মুসলিম বিশ্বের অনৈক্যের কারণেই গাজায় গণহত্যা চালিয়েছে ইসরাইল : মাহমুদুর রহমান

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ১৩ মার্চ ২০২৫, ২২: ২৫

মুসলিম বিশ্বের অনৈক্যের কারণেই ইসরাইল গাজায় গণহত্যা চালানোর সাহস পেয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। তিনি বলেন, সৌদি আরব, ইরান, তুরস্ক, মিসর, পাকিস্তান ও ইন্দোনেশিয়া বিশ্বের এই ছয়টি মুসলিম দেশ ঐক্যবদ্ধ হয়ে পশ্চিমা বিশ্বকে হুঁশিয়ার করলে ইসরাইল একদিনও ফিলিস্তিনে গণহত্যা চালাতে পারত না। অথচ সাম্প্রতিকালে গাজায় ৬১ হাজার মুসলমানকে হত্যা করেছে । যার মধ্যে ৯০ শতাংশ নারী ও শিশু।

বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের হলরুমে ওয়ার্ল্ড মুসলিম উম্মাহ আয়োজিত ‘ইউনিটি অ্যান্ড সলিডারিটি অব মুসলিম উম্মাহ’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

ওআইসি এবং আরব লিগসহ মুসলিম বিশ্বের বিভিন্ন সংগঠন একেবারেই অকেজো উল্লেখ করে মাহমুদুর রহমান বলেন, তারা শুধু বক্তব্য-বিবৃতির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থেকে যাচ্ছে। এজন্য নতুন কোনো ইসলামিক ইউনিটি গড়ে তুলতে হবে।

তিনি বলেন, ইসলামে কোনো বিভেদ থাকার সুযোগ নেই। অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, সারা বিশ্বে ২০০ কোটির বেশি মুসলমান; কিন্তু তাদের মধ্যে ঐক্য নেই। এর ফলে বিভিন্ন জনপদে মুসলমানরা নির্যাতিত হচ্ছেন। এ জন্য মুসলমানরাই প্রধানত দায়ী।

মুসলিম বিশ্বকে ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ইসলামে ভেদাভেদের কোনো স্থান নেই। সারা বিশ্বের মুসলমানরা এক উম্মাহ। বিশ্বের যেখানেই মুসলমানরা নির্যাতিত, সেখানেই তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে এটাই ঈমানের দাবি। মুসলিম উম্মাহর প্রতি ভালোবাসা না থাকলে ঈমানের দাবি পূরণ হয় না।

বাংলাদেশের সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপটে মাহমুদুর রহমান বলেন, ভয়ংকর ইসলামবিদ্বেষী প্রতিবেশী দেশ ভারত এখনো নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তারা আবারও তাদের ক্রীড়নকদের ক্ষমতায় বসাতে তৎপর রয়েছে। তিনি বলেন, তাদের ক্রীড়নক একটি চেহারা শেখ হাসিনা হলেও তার মতো আরো নতুন দালালদের ক্ষমতায় বসাতে তারা তৎপর রয়েছে। এ ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

মাহমুদুর রহমান বলেন, তরুণদের আত্মত্যাগে জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে জালিমের বিরুদ্ধে ইসলামের বিজয় হয়েছে। বিপ্লবের পর গঠিত সরকারের অনেক সিদ্ধান্তের সঙ্গে আমরা একমত নাও হতে পারি। নিজেদের মধ্যে ইসলামি শরিয়াহ্‌র বিষয়ে ভিন্ন মত থাকতে পারে; এরপরও জাতীয় ইস্যুতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। তাই আলেম সমাজকে বক্তব্য দেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে, যাতে বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা অপপ্রচার চালিয়ে ক্ষতি না করতে পারে।

প্রফেসর আবুল হাসান মুহাম্মদ সাদেকের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন মুসলিম উম্মাহর সেক্রেটারি জেনারেল ড. ফরিদ উদ্দিন আহমেদ খান, লে. জেনারেল (অব.) চৌধুরী হাসান সোহরাওয়ার্দী, ড. ফজলুর রহমান, নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামসুদ্দীন, মুফতি সৈয়দ আব্দুস সালাম, ড. নাজিম আহমদ, ড. ইমরান হোসেন, নজরুল ইসলাম প্রমুখ।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত