শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেছেন, স্কাউটিং কেবল ব্যাজ অর্জনের প্রক্রিয়া নয়; এটি চরিত্র গঠন, মানবিক মূল্যবোধ শেখা, দলগত নেতৃত্ব, দায়িত্ববোধ এবং সমাজসেবার এক যুগান্তকারী প্রশিক্ষণ।’
দুর্যোগ মোকাবেলায় স্কাউটদের অবদান উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, অগ্নিকাণ্ড বা যেকোনো দুর্যোগে দেশের প্রতিটি প্রান্তে সাধারণ মানুষের পাশে প্রথম সারিতে থাকে স্কাউট সদস্যরা। আত্মনির্ভরশীল ও সেবামুখী নাগরিক তৈরির জন্য স্কাউটিংয়ের বিস্তৃতি আরো বাড়ানো জরুরি।
শনিবার রাজধানীর কাকরাইলে বাংলাদেশ স্কাউটস-এর সদরদপ্তরে সংস্থাটির অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশ স্কাউটস-এর অন্তর্বর্তীকালীন জাতীয় নির্বাহী কমিটির উপদেষ্টা ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ এহছানুল হক। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ স্কাউটসের সভাপতি ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি।
অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত স্কাউট সদস্যদের হাতে শাপলা কাব অ্যাওয়ার্ড, প্রেসিডেন্ট স্কাউট অ্যাওয়ার্ড এবং প্রেসিডেন্ট’স রোভার স্কাউট অ্যাওয়ার্ড তুলে দেওয়া হয়।
এসময় শিক্ষা উপদেষ্টা জুলাই আন্দোলনে অংশ নেওয়া স্কাউটদের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করেন। তাদের প্রতি গভীর সম্মান জানিয়ে বলেন, জুলাই আন্দোলনে শহীদ ১১ জন স্কাউট ও আহতদের আত্মত্যাগ, আমাদের নতুন দেশ গড়ার স্বপ্নকে শক্তি দিয়েছে। তাদের ত্যাগ ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য চিরন্তন অনুপ্রেরণা।
আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের সাফল্য তুলে ধরে ড. আবরার বলেন, বিশ্বের ১৭৬টি স্কাউট দেশের মধ্যে বাংলাদেশ বর্তমানে চতুর্থ স্থানে অবস্থান করছে— এটি আমাদের গর্ব। এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের বিভিন্ন কমিটি ও সাব-কমিটিতে বাংলাদেশি স্কাউটদের নেতৃত্ব আমাদের সক্ষমতার দৃষ্টান্ত।
বাংলাদেশ স্কাউটসে নারীদের অংশগ্রহণ উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় শিক্ষা উপদেষ্টা স্কাউট নেতৃত্বকে ধন্যবাদ জানান।
অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত স্কাউটদের উদ্দেশে তিনি অনুপ্রেরণাদায়ী বার্তা দিয়ে বলেন, তোমরাই জাতির আগামী নেতৃত্ব। সততা, সাহস, দৃঢ়তা আর মানবিকতার মাধ্যমে নিজেদেরকে শ্রেষ্ঠ নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলবে - এটাই দেশের প্রত্যাশা।

