
স্টাফ রিপোর্টার

জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ জারি করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। বৃহস্পতিবার তিনি আদেশ জারির পর তার গেজেট প্রকাশিত হয়।
এই আদেশের ভিত্তিতে গণভোট হবে। গণভোটে যেসব বিষয় থাকবে তা এই আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে। গণভোটের জন্য নির্বাচন কমিশন প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন করবে বলেও আদেশে জানানো হয়েছে।
গেজেটের হুবহু তুলে ধরা হলো
আদেশ নং ০১, ২০২৫
জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫
যেহেতু সুদীর্ঘ গণতান্ত্রিক সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত ছাত্র-জনতার সফল গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতা ও অভিপ্রায়ের প্রকাশ ঘটিয়াছে; এবং
যেহেতু উক্ত গণঅভ্যুত্থানের ফলে ৫ আগস্ট ২০২৪ (২১ শ্রাবণ ১৪৩১) তারিখে তৎকালীন ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন ঘটে, ৬ আগস্ট ২০২৪ (২২ শ্রাবণ ১৪৩১) তারিখে জাতীয় সংসদ ভাঙ্গিয়া দেওয়া হয় এবং ৮ আগস্ট ২০২৪ (২৪ শ্রাবণ ১৪৩১) তারিখে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়, যাহা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কার্যকারিতা ও স্বীকৃতি লাভ করিয়াছে; এবং
যেহেতু রাষ্ট্রীয় সংস্কার সাধনের মাধ্যমে সুশাসন, গণতন্ত্র ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং কর্তৃত্ববাদী ও ফ্যাসিবাদী শাসনের পুনরাবৃত্তি রোধ করিবার উদ্দেশ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, বিচার বিভাগ, পুলিশ প্রশাসন ও দুর্নীতি দমন ব্যবস্থায় সংস্কারের সুপারিশ প্রণয়নের লক্ষ্যে ৬টি সংস্কার কমিশন গঠন করে এবং উক্ত কমিশনসমূহ স্ব স্ব প্রতিবেদন সরকারের নিকট পেশ করে; এবং
যেহেতু উপরিউক্ত প্রতিবেদনগুলিতে অন্তর্ভুক্ত সুপারিশসমূহের বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার সরকার ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ (২৯ মাঘ ১৪৩২) তারিখে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করে;
যেহেতু জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী সকল রাজনৈতিক দল ও টির সহিত আলোচনাক্রমে সংবিধান সংস্কারসহ অন্যান্য সংস্কারের সুপারিশ সংবলিত জুলাই নীয় সনদ ২০২৫ প্রণয়ন করে এবং রাজনৈতিক দল ও জোটসমূহ সম্মিলিতভাবে উক্ত সনদে স্বাক্ষর তাহা বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করে; এবং
যেহেতু সংবিধান সংস্কার বিষয়ে জুলাই জাতীয় সনদে অন্তর্ভুক্ত প্রস্তাবসমূহ বাস্তবায়নের জন্য প্রিভৌম ক্ষমতার অধিকারী জনগণের অনুমোদন প্রয়োজন এবং তদুদ্দেশ্যে গণভোট অনুষ্ঠান, বিধান সংস্কার পরিষদ গঠন ও উক্ত পরিষদ কর্তৃক সংবিধান সংস্কার করার আবশ্যকতা রহিয়াছে;
যেহেতু উপরে বর্ণিতমতে জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫ বাস্তবায়ন সম্পন্ন করিবার জন্য একটি অনুষ্ঠানিক আদেশ জারি করা একান্ত প্রয়োজন;
সেহেতু ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত ছাত্র-জনতার সফল গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রকাশিত জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতা ও অভিপ্রায়ের ভিত্তিতে এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পরামর্শক্রমে, রাষ্ট্রপতি এই আদেশ জারি করিলেন-
১। সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন। (১) এই আদেশ জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫ নামে অভিহিত হইবে।
(২) এই আদেশের -
(ক) ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ১২ ও ১৫ অনুচ্ছেদ অবিলম্বে কার্যকর হইবে, এবং
(খ) ৭, ৮, ৯, ১০, ১১, ১৩ ও ১৪ অনুচ্ছেদ গণভোটের ইতিবাচক ফলাফল সাপেক্ষে সরকারি গেজেটে প্রকাশের তারিখে কার্যকর হইবে।
২। সংজ্ঞা।-বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোনো কিছু না থাকিলে, এই আদেশে,
(ক) "গণভোট” অর্থ এই আদেশের অধীনে অনুষ্ঠিত গণভোট;
(খ) "জুলাই গণঅভ্যুত্থান" অর্থ ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে বাংলাদেশে সংঘটিত ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান;
(গ) "জুলাই জাতীয় সনদ অর্থ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কর্তৃক গঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের উদ্যোগে রাজনৈতিক দল ও জোটসমূহ এবং উক্ত কমিশন কর্তৃক স্বাক্ষরিত জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫:
(ঘ) 'জাতীয় সংসদ" অর্থ সংবিধানের ৬৫ অনুচ্ছেদ অনুসারে গঠিত জাতীয় সংসদঃ
(৫) "নির্বাচন কমিশন" অর্থ সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী গঠিত নির্বাচন কমিশনঃ
(চ) "নির্বাচিত প্রতিনিধি" অর্থ সংবিধানের ৬৫ অনুচ্ছেদের (২) দফা অনুসারে গঠিত জাতীয় সংসদের সকল সংসদ সদস্য;
(ছ) "পরিষদ” অর্থ এই আদেশের ৭ অনুচ্ছেদ অনুসারে গঠিত সংবিধান সংস্কার পরিষদ;
(জ) "সভাপ্রধান" অর্থ এই আদেশের ৯ অনুচ্ছেদ অনুসারে পরিষদের সভায় সভাপ্রধান হিসাবে দায়িত্ব পালনকারী ব্যক্তি;
(ক) 'সংবিধান" অর্থ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান; এবং
(ঞ) "সংসদ নির্বাচন" অর্থ এই আদেশ জারির অব্যবহিত পরে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদের সাধারণ নির্বাচন।
৩। জুলাই জাতীয় সনদে অন্তর্ভুক্ত সংবিধান সংস্কার বিষয়ে গণভোট। জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতা প্রয়োগের উদ্দেশ্যে এই আদেশ এবং জুলাই জাতীয় সনদের সংবিধান সংস্কার সম্পর্কিত অংশ গণভোটে উপস্থাপন করা হইবে।
৪। গণভোটের ব্যালটে উপস্থাপনীয় প্রশ্ন। (১) গণভোটে নিম্নরূপ প্রশ্ন উপস্থাপন করা হইবে
"আপনি কি জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫ এবং জুলাই জাতীয় সনদে লিপিবদ্ধ সংবিধান সংস্কার সম্পর্কিত নিম্নলিখিত প্রস্তাবসমূহের প্রতি আপনার সম্মতি জ্ঞাপন করিতেছেন?"; (হাঁ। না):
(ক) নির্বাচনকালীন তত্বাবধায়ক সরকার, নির্বাচন কমিশন এবং অন্যান্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান জুলাই সনদে বর্ণিত প্রক্রিয়ার আলোকে গঠন করা হইবে।
(ঘ) আগামী জাতীয় সংসদ হইবে দুই কক্ষ বিশিষ্ট। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলগুলোর প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে ১০০ সদস্য বিশিষ্ট একটি উচ্চ কক্ষ গঠিত হইবে এবং সংবিধান সংশোধনী করিতে হলে উচ্চকক্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের অনুমোদন দরকার হইবে।
(গ) সংসদে নারীর প্রতিনিধি বৃদ্ধি, বিরোধী দল হইতে ডেপুটি স্পীকার ও কয়েকটি সংসদীয় কমিটির সভাপতি নির্বাচন, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সীমিতকরন, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বৃদ্ধি, মৌলিক অধিকার, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, স্থানীয় সরকার সহ বিভিন্ন বিষয়ে যে ৩০ টি প্রস্তাবে জুলাই জাতীয় সনদে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যমত হইয়াছে-সেগুলো বাস্তবায়নে আগামী সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী দলগুলো বাধ্য থাকিবে।
(ঘ) জুলাই জাতীয় সনদে বর্ণিত অপরাপর সংস্কার রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিশ্রুতি অনুসারে বাস্তবায়ন করা হইবে।
(২) ব্যালটের মাধ্যমে গণভোট অনুষ্ঠিত হইবে এবং নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত ব্যালটে প্রত্যেক ভোটার গোপনে ভোটদান করিবেন।
৫। গণভোট অনুষ্ঠান। এই আদেশ জারির অব্যবহিত পর অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন এই আদেশ অনুসারে গণভোট অনুষ্ঠান করা হইবে।
৬। গণভোট অনুষ্ঠানের জন্য আইন প্রণয়ন। গণভোট অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্দেশ্যে যথোপযুক্ত আইন প্রণয়ন করা হইবে।
৭। সংবিধান সংক্ষার পরিষদ গঠন, উহার কার্যাবলি ও বিলুপ্তি। (১) গণভোটে উপস্থাপিত
প্রশ্নের উত্তরে প্রদত্ত সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট (হ্যাঁ) সূচক হইলে,-
(ক) এই আদেশ জারির অব্যবহিত পর অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদের সাধারণ নির্বাচনে নির্বাচিত প্রতিনিধিগণের সমন্বয়ে একটি সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠিত হইবে, যাহা সংবিধান সংস্কার বিষয়ে সকল ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারিবে;
(খ) উক্ত নির্বাচনে নির্বাচিত প্রতিনিধিগণ একইসাথে জাতীয় সংসদের সদস্য হিসাবে এবং এই আদেশ অনুসারে সংবিধান সংস্কার পরিষদের সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করিবেন;
(গ) পরিষদ উহার প্রথম অধিবেশন শুরুর তারিখ হইতে ১৮০ (একশত আশি) কার্য দিবসের মধ্যে জুলাই জাতীয় সনদ এবং গণভোটের ফলাফল অনুসারে সংবিধান সংস্কার সম্পন্ন করিবে এবং তাহা সম্পন্ন করিবার পর পরিষদের কার্যক্রম সমাপ্ত হইবে।
(২) পরিষদের কার্যধারায় অংশগ্রহণের সময় নির্বাচিত প্রতিনিধিগণ পরিষদ সদস্য হিসাবে অভিহিত হইবেন।
(৩) এই আদেশের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, পরিষদ ইহার অধিবেশন আহ্বান ও মুলতবি, সংবিধান সংস্কার বিষয়ক প্রস্তাব উত্থাপনের পদ্ধতি, উক্ত প্রস্তাব বিবেচনা ও গ্রহণ এবং অন্য সকল বিষয়ে কার্যপ্রণালী নির্ধারণ করিবে।
(৪) জাতীয় সংসদ সচিবালয় পরিষদকে সাচিবিক সহায়তা প্রদান করিবে।
১৮। শপথ এবং শপথ-পাঠ পরিচালনা। (১) নির্বাচিত প্রতিনিধিগণ সংসদ-সদস্য হিসাবে শলম গ্রহণের পর একই শপথ অনুষ্ঠানে এই আদেশের তফসিল-১ অনুযায়ী পরিষদ-সদস্য হিসাবে শপথ গ্রহণ করিবেন এবং অনুরুপ শপথপত্রে স্বাক্ষর দান করিবেন।
(২) সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত সংসদ-সদস্যদের ক্ষেত্রে যিনি শপথ-পাঠ পরিচালনা করিবেন তিনিই এই আদেশের তফসিল-১ এ বিসৃত ফরমে পরিষদ সদস্যদের শপথ-পাঠ পরিচালনা করিবেন।
