বিটিআরসির গণশুনানিতে অভিযোগ দিতে পারবেন গ্রামের গ্রাহকও

আল-আমিন
প্রকাশ : ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ১১: ৫১

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) দেড় বছর পর আবার গণশুনানি করতে যাচ্ছে। নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে বিটিআরসি ভবনে জুম প্ল্যাটফর্মে ষষ্ঠবারের মতো এ গণশুনানি হবে।

বিজ্ঞাপন

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গণশুনানির কর্মপরিকল্পনায় রয়েছে—গ্রাহকের অভিযোগ শোনা, নীতিমালা উন্নয়ন ও সেবার মান যাচাইসংক্রান্ত আলোচনা। মিটিংয়ে গ্রাহকরা সরাসরি প্রশ্ন করতে পারবেন। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা তখন ওই সমস্যার সমাধান দেবেন। এছাড়া তাদের নতুন কী উদ্যোগ রয়েছে, সেটিও তারা গ্রাহকদের বলবেন। গ্রাহকদের অভিযোগগুলো সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা নথিভুক্ত করবেন। পাশাপাশি অভিযোগগুলো প্রতিবেদন আকারে গণমাধ্যমকে জানানো হবে। গ্রাহকদের অভিযোগ সমাধানের জন্য আলাদা মনিটরিং টিম গঠন করবে বিটিআরসি।

একাধিক গ্রাহকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মোবাইলে নেটওয়ার্ক দুর্বলতা দিন দিন বাড়ছে। বিশেষ করে টেলিটকের নেটওয়ার্ক নিয়ে গ্রাহকদের বিস্তর অভিযোগ আছে। কলড্রপ সমস্যাও রয়েছে। গ্রামপর্যায়ে ইন্টারনেটের ধীরগতির কারণে প্রযুক্তিগত কাজে সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মানুষ। এর পরিপ্রেক্ষিতে গ্রাহকদের দাবি, এসব শুনানি জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে করা গেলে তাদের অভিযোগগুলো সরাসরি করতে পারবেন। এতে বিটিআরসির জবাবদিহি বাড়বে।

এছাড়াও সিম নিবন্ধনের সময় বায়োমেট্রিক রেজিস্ট্রেশন নিয়ে জটিলতায় পড়ছেন গ্রাহকরা। তাদের এসব ভোগান্তি দিন দিন যেমন বাড়ছে, পাশাপাশি তাদের অভিযোগগুলো তাৎক্ষণিক জানাতে পারছেন না। এতে তৃণমূলের মানুষের ক্ষোভ বাড়ছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ওপর।

নীলফামারীর জলঢাকার গ্রাহক সুমন জানান, তাদের এলাকায় মোবাইলে কলড্রপ সমস্যা রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে কোথাও অভিযোগ দিতে পারেননি। শুনানিতে এবার অভিযোগ দেবেন।

বগুড়ার দুপচাঁচিয়ার বাসিন্দা আরমান হোসেন বলেন, আমার কম্পিউটারের দোকান রয়েছে। দোকানে ইন্টারনেট ব্যবহার করা হয়। কিন্তু ইন্টারনেটের গতি অনেক কম। এতে কাজে ব্যাঘাত ঘটে। এছাড়াও সিম বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।

বিটিআরসি সূত্রে জানা গেছে, কমিশন এ পর্যন্ত পাঁচটি গণশুনানি আয়োজন করেছে। ২০১৬ সালের ২২ নভেম্বর বিটিআরসি ভবনে প্রথম গণশুনানির আয়োজন করা হয়। সেখানে আলোচ্য বিষয় ছিল নিম্নমানের ভয়েস কল ও বায়োমেট্রিক সমস্যা। এরপর ২০১৯, ২০২১, ২০২২ এবং ২০২৪ সালে চারবার গণশুনানি হয়। এতে সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান, ফোন ব্যবহারকারী, ভোক্তা অধিকার সংস্থা, পেশাজীবী, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, মোবাইল ফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন, বিটিআরসির লাইসেন্সধারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও তাদের অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং সাধারণ ভোক্তারা অংশ নেন।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে বিটিআরসি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. এমদাদ উল বারী গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আমার দেশকে বলেন, আমরা গণশুনানিকে প্রান্তিক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ভার্চুয়ালি করছি। প্রত্যন্ত এলাকার মানুষ শুনানিতে তাদের সব অভিযোগ বিটিআরসির কাছে করতে পারবেন।

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত