সালে পরিবেশ অধিদপ্তর আয়োজিত ছবি আঁকা প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেন। পথের বাঁকে থাকে ছোট ছোট অনেক গল্প। যে গল্প বিশ্বাসের, যে গল্প সাহসিকতার। নানা বাধা আসে চলার পথে। ঝুঁকি সামলে নিতে না নিতে আবার ঝুঁকি আসে। পথ চলতে গিয়ে থেমে যাওয়া মানে তো সবকিছু শেষ হয়ে যাওয়া নয়। আবার উঠে দাঁড়াতে হয়। সাবরিনা বলেন, একটি গল্প নিজের হবে, যে গল্পের প্রতিটা শব্দ হবে একজন সফল মানুষের। তাই তো বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডি শেষ করার আগে নিজের একটা গল্প তৈরির জন্য কাজ করছি।
সাবরিনা স্বপ্ন দেখতেন তার নিজস্ব একটা পরিচয় থাকবে, যা দিয়ে সবাই তাকে চিনবে। সাবরিনার এ স্বপ্নই তাকে উদ্যোক্তা হওয়ার প্রেরণা দিয়েছে। উদ্যোক্তা জীবনের প্রত্যেকের নিজস্ব একটা ছন্দ থাকে। সেই ছন্দের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিজেকে এগিয়ে নেওয়াটাই হলো জীবন। সাবরিনার মতে, মিশ্র একটা অনুভূতি। অনেক ভালো লাগে, যখন নিজের কাজ সম্পর্কে ভালো কোনো কথা শুনি। কখনো কাজের চাপে হাঁপিয়ে উঠি, হতাশা চলে আসে। তারপর আবার একটা ভালো খবর শুনে উৎফুল্ল হয়ে উঠি। এভাবেই কেটে যাচ্ছে দিনগুলো।
স্বপ্নের কথা জানালেন সাবরিনা, সব সময় চিন্তা করি আমি সৎপথে থাকব। অনলাইন পেজ থেকে অফলাইনে নিজের একটা প্রতিষ্ঠান করব। যেখানে আমার সহযোগী হবে সব মেয়ে। কারণ আমি চাই, মেয়েরা নিজের একটা গল্প তৈরি করুক। সে গল্পের শুরুটা আমার সঙ্গে হলো। আমি আমার স্বপ্নের পথে বহু দূর হেঁটে যেতে চাই।
বিসিএস’এ বয়সসীমা ৩৪ বছর নির্ধারণসহ চার দফা দাবি জানিয়েছে ‘পিএসসি সংস্কার আন্দোলন চিকিৎসক পরিষদ’ নামের একটি সংগঠন ।
১০ ঘণ্টা আগেডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ হাজার ৯৮৮। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর প্রায় ৫৪ শতাংশই বরিশাল বিভাগের বাসিন্দা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রোগী চট্টগ্রাম বিভাগ ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে।
১১ ঘণ্টা আগেএকটি সংক্রমিত ইউএসবি ড্রাইভ বা ডিভাইস মুহূর্তের মধ্যেই আপনার কম্পিউটারকে বড় ধরনের সাইবার হামলার ঝুঁকিতে ফেলে দিতে পারে।
১৩ ঘণ্টা আগেজগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) র্যাগিং বন্ধ, হয়রানি প্রতিরোধ এবং নিরাপত্তার দাবিতে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা।
১৪ ঘণ্টা আগে