আমার দেশকে মীর মুগ্ধের বড় ভাই মীর দীপ্ত

মাহমুদুল হাসান আশিক

শেখ হাসিনা-কামালের ফাঁসির দণ্ডকে সরকার কিভাবে বাস্তবায়ন করবে এর সুস্পষ্ট পথ ও একটি রূপরেখা দেখতে চেয়েছেন জুলাই বিপ্লবে উত্তরায় শাহাদাত বরণ করা মীর মুগ্ধের বড় ভাই মীর মাহমুদুর রহমান দীপ্ত।
সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ফ্যাসিস্ট সরকার প্রধান শেখ হাসিনা ও তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের ফাঁসির দণ্ড দেওয়ার পর প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি এই দাবি জানান।
মীর মাহমুদুর রহমান বলেন, জনগণ চব্বিশের ৫ আগস্টেই তার রায় দিয়ে দিয়েছে। আমরা মনে করি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের এই রায় জনগণেরই রায়। জনগণের রায়ই এখন আদালতের মাধ্যমে এল। এর জন্য আমরা অবশ্যই কৃতজ্ঞ। তবে আরেক আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী মামুনকে যে ৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে -এর বিরুদ্ধে আমরা অবস্থান নিচ্ছি। আমাদের মামলায় আমরা এটি নিয়ে লড়বো এবং উচ্চ আদালতেও আমরা যাবো।
এই রায়ের মাধ্যমে স্নেহের ভাই হারানোর বেদনা, ব্যথা ও কষ্ট কিছুটা কমেছে কি-না? জানতে চাইলে তিনি আমার দেশকে বলেন, আসলে মুগ্ধকে হারানোর পর যদি খুশির কোনো মুহূর্তের কথা চিন্তা করি -সেটি হলো এই রায় ঘোষণা করার সময়। এসময় ভেতর থেকে একটা আনন্দ কাজ করছিল। অন্তত প্রাথমিকভাবে হলেও কিছুটা ব্যথা ও কষ্ট কমেছে। আনন্দে ভেতর থেকে কান্নাও এসেছে অনেক।
মীর দীপ্ত আরো বলেন, যখন কোনো শাসক বা ব্যক্তি নিজ জনগণের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ করে, তখন শুধু আইনই ভঙ্গ হয় না—ভেঙে যায় প্রজন্মের স্বপ্ন, নিরাপত্তা ও আস্থা। আমরা প্রতিশোধ চাই না; ন্যায় চাই। ন্যায়বিচারই সেই নীরব মানুষের কণ্ঠ, যাদের আর্তনাদ কেউ শুনতে চায়নি। মানবতাবিরোধী অপরাধ কোনো রাজনৈতিক বিতর্কের বিষয় নয়। এটি—সময়ের বিরুদ্ধে অপরাধ, জাতির বিরুদ্ধে অপরাধ, ভবিষ্যতের বিরুদ্ধে অপরাধ। এই অপরাধের বিচার না হলে জাতির আত্মা কখনো শান্তি খুঁজে পায় না।
ইতিহাস কখনো মানবতাবিরোধী অপরাধ ভুলে যায় না উল্লেখ করে তিনি বলেন, আজ না হোক, কাল—অপরাধীর নাম ইতিহাসের সেই অন্ধকার পাতায় চিরতরে লেখা থাকে, যেখান থেকে কেউ কোনো দিন ফিরে আসে না। এখন সময় এসেছে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর এগিয়ে আসার—সুস্পষ্ট পদক্ষেপ নেওয়ার এবং এমন একটি উদাহরণ তৈরি করার, যাতে পৃথিবীর কোনো প্রান্তে আর কখনো এমন নৃশংসতা ঘটতে না পারে।
শেখ হাসিনার রায়ের সময় মীর মুগ্ধের ভাই (যমজ) মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে এসেছেন। ভাইয়ের হত্যাকাণ্ডে নেতৃত্বে থাকা ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা–কামালের রায় শোনার জন্য তিনি এসেছিলেন।
এর আগে শেখ হাসিনাকে ‘খুনি’ উল্লেখ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া পোস্টে তিনি লেখেন, যতদিন পর্যন্ত এই খুনি হাসিনাকে ফিরিয়ে এনে দেশের মাটিতে ফাঁসির দড়িতে না ঝোলানো হচ্ছে, ততদিন সকাল-বিকেল, সজ্ঞানে কিংবা ঘুমের স্বপ্নেও এই স্বৈরাচার হাসিনার নাম মাথায় ঘুরবে।’ সেখানে তিনি আরও লেখেন, এই খুনি শেখ হাসিনা যতদিন ফাঁসির দড়িতে না ঝুলছে, ততদিন শান্তি নেই।
‘পানি লাগবে পানি?’ এই প্রশ্ন বাংলাদেশের ইতিহাসে রয়ে যাবে অনন্তকাল। গত বছরের ১৮ জুলাই রাজধানীর উত্তরা আজমপুর এলাকায় মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধ যখন পানির কেস হাতে নিয়ে ক্লান্ত শিক্ষার্থীদের মাঝে পানি বিতরণ করছিলেন। তখন ঠিক এই প্রশ্নটিই করছিলেন, ‘পানি লাগবে পানি?’। এভাবে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মাঝে পানি বিতরণ করতে করতে কাঁদানে গ্যাসের তীব্র ঝাঁজ ও পুলিশি হামলায় একসময় ক্লান্ত হয়ে বসেছিলেন সড়ক বিভাজনের উপর। সেখানেই ঘাতকের গুলি মাথায় এসে লাগলে শহীদ হন মীর মুগ্ধ।
শহীদ আবু সাঈদকে গুলি করে হত্যা করার পর যেভাবে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন গণজোয়ারে পরিণত হয়, সেটিকে আরো বেশি উত্তাল করে তোলে মীর মুগ্ধের শাহাদাতের খবর। এরপর সে আন্দোলন পরিণত হয় জুলাই বিপ্লবে।
শেখ হাসিনার পলায়নের পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জুলাই বিপ্লবের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধে মামলা হয়। মামলাটির রায়ে সোমবার পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ও তার সহযোগী কামাল ফাঁসির দণ্ডে দণ্ডিত হন। এছাড়া অপর আসামি ও রাজসাক্ষী সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

শেখ হাসিনা-কামালের ফাঁসির দণ্ডকে সরকার কিভাবে বাস্তবায়ন করবে এর সুস্পষ্ট পথ ও একটি রূপরেখা দেখতে চেয়েছেন জুলাই বিপ্লবে উত্তরায় শাহাদাত বরণ করা মীর মুগ্ধের বড় ভাই মীর মাহমুদুর রহমান দীপ্ত।
সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ফ্যাসিস্ট সরকার প্রধান শেখ হাসিনা ও তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের ফাঁসির দণ্ড দেওয়ার পর প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি এই দাবি জানান।
মীর মাহমুদুর রহমান বলেন, জনগণ চব্বিশের ৫ আগস্টেই তার রায় দিয়ে দিয়েছে। আমরা মনে করি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের এই রায় জনগণেরই রায়। জনগণের রায়ই এখন আদালতের মাধ্যমে এল। এর জন্য আমরা অবশ্যই কৃতজ্ঞ। তবে আরেক আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী মামুনকে যে ৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে -এর বিরুদ্ধে আমরা অবস্থান নিচ্ছি। আমাদের মামলায় আমরা এটি নিয়ে লড়বো এবং উচ্চ আদালতেও আমরা যাবো।
এই রায়ের মাধ্যমে স্নেহের ভাই হারানোর বেদনা, ব্যথা ও কষ্ট কিছুটা কমেছে কি-না? জানতে চাইলে তিনি আমার দেশকে বলেন, আসলে মুগ্ধকে হারানোর পর যদি খুশির কোনো মুহূর্তের কথা চিন্তা করি -সেটি হলো এই রায় ঘোষণা করার সময়। এসময় ভেতর থেকে একটা আনন্দ কাজ করছিল। অন্তত প্রাথমিকভাবে হলেও কিছুটা ব্যথা ও কষ্ট কমেছে। আনন্দে ভেতর থেকে কান্নাও এসেছে অনেক।
মীর দীপ্ত আরো বলেন, যখন কোনো শাসক বা ব্যক্তি নিজ জনগণের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ করে, তখন শুধু আইনই ভঙ্গ হয় না—ভেঙে যায় প্রজন্মের স্বপ্ন, নিরাপত্তা ও আস্থা। আমরা প্রতিশোধ চাই না; ন্যায় চাই। ন্যায়বিচারই সেই নীরব মানুষের কণ্ঠ, যাদের আর্তনাদ কেউ শুনতে চায়নি। মানবতাবিরোধী অপরাধ কোনো রাজনৈতিক বিতর্কের বিষয় নয়। এটি—সময়ের বিরুদ্ধে অপরাধ, জাতির বিরুদ্ধে অপরাধ, ভবিষ্যতের বিরুদ্ধে অপরাধ। এই অপরাধের বিচার না হলে জাতির আত্মা কখনো শান্তি খুঁজে পায় না।
ইতিহাস কখনো মানবতাবিরোধী অপরাধ ভুলে যায় না উল্লেখ করে তিনি বলেন, আজ না হোক, কাল—অপরাধীর নাম ইতিহাসের সেই অন্ধকার পাতায় চিরতরে লেখা থাকে, যেখান থেকে কেউ কোনো দিন ফিরে আসে না। এখন সময় এসেছে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর এগিয়ে আসার—সুস্পষ্ট পদক্ষেপ নেওয়ার এবং এমন একটি উদাহরণ তৈরি করার, যাতে পৃথিবীর কোনো প্রান্তে আর কখনো এমন নৃশংসতা ঘটতে না পারে।
শেখ হাসিনার রায়ের সময় মীর মুগ্ধের ভাই (যমজ) মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে এসেছেন। ভাইয়ের হত্যাকাণ্ডে নেতৃত্বে থাকা ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা–কামালের রায় শোনার জন্য তিনি এসেছিলেন।
এর আগে শেখ হাসিনাকে ‘খুনি’ উল্লেখ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া পোস্টে তিনি লেখেন, যতদিন পর্যন্ত এই খুনি হাসিনাকে ফিরিয়ে এনে দেশের মাটিতে ফাঁসির দড়িতে না ঝোলানো হচ্ছে, ততদিন সকাল-বিকেল, সজ্ঞানে কিংবা ঘুমের স্বপ্নেও এই স্বৈরাচার হাসিনার নাম মাথায় ঘুরবে।’ সেখানে তিনি আরও লেখেন, এই খুনি শেখ হাসিনা যতদিন ফাঁসির দড়িতে না ঝুলছে, ততদিন শান্তি নেই।
‘পানি লাগবে পানি?’ এই প্রশ্ন বাংলাদেশের ইতিহাসে রয়ে যাবে অনন্তকাল। গত বছরের ১৮ জুলাই রাজধানীর উত্তরা আজমপুর এলাকায় মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধ যখন পানির কেস হাতে নিয়ে ক্লান্ত শিক্ষার্থীদের মাঝে পানি বিতরণ করছিলেন। তখন ঠিক এই প্রশ্নটিই করছিলেন, ‘পানি লাগবে পানি?’। এভাবে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মাঝে পানি বিতরণ করতে করতে কাঁদানে গ্যাসের তীব্র ঝাঁজ ও পুলিশি হামলায় একসময় ক্লান্ত হয়ে বসেছিলেন সড়ক বিভাজনের উপর। সেখানেই ঘাতকের গুলি মাথায় এসে লাগলে শহীদ হন মীর মুগ্ধ।
শহীদ আবু সাঈদকে গুলি করে হত্যা করার পর যেভাবে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন গণজোয়ারে পরিণত হয়, সেটিকে আরো বেশি উত্তাল করে তোলে মীর মুগ্ধের শাহাদাতের খবর। এরপর সে আন্দোলন পরিণত হয় জুলাই বিপ্লবে।
শেখ হাসিনার পলায়নের পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জুলাই বিপ্লবের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধে মামলা হয়। মামলাটির রায়ে সোমবার পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ও তার সহযোগী কামাল ফাঁসির দণ্ডে দণ্ডিত হন। এছাড়া অপর আসামি ও রাজসাক্ষী সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

ডাকসুর ভিপি সাদিক কায়েম বলেন, “জুলাই আবার নতুনভাবে বিজয়ী হয়েছে। ইনসাফের বিজয় হয়েছে। জালিম, খুনি হাসিনা গত ১৬ বছরে গুম, খুন, আয়নাঘর এবং শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়নের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল। সেই খুনি হাসিনার আজকে মৃত্যুদণ্ড রায় ঘোষিত হয়েছে।”
১ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এ বিবৃতিতে তিনি বলেন, আজ বাংলাদেশের আদালত এমন স্পষ্ট ভাষায় কথা বলেছে যা দেশের ভেতর থেকে বৈশ্বিক পরিসর পর্যন্ত প্রতিধ্বনিত হয়েছে। এ রায় জুলাইুআগস্ট ২০২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে নিহত ও ক্ষতিগ্রস্ত হাজারো মানুষের প্রতি পর্যাপ্ত না হলেও ন্যায়বিচারের একটি গুরুত্বপূর্ণ...
২ ঘণ্টা আগে
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়ে ন্যায়বিচার নিশ্চিত হয়েছে মন্তব্য করে আজ সংবাদমাধ্যমে বিবৃতি দিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম
২ ঘণ্টা আগে
চব্বিশের জুলাই–আগস্টে সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
২ ঘণ্টা আগে