সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডে জিয়াউল আহসানকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ২১: ১৯
আপডেট : ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ২১: ২০

সাংবাদিক সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি দম্পতি হত্যা মামলায় সেনা কর্মকর্তা (বরখাস্ত) জিয়াউল আহসানকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে মামলা তদন্তে গঠিত টাস্কফোর্স সদস্যরা। বুধবার কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলগেটে তাকে দু’ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

বিজ্ঞাপন

গত বছরের ৫ আগস্ট পট পরিবর্তনের পর এই মামলা তদন্তে টাস্কফোর্স গঠন করা হয়। টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান। টাস্কফোর্সে আরো রয়েছেন পুলিশ সদর দফতরের ডিআইজি (প্রশাসন), র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) একজন প্রতিনিধি।

বৃহস্পতিবার পিবিআই’র প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোস্তফা কামাল আমার দেশকে বলেন, বুধবার সকাল বেলা কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলগেটে জিয়াউল আহসানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। বিভিন্ন সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জিয়াউল আহসানকে জড়িয়ে বিভিন্ন কথা উঠে আসে। এছাড়া হত্যাকাণ্ডের পর র‍্যাবের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক তৎকালীন লে. কর্নেল জিয়াউল আহসান সাগর-রুনির বাসায় গিয়েছিলেন।

জিজ্ঞাসাবাদে তিনি বলেছেন, সেদিন সকাল আটটার দিকে ওই বাসায় উপস্থিত ছিলেন তিনি।

জানা গেছে, টাস্কফোর্সের সদস্যরা বুধবার কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলগেটে যান। সেখানে জিয়াউল আহসানকে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেন।

এর আগে গত ১৩ জানুয়ারি সোমবার বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (আওয়ামী লীগ অংশ) এর সাবেক সভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরীকে পিবিআই কার্যালয়ে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন টাস্কফোর্সের সদস্যরা।

গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর এটিএন বাংলার চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এই হত্যা নিয়ে মাহফুজুর রহমানের বিভিন্ন বক্তব্যের প্রেক্ষিতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

গত বছরের ২৩ অক্টোবর সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্তে টাস্কফোর্স গঠন করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। টাস্কফোর্সকে এই হত্যা মামলার তদন্ত ছয় মাসের মধ্যে শেষ করে হাইকোর্টে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়।

উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের বাসায় সাংবাদিক দম্পতিকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়। সাগর ছিলেন মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক। তার স্ত্রী রুনি ছিলেন এটিএন বাংলার সিনিয়র রিপোর্টার।

চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের পর রুনির ভাই নওশের আলম রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় সেসময় মামলা করেছিলেন। মামলা তদন্তে শেরেবাংলা নগর থানার পুলিশ থেকে ধারাবাহিকভাবে ডিবি পুলিশ হয়ে সর্বশেষ র‌্যাবের হাতে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়। হাইকোর্টের নির্দেশে র‌্যাব দায়িত্ব পালন করলেও বারবার সময় ক্ষেপণ ছাড়া তদন্তের কোন অগ্রগতি হচ্ছিল না।

এমএস

বিষয়:

সাগর-রুনি
এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত