মিল্লাত অ্যালামনাই কনফারেন্সে মাহমুদুর রহমান

মালয়েশিয়ায় মিল্লাতিয়ানদের খুব সুনাম দেখেছি

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ০১ নভেম্বর ২০২৫, ১৪: ৩৫
আপডেট : ০১ নভেম্বর ২০২৫, ১৪: ৩৭

মালয়েশিয়ায় তা’মীরুল মিল্লাতের ছাত্রদের (মিল্লাতিয়ান) খুব সুনাম রয়েছে এবং এটা দেখে আমি খুব গর্ববোধ করেছিলাম মন্তব্য করেছেন আমারদেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান।

বিজ্ঞাপন

শনিবার ১১টার দিকে রাজধানীর বাংলাদেশ চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসা অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত প্রথম অ্যালামনাই কনফারেন্স ২০২৫ -এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

মাহমুদুর রহমান বলেন, তা’মীরুল মিল্লাত মাদরাসা যে কতটা সুনাম অর্জন করেছে সেটা আমি টের পেলাম যখন ২০১৯ সালে মালয়েশিয়ার ইসলামিক ইউনিভার্সিটিতে একটু লেখাপড়া করতে গেলাম। তখন ওখানে গিয়ে দেখলাম তা’মীরুল মিল্লাতের ছাত্রদের খুব সুনাম। এটা দেখে আমি খুব গর্ববোধ করেছিলাম। এটা আমার জন্য অত্যন্ত আনন্দের একটা সময় ছিল। আসলে মুসলমানদের জন্যে ইসলামী এবং আধুনিক শিক্ষার যে একটি মিশ্রণ, একটি মেলবন্ধন দরকার এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সেটা তা’মীরুল মিল্লাত খুব সফলভাবে দেখাতে পেরেছে।

তিনি বলেন, একারণেই আজকে তা’মীরুল মিল্লাতের ছেলেরা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হয়। মাদরাসা ছেলেরা বিভিন্ন আধুনিক সেক্যুলার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ভিপি-জিএস নির্বাচিত হয়। এটা এক ধরনের সফলতা।

আমার দেশ সম্পাদক আরো বলেন, আমি এই প্রসঙ্গে আপনাদের একটা পুরোনো ইতিহাস মনে করিয়ে দিতে চাই। এই বাংলাদেশে একজন সুফি ও মহান ব্যক্তি এমন একটি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন আজ থেকে শত শত বছর আগে, সেই মাদরাসা সারা বিশ্বে অন্যতম শ্রেষ্ঠ মাদরাসা হিসেবে পরিচিত ছিল। সেই মহান ব্যক্তির নাম শরফুদ্দিন আবু তাওয়ামা। শরফুদ্দিন আবু তাওয়ামার যে মাদরাসা সোনারগাঁতে ছিল সেটা সারা বিশ্বে একটা এক্সাম্পল ছিল। আবু তাওয়ামার মাদরাসা সারা বিশ্বের মুসলমানের জন্য আলোকবর্তিকা হয়ে দাঁড়িয়েছিল -তেমনি তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসা সারা বিশ্বে ইসলামী শিক্ষা এবং আধুনিক শিক্ষায় পৃথিবীতে এক নম্বর স্থান অধিকার করবে। এটা আমি স্বপ্ন দেখি এবং এটা আমি দেখতে চাই।

তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ যাইনুল আবেদীন শুভেচ্ছা বক্তব্যে বলেন, এই প্রতিষ্ঠানটি দিন দিন উন্নতির পথে এগিয়ে চলেছে। তবে দুঃখের বিষয়, লেখাপড়ার মান যেভাবে আরও উন্নত হওয়া প্রয়োজন ছিল, তা দেশ ও জাতীয় প্রেক্ষাপটে পুরোপুরি সম্ভব হয়নি। তবুও আমি আশাবাদী যে উদ্দেশ্যে এই দেশটি স্বাধীন হয়েছে, সেই উদ্দেশ্য একদিন অবশ্যই সফল হবে। যদি আল্লাহর কোরআন এ দেশে প্রতিষ্ঠিত হয়, এই দেশটি কোরআনের নির্দেশনা অনুযায়ী পরিচালিত হয়। তবেই এ দেশের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূর্ণতা পাবে।

অ্যালামনাইদের উদ্দেশ্যে মিল্লাত অধ্যক্ষ বলেন, এই দেশটি অসংখ্য ত্যাগ ও রক্তের বিনিময়ে স্বাধীন হয়েছে। আসুন, আমরা আমাদের সন্তানদেরকে ইসলামি শিক্ষায় শিক্ষিত করি, ইসলামের আলোয় সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনার যোগ্য করে তুলি। আল্লাহ তাআলা যেন তাদেরকে সেই তৌফিক দান করেন -যাতে তারা আল্লাহর বিধান অনুযায়ী দেশ পরিচালনা করতে পারে, সমাজকে সঠিক পথে এগিয়ে নিতে পারে, এবং তাদের সৃষ্টির উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য সফল করতে পারে।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন- আসসুন্নাহ ফাউন্ডেশন চেয়ারম্যান আহমাদুল্লাহ, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মহানগর দক্ষিণ আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকিব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ প্রমুখ।

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত