বাংলাদেশে শুঁটকি রপ্তানি বন্ধে বিপাকে ভারতের শত শত পরিবার

বিশেষ প্রতিনিধি, কলকাতা
প্রকাশ : ২৭ জুন ২০২৫, ০১: ২৪

ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্যিক সম্পর্কের টানাপোড়েনে ক্ষতির মুখে পড়েছেন সুন্দরবনের শুঁটকি মাছ ব্যবসায়ীরা। ফ্রেজারগঞ্জ, কাকদ্বীপ, পাথরপ্রতিমা ও বকখালি এলাকার বহু পরিবার মূলত এ ব্যবসার ওপর নির্ভরশীল।

সম্প্রতি দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতির কারণে বাংলাদেশে শুঁটকি রপ্তানি কার্যত বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এ ব্যবসা মুখথুবড়ে পড়েছে। এলাকার শত শত মৎস্যজীবী, যারা নদী ও সমুদ্র থেকে মাছ সংগ্রহ করে তা শুকিয়ে পাইকারি ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে বিদেশে বিক্রি করতেন, এখন কার্যত তারা কর্মহীন। এ ব্যবসার মাধ্যমে তারা সারা বছরের রোজগার নিশ্চিত করতেন। কিন্তু বর্তমানে বিক্রি না হওয়ায় শুকনা মাছ জমে যাচ্ছে। এতে আয় কমে যাওয়ায় তাদের দিন চলছে ধারদেনা করে।

বিজ্ঞাপন

তার ওপর বর্ষা নামায় চরম অনিশ্চয়তায় ভুগছে এ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত পরিবারগুলো। তাদের বক্তব্য, সরকার যদি কৃষক, শ্রমিক ও মাঝিদের জন্য সাহায্যের হাত বাড়াতে পারে, তবে আমাদের কথাও ভাবা উচিত। আমরা কাজ করতে চাই কিন্তু বাজার নেই, রপ্তানির রাস্তাও বন্ধ।

স্থানীয়দের দাবি, দ্রুত এ সমস্যা সমাধানে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে এগিয়ে আসা উচিত। নইলে অদূর ভবিষ্যতে বহু পরিবারকে অনাহারে দিন কাটাতে হতে পারে। সুন্দরবনের প্রান্তিক মানুষের এ সংকটে সরকারি হস্তক্ষেপ এখন সময়ের দাবি।

সাধারণত শীত পড়তেই জোরকদমে শুরু হয় শুঁটকি মাছ তৈরির কাজ। বাংলা থেকে এ শুঁটকি যায় আসাম, ত্রিপুরাসহ দেশের মধ্যে একাধিক রাজ্যে। সেই সঙ্গে বিপুল পরিমাণ শুঁটকি মাছ যায় বাংলাদেশেও।

ওপার বাংলায় শুঁটকির ভালো চাহিদা রয়েছে। তবে এ বছর বড় পাইকারি ব্যবসায়ীরা যারা বাংলাদেশে মাছ রফতানি করেন, তারা মাছ নিতে চাইছেন না দুই দেশে সাম্প্রতিক সম্পর্কের অবনতির কারণে।

ইসলামী আন্দোলনের সঙ্গে আইআরআই প্রতিনিধি দলের বৈঠক

শুক্র-শনিবারও চলবে বিমানবন্দরের শুল্কায়ন কার্যক্রম

প্রধান উপদেষ্টার আদেশে জুলাই সনদের আইনি রূপ দিতে হবে

নভেম্বরের মধ্যে তিস্তা মহাপরিকল্পনা শুরুর দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি

আইআরআই’র সঙ্গে নির্বাচনের প্রক্রিয়া ও ইসির নিরপেক্ষতা নিয়ে আলোচনা এনসিপির

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত