এনবিআরের তিন সদস্যসহ চারজনকে বাধ্যতামূলক অবসর

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ০২ জুলাই ২০২৫, ১৮: ১৮
আপডেট : ০২ জুলাই ২০২৫, ২০: ০৪

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তিন সদস্যসহ চারজনকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে সরকার। বুধবার পৃথক প্রজ্ঞাপনে এ আদেশ জারি করে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ।

যাদের বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে তারা হলেন- মো. শব্বির আহমদ (২০০২৪৩), কর কমিশনার (চলতি দায়িত্ব), কর অঞ্চল-বরিশাল (মূল পদ অতিরিক্ত কর কমিশনার), ড. মো. আবদুর রউফ (৩০০০০৭৫), সদস্য (চলতি দায়িত্ব) (মূসক নীতি), মো. আলমগীর হোসেন (২০০১৩৩), সদস্য (কর) (গ্রেড-২), এবং হোসেন আহমেদ (৩০০০০৪৩) সদস্য (গ্রেড ২), সদস্য (শুল্কনীতি ও আইসিটি)।

বিজ্ঞাপন

চারটি পৃথক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, যেহেতু তাদের চাকরিকাল ২৫ (পঁচিশ) বছর পূর্ণ হয়েছে এবং যেহেতু সরকার জনস্বার্থে তাকে সরকারি চাকরি হতে অবসর প্রদান করা প্রয়োজন মর্মে বিবেচনা করে; সেহেতু সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর ৪৫ ধারার প্রদত্ত ক্ষমতাবলে তাদেরকে সরকারি চাকরি হতে অবসর প্রদান করা হলো।

আদেশে আরও বলা হয়, তিনি বিধি অনুযায়ী অবসরজনিত সুবিধাদি প্রাপ্য হবেন। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জনস্বার্থে এই আদেশ জারি করা হলো।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের কমিশনার জাকির হোসেনকে সাময়িক বরখাস্তের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এরপর আজ বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের কমিশনার হিসেবে মোহাম্মদ শফি উদ্দিনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি বর্তমানে চট্টগ্রাম কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন। এই দায়িত্বের পাশাপাশি তিনি অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের কমিশনার হিসেবেও কাজ করবেন বলে জানানো হয়।

প্রসঙ্গত, এনবিআরের চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবিতে বেশ কিছু দিন ধরে আন্দোলন করে আসছিল এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ। সরকার তাদের দাবি না মানায় আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় গত শনিবার ও রোববার কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি পালন করেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। পরিস্থিতি আরও জটিল হওয়ার আগেই এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে সরকার।

নির্দেশনা জারি করে সকলকে স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরে যাওয়ার কথা বলে সরকার। নির্দেশ অমান্য করলে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। সেইসঙ্গে প্রথম দফায় আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা ৬ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে দুদক। তারপরই আন্দোলন প্রত্যাহার করা হয়। কিন্তু তারপরও আরও ৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে দুদক।

এরপর গতকাল প্রথমে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের কমিশনারকে সাময়িক বরখাস্ত এবং আজ চারজনকে ওএসডি করা হলো।

উল্লেখ্য, নির্দেশনা অমান্য করে গত ২৮ ও ২৯ জুন চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস বন্ধ রেখে আমদানি-রপ্তানি বাধাগ্রস্ত করার অভিযোগ রয়েছে কমিশনার জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে।

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিষয়:

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত