শতাধিক মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি বাতিলের খবর ভিত্তিহীন: প্রেস উইং

ঢাবি সংবাদদাতা
প্রকাশ : ০৪ জুন ২০২৫, ১৪: ১৫
আপডেট : ০৪ জুন ২০২৫, ১৪: ৫১

গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়া জাতীয় চার নেতাসহ চার শতাধিক মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি বাতিলের খবর ভিত্তিহীন বলেছে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস উইং। বুধবার দুপুরে ‘সিএ প্রেস উইং ফ্যাক্টস’ পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়।

এর আগে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) আইন-২০২২ সংশোধন করে আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিভাগ থেকে অধ্যাদেশ জারির পর থেকে মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদসহ ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বিজয়ী রাজনীতিবিদের (এমএনএ/এমপিএ) ‘বীর মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি’ থেকে বাদ দেওয়ার খবর প্রকাশ হয়।

বিজ্ঞাপন

পরে এসব খবরকে ‘সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিকর’ বলে উল্লেখ করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।

পোস্টে বলা হয়েছে, ‘মুজিবনগর সরকারের রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান, অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ এবং দুই মন্ত্রী মো. মনসুর আলী ও এ এইচ এম কামরুজ্জামানসহ শতাধিক নেতার মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিল বলে কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিকর।’

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজমের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, মুজিবনগর সরকারে যারা ছিলেন, তারাও মুক্তিযোদ্ধা। যারা সশস্ত্রভাবে মুক্তিযুদ্ধ করেছে; যারা পরিচালনা করেছে, তারাও মুক্তিযোদ্ধা। তবে ওই সরকারের কর্মকর্তা, কর্মচারীরা সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা।’

Ca

উপদেষ্টা আরও জানান, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) অধ্যাদেশ অনুযায়ী স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রসহ কূটনীতিকরা সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা। সহযোগী মানে এই নয়, যে তাদের সম্মান ক্ষুণ্ন করা হয়েছে। ১৯৭২ সালে মুক্তিযোদ্ধার যে সংজ্ঞা ছিল সেটাই বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ২০১৮ ও ২০২২ সালে এটা পরিবর্তন করা হয়। মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী দুইয়েরই সম্মান, মর্যাদা, সুযোগ-সুবিধা একই থাকবে।

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিষয়:

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত