বিচার চান খালিদ সাইফুল্লাহ
মোল্লাহাট প্রতিনিধিকে ও বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি শেখ মিরানুজ্জামান
গভীর রাতে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে ৬ মাস আয়না ঘরে বন্দী রেখে করা হয় সীমাহীন নির্যাতন, সরকার বিরোধী কর্মকাণ্ডে কি ধরনের ষড়যন্ত্র এবং জড়িত কারা ? এমন সব প্রশ্নের উত্তর দিতে না পারায় কখনো অর্ধাহারে আবার কখনো অনাহারে রেখে দফায় দফায় পাশবিক নির্যাতন করা হয়। অকথ্য নির্যাতনের পর কোনো অপরাধের প্রমাণ না পেলেও এরপর রাখা হয় কারাগারে । দীর্ঘ তিন বছর নয় মাস কারাভোগের পর জামিনে মুক্তি পেলেও অব্যাহতি পাওয়ার আশা ছিল ঘোর অন্ধকারাচ্ছন্ন। এরপর গত ৫ আগস্ট ২০২৪ গণ অভ্যুত্থানের ফলে সরকার পতন হলে আশার আলো দেখছেন, কিন্তু এখনও টানছেন মিথ্যা মামলার ঘানি। ওই ঘটনার বিচার দাবি এবং মিথ্যা মামলা হতে অব্যাহতি পেতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন খালিদ সাইফুল্লাহ (৪৩)। তিনি বাগেরহাট জেলার মোল্লাহাট উপজেলার সিঙ্গাতী গ্রামের কারী বিল্লাল হোসেনের পুত্র।
সীমাহীন নির্যাতনের শিকার খালিদ সাইফুল্লাহ আমার দেশ প্রতিবেদককে বলেন, একটি কোম্পানির মাধ্যমে প্রথমে কিছু দিন ওমান এবং পরে ইয়েমেনে ছিলাম। অসুস্থতার কারণে ২০১৮ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর বাড়িতে ফিরে আসি। এর ৫দিন পর ৩ অক্টোবর রাতে বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিলাম, এমতাবস্থায় রাত ১১টা হতে ১২ টার মধ্যে ডিজিএফআই এর সদস্যরা আমাকে ডেকে তুলে, তখন আমার ও আমার পরিবারের কারো কোন কথা কর্ণপাত না করে গাড়িতে তুলে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে চোখ বেঁধে নিয়ে যায়। দীর্ঘ সময় গাড়ি চলার পর কোনো এক ফেরি ঘাটে পৌঁছে, যা তাদের কথোপকথনে বুঝতে পারি। ফেরি পার হয়ে আবারও চলতে থাকে গাড়ি। এরপর কোন এক ভবনের সিঁড়ি দিয়ে উপরে ওঠায় আবার নামায়, এরপর একটি কক্ষে নিয়ে আমাকে জিজ্ঞেস করে, সরকারের বিরুদ্ধে কী কী ষড়যন্ত্র করছি এবং আমার সাথে জড়িত কারা ? আমি কোন ষড়যন্ত্র করি নাই এবং আমার জানা মতে কেউ জড়িত নাই বলা মাত্রই সীমাহীন মারপিট শুরু করে।
এরপর আমি অচেতন হয়ে পড়ি, হুঁশ ফিরলে আবারো একই প্রশ্ন করে। আমিও একই উত্তর দিলে তারা আরো বেশি বেপরোয়া হয়ে উঠে। ওই দীর্ঘ সময়েও চোখের বাঁধন পর্যন্ত খোলেনি, কিছু খেতেও দেয়নি, এরপর একটি চেয়ারে বসিয়ে হেলমেট পরিয়ে একজন বলে সুইস দিতে, তখন কেউ সুইস দিতেই আমার মাথায় প্রচণ্ড রকম ঝাঁকুনি শুরু হয়। এতে আমি আবারও জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। পরে হুঁশ ফিরলেও কথা বলার শক্তি ছিল না। তখন অনেক কষ্টে আস্তে করে পানি চাইলে তাদের একজন আমার মুখে সামান্য পানি দেয়, তাতেই খানিকটা সতেজ হয়ে উঠি। এরপর আবারো প্রশ্ন করে, কি কি পরিকল্পনা করেছি ? আমি আবারও বলি কোনো পরিকল্পনা/ ষড়যন্ত্রের কিছুই জানি না। আমি অত্যন্ত স্বাভাবিক ও দরিদ্র পরিবারের লোক এবং আমার সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়ার অনুরোধ করি। এরপর তারা আমাকে হ্যান্ডকাফ পরা অবস্থায় দুই হাত উপরে বেঁধে ঝুলিয়ে প্রথমে পেটায়, এরপর আমার পেটের ডানে ও বামে লম্বা করে ফেড়ে দেয়। এরপর ঝাল বা লবণ ওই জখমি স্থানে লাগিয়ে দেয়, তখন ভীষণভাবে জ্বালাপোড়া করে। অসহনীয় কষ্টে আমার অজান্তে পায়খানা (মল) বেরিয়ে যায় এবং অজ্ঞান হয়ে পড়ি। এরপর ছোট্ট কক্ষে/ আয়না ঘরে রেখে কখনো অর্ধাহারে আবার কখনো অনাহারে রেখে প্রতিনিয়ত নির্যাতন করে। এভাবেই কেটে যায় ছয় মাস।
এরপর তারা জানায়, ‘বাঁশের কেল্লা’ নামে আমার ফেসবুক আইডি থেকে সরকার বিরোধী পোস্টের কারণে আমাকে ধরা হয়েছে।
তখন ভাবছিলাম যে, আমাকে ছেড়ে দিবে। কিন্তু না ছেড়ে মিথ্যা মামলায় জেলে পাঠানো হয়। এরপর একাধিকবার জামিন পেলেও সরকার পক্ষের আইনজীবী তা স্থগিত করায়। মুক্তি পেতে সরকার পক্ষের উকিল মোটা অঙ্কের টাকা চায়। আমি উক্ত টাকা দিতে না পারায় কারাবাসে কাটে তিন বছর নয় মাস। এরপর জামিনে মুক্তি পেলেও ওই মামলায় আমার ও আমার পরিবারের জীবনে নেমে আসে ঘোর অন্ধকার।
খালিদ সাইফুল্লাহ আরো বলেন, আয়না ঘরে ৬ মাস নির্যাতনের ঘটনায় অতীত স্মৃতি ভুলে যাই, এরপর ধীরে ধীরে স্মৃতি শক্তি ফিরে পেলেও এখন পর্যন্ত পুরোপুরি সুস্থ হতে পারি নাই।
আমি বর্তমানে একটি মসজিদে ইমামতি করছি, সামান্য বেতন পাই, যা দিয়ে চলতে অনেক কষ্ট হয়। যে বেতন তার প্রায় পুরোটাই ঔষধ কিনতে হয়। আমার স্ত্রী এবং দুটি সন্তান সহ রয়েছে মা ও বাবা। আমার এ ঘটনায় সকলেই বিধ্বস্ত।
আমি ওই ঘটনার যথাযথ বিচার চাই এবং ভবিষ্যতে যেন কোনো সরকারের অধীনে এমন ঘটনার শিকার কেউ না হয় সেই দাবি রাখছি।
এমএস
গভীর রাতে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে ৬ মাস আয়না ঘরে বন্দী রেখে করা হয় সীমাহীন নির্যাতন, সরকার বিরোধী কর্মকাণ্ডে কি ধরনের ষড়যন্ত্র এবং জড়িত কারা ? এমন সব প্রশ্নের উত্তর দিতে না পারায় কখনো অর্ধাহারে আবার কখনো অনাহারে রেখে দফায় দফায় পাশবিক নির্যাতন করা হয়। অকথ্য নির্যাতনের পর কোনো অপরাধের প্রমাণ না পেলেও এরপর রাখা হয় কারাগারে । দীর্ঘ তিন বছর নয় মাস কারাভোগের পর জামিনে মুক্তি পেলেও অব্যাহতি পাওয়ার আশা ছিল ঘোর অন্ধকারাচ্ছন্ন। এরপর গত ৫ আগস্ট ২০২৪ গণ অভ্যুত্থানের ফলে সরকার পতন হলে আশার আলো দেখছেন, কিন্তু এখনও টানছেন মিথ্যা মামলার ঘানি। ওই ঘটনার বিচার দাবি এবং মিথ্যা মামলা হতে অব্যাহতি পেতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন খালিদ সাইফুল্লাহ (৪৩)। তিনি বাগেরহাট জেলার মোল্লাহাট উপজেলার সিঙ্গাতী গ্রামের কারী বিল্লাল হোসেনের পুত্র।
সীমাহীন নির্যাতনের শিকার খালিদ সাইফুল্লাহ আমার দেশ প্রতিবেদককে বলেন, একটি কোম্পানির মাধ্যমে প্রথমে কিছু দিন ওমান এবং পরে ইয়েমেনে ছিলাম। অসুস্থতার কারণে ২০১৮ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর বাড়িতে ফিরে আসি। এর ৫দিন পর ৩ অক্টোবর রাতে বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিলাম, এমতাবস্থায় রাত ১১টা হতে ১২ টার মধ্যে ডিজিএফআই এর সদস্যরা আমাকে ডেকে তুলে, তখন আমার ও আমার পরিবারের কারো কোন কথা কর্ণপাত না করে গাড়িতে তুলে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে চোখ বেঁধে নিয়ে যায়। দীর্ঘ সময় গাড়ি চলার পর কোনো এক ফেরি ঘাটে পৌঁছে, যা তাদের কথোপকথনে বুঝতে পারি। ফেরি পার হয়ে আবারও চলতে থাকে গাড়ি। এরপর কোন এক ভবনের সিঁড়ি দিয়ে উপরে ওঠায় আবার নামায়, এরপর একটি কক্ষে নিয়ে আমাকে জিজ্ঞেস করে, সরকারের বিরুদ্ধে কী কী ষড়যন্ত্র করছি এবং আমার সাথে জড়িত কারা ? আমি কোন ষড়যন্ত্র করি নাই এবং আমার জানা মতে কেউ জড়িত নাই বলা মাত্রই সীমাহীন মারপিট শুরু করে।
এরপর আমি অচেতন হয়ে পড়ি, হুঁশ ফিরলে আবারো একই প্রশ্ন করে। আমিও একই উত্তর দিলে তারা আরো বেশি বেপরোয়া হয়ে উঠে। ওই দীর্ঘ সময়েও চোখের বাঁধন পর্যন্ত খোলেনি, কিছু খেতেও দেয়নি, এরপর একটি চেয়ারে বসিয়ে হেলমেট পরিয়ে একজন বলে সুইস দিতে, তখন কেউ সুইস দিতেই আমার মাথায় প্রচণ্ড রকম ঝাঁকুনি শুরু হয়। এতে আমি আবারও জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। পরে হুঁশ ফিরলেও কথা বলার শক্তি ছিল না। তখন অনেক কষ্টে আস্তে করে পানি চাইলে তাদের একজন আমার মুখে সামান্য পানি দেয়, তাতেই খানিকটা সতেজ হয়ে উঠি। এরপর আবারো প্রশ্ন করে, কি কি পরিকল্পনা করেছি ? আমি আবারও বলি কোনো পরিকল্পনা/ ষড়যন্ত্রের কিছুই জানি না। আমি অত্যন্ত স্বাভাবিক ও দরিদ্র পরিবারের লোক এবং আমার সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়ার অনুরোধ করি। এরপর তারা আমাকে হ্যান্ডকাফ পরা অবস্থায় দুই হাত উপরে বেঁধে ঝুলিয়ে প্রথমে পেটায়, এরপর আমার পেটের ডানে ও বামে লম্বা করে ফেড়ে দেয়। এরপর ঝাল বা লবণ ওই জখমি স্থানে লাগিয়ে দেয়, তখন ভীষণভাবে জ্বালাপোড়া করে। অসহনীয় কষ্টে আমার অজান্তে পায়খানা (মল) বেরিয়ে যায় এবং অজ্ঞান হয়ে পড়ি। এরপর ছোট্ট কক্ষে/ আয়না ঘরে রেখে কখনো অর্ধাহারে আবার কখনো অনাহারে রেখে প্রতিনিয়ত নির্যাতন করে। এভাবেই কেটে যায় ছয় মাস।
এরপর তারা জানায়, ‘বাঁশের কেল্লা’ নামে আমার ফেসবুক আইডি থেকে সরকার বিরোধী পোস্টের কারণে আমাকে ধরা হয়েছে।
তখন ভাবছিলাম যে, আমাকে ছেড়ে দিবে। কিন্তু না ছেড়ে মিথ্যা মামলায় জেলে পাঠানো হয়। এরপর একাধিকবার জামিন পেলেও সরকার পক্ষের আইনজীবী তা স্থগিত করায়। মুক্তি পেতে সরকার পক্ষের উকিল মোটা অঙ্কের টাকা চায়। আমি উক্ত টাকা দিতে না পারায় কারাবাসে কাটে তিন বছর নয় মাস। এরপর জামিনে মুক্তি পেলেও ওই মামলায় আমার ও আমার পরিবারের জীবনে নেমে আসে ঘোর অন্ধকার।
খালিদ সাইফুল্লাহ আরো বলেন, আয়না ঘরে ৬ মাস নির্যাতনের ঘটনায় অতীত স্মৃতি ভুলে যাই, এরপর ধীরে ধীরে স্মৃতি শক্তি ফিরে পেলেও এখন পর্যন্ত পুরোপুরি সুস্থ হতে পারি নাই।
আমি বর্তমানে একটি মসজিদে ইমামতি করছি, সামান্য বেতন পাই, যা দিয়ে চলতে অনেক কষ্ট হয়। যে বেতন তার প্রায় পুরোটাই ঔষধ কিনতে হয়। আমার স্ত্রী এবং দুটি সন্তান সহ রয়েছে মা ও বাবা। আমার এ ঘটনায় সকলেই বিধ্বস্ত।
আমি ওই ঘটনার যথাযথ বিচার চাই এবং ভবিষ্যতে যেন কোনো সরকারের অধীনে এমন ঘটনার শিকার কেউ না হয় সেই দাবি রাখছি।
এমএস
ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সুরক্ষায় ভূরুঙ্গামারী, থানচি ও মেহেরপুরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) নতুন তিনটি ব্যাটালিয়ন গঠন করা হচ্ছে। এই তিন ব্যাটালিয়নসহ বিজিবির জন্য মোট ২ হাজার ২৫৮টি নতুন পদ সৃষ্টি করা হচ্ছে। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সীমান্ত-১ শাখা থেকে মঙ্গলবার একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেপরে অন্য সিনিয়র রিপোর্টারদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এ্যানি। এ সময় আমার দেশ-এর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক জাহেদ চৌধুরী, বার্তা সম্পাদক ইলিয়াস হোসেন, ভারপ্রাপ্ত চিফ রিপোর্টার বাছির জামাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
১ ঘণ্টা আগেসেন্টমার্টিন দ্বীপে নৌযান চলাচলের জন্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হবে। বুধবার মন্ত্রণালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
২ ঘণ্টা আগেতিনি আরো বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের সময় ও এসেম্বলিতে তামাকের ক্ষতিকারক দিকগুলো তুলে ধরতে হবে। এছাড়া শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের সময়েও এ বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। এ সময় উপদেষ্টা তামাকমুক্ত বিদ্যালয় ক্যাম্পাস গড়ে তুলতে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
৩ ঘণ্টা আগে