শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক নিয়োগ পাওয়ার পর পরই বিতর্কে জড়িয়েছিলেন নাট্যনির্দেশক ও শিক্ষক অধ্যাপক ড. সৈয়দ জামিল আহমেদ। ওই সময় ওয়াজ মাহফিল ও নারীদের বোরকা পরা নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করে সমালোচিত হয়েছিলেন তিনি। এবার এক অনুষ্ঠানে এসে নানা বিষয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়ে নাটকীয়ভাবে পদত্যাগপত্র তুলে দিলেন শিল্পকলা একাডেমির সচিবের হাতে। অপ্রাসঙ্গিকভাবে টেনে আনলেন আদিবাসী প্রসঙ্গ।
শুক্রবার সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির প্রশিক্ষণ বিভাগের আয়োজনে ‘মুনীর চৌধুরী প্রথম জাতীয় নাট্যোৎসব’-এর সমাপনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে সৈয়দ জামিল এসব কাণ্ড ঘটান। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন তিনি। কিন্তু একাডেমির মঞ্চে উঠে বক্তব্য না দিয়ে তিনি জানালেন পদত্যাগের কথা। মঞ্চে থাকা শিল্পকলা একাডেমির সচিব মোহাম্মদ ওয়ারেছ হোসেনের হাতে পদত্যাগপত্র তুলে দেন জামিল।
পরে বিতর্কিত এ নাট্যব্যক্তিত্ব বলেন, ‘আমি থিয়েটার করা বন্ধ করেছি। আমার ব্যক্তিগত জীবন ছিল না। আমি কাজ করেছি, শিল্পকলা একাডেমির জন্য, সবার আগে। আমি কোনো জায়গায় অর্থনৈতিক অনিয়ম করতে, অনৈতিক কাজ করতে দিতে চাইনি। আমি এই কাজগুলো করেছিলাম যেন সচিবালয় হস্তক্ষেপ না করে। আসিফ নজরুল সাহেব করেননি, ইদানীং ব্যাপকহারে হস্তক্ষেপ করছেন।’
সৈয়দ জামিল আরো বলেন, মন্ত্রণালয়ের হাত-পা ধরার কোনো জায়গা আমার নেই, দরকারও নেই। মন্ত্রণালয়ের কর্মচারীরা বুঝুক, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে আমরা কাজ করছি।
বক্তৃতার এক পর্যায়ে সৈয়দ জামিল সচিবের হাতে পদত্যাগপত্র তুলে দিয়ে ফের কথা শুরু করেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘আমলাতন্ত্রের পেছনে ১০ বার ফোন করে টাকা আদায় করা আমার নিজের কাজের জন্য নয়, শিল্পকলা একাডেমির জন্য। সেটা যদি না করতে দেয় এবং আমাদের যদি পদে পদে বাধা দেয়...। এটি (পদত্যাগপত্র) আমি (বৃহস্পতিবার) বিকাল থেকে আজ (শুক্রবার) সন্ধ্যা পর্যন্ত ভেবে আপনাকে (সচিব) দিলাম।’
এরপর সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিকভাবে আদিবাসী প্রসঙ্গ টেনে এনে সৈয়দ জামিল বলেন, যেহেতু আমি পদত্যাগপত্র দিয়ে দিয়েছি, আমাকে যে বলতে বাধা দেওয়া হয়েছিল, ‘আদিবাসী’ বলতে পারব না। আমি আজ বলছি, আদিবাসীদের দাবি পূর্ণ হোক, তাদের বিরুদ্ধে নির্যাতন বন্ধ হোক, তাদের অধিকার অর্জিত হোক।

