
জাহিদুল ইসলাম

গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রনেতারা আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি একটি নতুন রাজনৈতিক দলের ঘোষণা দিতে পারেন। নতুন দলের নেতৃত্ব নিয়ে মতবিরোধ থাকলেও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দল ঘোষণার সর্বাত্মক প্রস্তুতি এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
জাতীয় নাগরিক কমিটির সূত্রে জানা গেছে, নতুন দল ঘোষণার সম্ভাব্য স্থান নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা চলছে। এর মধ্য অনেকের মত হলো, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পতনের জন্য ‘একদফা’ কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে। তাই শহীদ মিনার থেকেই তরুণদের নেতৃত্বে নতুন দলের আত্মপ্রকাশের ঘোষণার পক্ষে মত তাদের।
দল ঘোষণার আয়োজনের জন্য ইতোমধ্য একাধিক কমিটি গঠন হয়েছে। এতে জাতীয় নাগরিক কমিটি থেকে ৭০ জন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩০ জনকে নিয়ে এ বিষয়ে একটি প্রস্তুতি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাছাড়া নতুন দল ঘোষণার সময় সারা দেশ থেকে সাংগঠনিক সব নেতাকর্মীকে জড়ো করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানা যায়।
দল ঘোষণার জন্য প্রাথমিকভাবে আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি তারিখ চূড়ান্ত হয়েছে। ঘোষণার আগে সরকার থেকে পদত্যাগ করে নতুন দলের আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব নেবেন তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
এদিকে শিক্ষার্থীদের নতুন রাজনৈতিক দলের আহ্বায়ক হিসেবে তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের নাম চূড়ান্ত হলেও সদস্যসচিব পদ নিয়ে বিরোধে জড়ান তারা। নিজেদের মধ্যে নেতৃত্ব নিয়ে বিরোধ থাকলেও এখন পর্যন্ত জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরউদ্দীন পাটওয়ারী, সদস্যসচিব আখতার হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আহসান জুনায়েদ ও প্রধান সংগঠক সারজিস আলম এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ নতুন দলের সদস্যসচিব পদের জন্য এগিয়ে আছেন। নতুন করে সদস্যসচিব পদে নাম আসছে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়ার।
নতুন দল ঘোষণার সঙ্গে জড়িত জাতীয় নাগরিক কমিটির একাধিক নেতা আমার দেশকে জানান, নতুন দলের নেতৃত্বে নিজেদের আধিপত্য ধরে রাখতে মরিয়া তিন পক্ষ। প্রথম গ্রুপে যারা আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি ও ছাত্র অধিকার পরিষদের সঙ্গে জড়িত ছিলেন, দ্বিতীয় পক্ষ বামপন্থি ও তৃতীয় পক্ষে রয়েছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক সদস্যরা।
সূত্র জানায়, তিনপক্ষ তাদের অনুসারীদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদে আসীন করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। নেতৃত্বে এমন বিরোধ প্রকাশ্যে চলে আসে দৈনিক আমার দেশ পত্রিকায় একটি প্রতিবেদনের মাধ্যমে।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ‘মতানৈক্যে বিলম্বিত ছাত্রদের নতুন রাজনৈতিক দলের ঘোষণা’। এমন প্রতিবেদন ছাপানোর পরে তিনপক্ষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুখ খুলতে শুরু করে। এ সময় সবাই জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে নিজেদের অর্জন তুলে ধরছে।
এদিকে নতুন রাজনৈতিক দলে নেতৃত্ব নিয়ে চলমান বিরোধ মানতে নারাজ জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরউদ্দীন পাটওয়ারী। তিনি আমার দেশকে বলেন, ‘একটি সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক দেশে নেতৃত্ব নিয়ে প্রতিযোগিতা থাকাটা বড় গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া। দলের নেতৃত্ব নিয়ে কোনো বিরোধ নেই, প্রতিযোগিতা আছে। এমন প্রতিযোগিতাকে আমরা স্বাগত জানাই।’
নাসীরউদ্দীন পাটওয়ারী আরো বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা যে নতুন বাংলাদেশের প্রত্যাশা করেছি সেই বাংলাদেশ হবে সবার মতামত প্রকাশ করা, চিন্তার স্বাধীনতা তুলে ধরা। ফলে নেতৃত্বে আসতে সবাই নিজেদের মতামত তুলে ধরছেন। এখানের বিরোধ বলতে কিছু নেই।’

গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রনেতারা আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি একটি নতুন রাজনৈতিক দলের ঘোষণা দিতে পারেন। নতুন দলের নেতৃত্ব নিয়ে মতবিরোধ থাকলেও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দল ঘোষণার সর্বাত্মক প্রস্তুতি এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
জাতীয় নাগরিক কমিটির সূত্রে জানা গেছে, নতুন দল ঘোষণার সম্ভাব্য স্থান নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা চলছে। এর মধ্য অনেকের মত হলো, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পতনের জন্য ‘একদফা’ কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে। তাই শহীদ মিনার থেকেই তরুণদের নেতৃত্বে নতুন দলের আত্মপ্রকাশের ঘোষণার পক্ষে মত তাদের।
দল ঘোষণার আয়োজনের জন্য ইতোমধ্য একাধিক কমিটি গঠন হয়েছে। এতে জাতীয় নাগরিক কমিটি থেকে ৭০ জন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩০ জনকে নিয়ে এ বিষয়ে একটি প্রস্তুতি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাছাড়া নতুন দল ঘোষণার সময় সারা দেশ থেকে সাংগঠনিক সব নেতাকর্মীকে জড়ো করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানা যায়।
দল ঘোষণার জন্য প্রাথমিকভাবে আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি তারিখ চূড়ান্ত হয়েছে। ঘোষণার আগে সরকার থেকে পদত্যাগ করে নতুন দলের আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব নেবেন তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
এদিকে শিক্ষার্থীদের নতুন রাজনৈতিক দলের আহ্বায়ক হিসেবে তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের নাম চূড়ান্ত হলেও সদস্যসচিব পদ নিয়ে বিরোধে জড়ান তারা। নিজেদের মধ্যে নেতৃত্ব নিয়ে বিরোধ থাকলেও এখন পর্যন্ত জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরউদ্দীন পাটওয়ারী, সদস্যসচিব আখতার হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আহসান জুনায়েদ ও প্রধান সংগঠক সারজিস আলম এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ নতুন দলের সদস্যসচিব পদের জন্য এগিয়ে আছেন। নতুন করে সদস্যসচিব পদে নাম আসছে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়ার।
নতুন দল ঘোষণার সঙ্গে জড়িত জাতীয় নাগরিক কমিটির একাধিক নেতা আমার দেশকে জানান, নতুন দলের নেতৃত্বে নিজেদের আধিপত্য ধরে রাখতে মরিয়া তিন পক্ষ। প্রথম গ্রুপে যারা আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি ও ছাত্র অধিকার পরিষদের সঙ্গে জড়িত ছিলেন, দ্বিতীয় পক্ষ বামপন্থি ও তৃতীয় পক্ষে রয়েছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক সদস্যরা।
সূত্র জানায়, তিনপক্ষ তাদের অনুসারীদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদে আসীন করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। নেতৃত্বে এমন বিরোধ প্রকাশ্যে চলে আসে দৈনিক আমার দেশ পত্রিকায় একটি প্রতিবেদনের মাধ্যমে।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ‘মতানৈক্যে বিলম্বিত ছাত্রদের নতুন রাজনৈতিক দলের ঘোষণা’। এমন প্রতিবেদন ছাপানোর পরে তিনপক্ষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুখ খুলতে শুরু করে। এ সময় সবাই জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে নিজেদের অর্জন তুলে ধরছে।
এদিকে নতুন রাজনৈতিক দলে নেতৃত্ব নিয়ে চলমান বিরোধ মানতে নারাজ জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরউদ্দীন পাটওয়ারী। তিনি আমার দেশকে বলেন, ‘একটি সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক দেশে নেতৃত্ব নিয়ে প্রতিযোগিতা থাকাটা বড় গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া। দলের নেতৃত্ব নিয়ে কোনো বিরোধ নেই, প্রতিযোগিতা আছে। এমন প্রতিযোগিতাকে আমরা স্বাগত জানাই।’
নাসীরউদ্দীন পাটওয়ারী আরো বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা যে নতুন বাংলাদেশের প্রত্যাশা করেছি সেই বাংলাদেশ হবে সবার মতামত প্রকাশ করা, চিন্তার স্বাধীনতা তুলে ধরা। ফলে নেতৃত্বে আসতে সবাই নিজেদের মতামত তুলে ধরছেন। এখানের বিরোধ বলতে কিছু নেই।’

নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেছেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ঘোষণা করা হবে এবং ভোটগ্রহণ আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হবে।
৪ ঘণ্টা আগে
পুলিশের পোশাকে বড় ধরনের পরিবর্তন আসছে। আগামী ১৫ নভেম্বর থেকে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী এই বাহিনীর সদস্যরা নতুন নকশা ও ভিন্ন রঙের ইউনিফর্ম পরিধান করবেন। নতুন ইউনিফর্মের রঙ নির্ধারণ করা হয়েছে ‘আয়রন’ বা লোহা কালার।
৬ ঘণ্টা আগে
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, উন্নত চরিত্রের অধিকারী ব্যক্তিরাই সমাজে শান্তি, ন্যায়বিচার ও সৌহার্দ্যের পরিবেশ তৈরি করে। চরিত্রবান মানুষ সমাজকে করে তোলে সুন্দর, নিরাপদ ও মানবিক। আর চরিত্রহীন মানুষ অনাচার, দুর্নীতি ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। চরিত্রবান মানুষ যেমন নিজের কল্যাণ বয়ে আনে, তেমনি সমাজকেও আলোকিত করে তোল
১০ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সমবায় খাতকে আধুনিক ও গতিশীল করতে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। আমি বিশ্বাস করি, কৃষি, মৎস্য, পশুপালন, সঞ্চয় ও ঋণদান এবং কুটিরশিল্প প্রভৃতি ক্ষেত্রে সমবায়ভিত্তিক অর্থনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে একটি আত্মনির্ভরশীল বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব।
১০ ঘণ্টা আগে