৯। পরিষদের সভাপ্রধান। (১) পরিষদের প্রথম অধিবেশনের প্রথম বৈঠকে পরিষদ-সদস্যগণ ইহার সভাপ্রধান ও উপ-সভাপ্রধান নির্বাচন করিবে, এবং উক্তরূপ নির্বাচনের পূর্ব পর্যন্ত পরিষদের বয়োজ্যেষ্ঠ একজন সদস্য সংখ্যাগরিষ্ঠ সদসার সম্মতিক্রমে বৈঠকে সভাপ্রধান হিসাবে দায়িত্ব পালন করিবেন।
(২) সভাপ্রধান ও উপ-সভাপ্রধান উভয়ের অনুপস্থিতিতে পরিষদের কার্যপ্রণালী অনুযায়ী কোন পরিষদ-সদস্য সভাপ্রধানের দায়িত্ব পালন করিবেন।
১০। পরিষদের অধিবেশন আজান, কোরাম, ভোটদান, ইত্যাদি।-(১) সংসদ নির্বাচনের ফল
ঘোষিত হইবার ৩০ (ত্রিশ) পঞ্জিকা দিবসের মধ্যে যে পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন আন্তান করা হইবে অনুরূপ পদ্ধতিতে পরিষদের প্রথম অধিবেশন আজান করা হইবে।
(২) পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ন্যূনতম ১০ (আট) জন পরিষদ সদস্যের উপস্থিতি প্রয়োজন হইবে।
(৩) সংবিধান সংস্কার সংক্রান্ত কোনো প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য পরিষদের মোট সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে সিদ্ধান্ত গৃহীত হইবে, এবং অন্যান্য বিষয়ে উপস্থিত ও ভোটদানকারী সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে পরিষদে সিদ্ধান্ত গৃহীত হইবে:
তবে শর্ত থাকে যে, সমসংখ্যক জোটের ক্ষেত্রে সভাপ্রধান নির্ণায়ক ভোট প্রদান করিবেন।
১১। পরিষদ ও উহার সদস্যদের বিশেষ অধিকার ও দায়মুক্তি। পরিষদের কোনো কার্যধারার বৈখতা এবং পরিষদ-সদস্যদের বিশেষ অধিকার ও দায়মুক্তি আতীয় সংসদ ও সংসদ সদস্যদের অনুরূপ হইবে।
১২। দুলাই জাতীয় সনদ সংবিধানে অন্তর্ভুক্তকরণ। জুলাই আত্মীয় সনদ বাস্তবায়নের অঙ্গীকারনামা অনুসারে সংবিধানে জুলাই জাতীয় সনদ অন্তর্ভুক্ত করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হইবে।
১০। সংবিধান সংস্কার অবিলম্বে কার্যকর করা।(১) এই আদেশের ৭ অনুচ্ছেদের উপ-অনুচ্ছেদ (১৪৭) অনুসারে সংবিধান সংস্কার সাম্পন্ন হইবার পর যে সকল সংস্কার অবিলছে কার্যকর করা সম্ভব আহা অবিলম্বে কার্যকর করা হইবে এবং এইক্ষেত্রে সরকার সকল যথোপযুক্ত। ব্যাবস্থা গ্রহণ করিবে।
(২) এই অনুচ্ছেদের উপ-অনুচ্ছেদ (১) এর সামগ্রিকতাকে ক্ষুন্ন না করিয়া, এই আদেশের ৭অনুচ্ছেদের উপ-অনুচ্ছেদ (১৪গ) অনুসারে সংবিধান সংস্কার সম্পন্ন হইবার পর ৩০ (ত্রিশ) কার্য দিবসের মধ্যে জাতীয় সংসদের নিম্নকক্ষের নির্বাচনে প্রায় জোটের সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত (Proportional Representation-PR) পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদের একটি উচ্চকক্ষ গঠন করা হইবে এবং উডার কর্মপরিধি নির্ধারণ করা হইবে।
(৩) এই অনুচ্ছেদের উপ অনুচ্ছেদ (২) অনুসারে গঠিত উচ্চকক্ষের মেয়াদ ইহার শপথ গ্রাহণের তারিখ হইতে জাতীয় সংসদের নিম্নকক্ষের মেয়াদের শেষ দিবস পর্যন্ত হইবে।
(৪) এই আদেশ জারির অব্যবহিত পরে অনুষ্ঠিতব্য সংসদ নির্বাচনের সময় জাতীয় সংসদের উৎকক্ষের প্রার্থী তালিকা প্রকাশের প্রয়োজন হইবে না।
১৫) এই অনুচ্ছেদের উপ-অনুচ্ছেদ (২) অনুসারে উচ্চকক্ষ গঠনের ক্ষেত্রে যে-কোনো প্রতিবন্ধকতা দূর করিবার উদ্দেশ্যে পরিষদ প্রয়োজনীয় বিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে এবং সরকার প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করিতে পারিবে।
১৪। পরিষদ কর্তৃক সংবিধান সংস্কার চূড়ান্তকরণ ও প্রকাশ।(১) পরিষণ কর্তৃক গৃহীত সংবিধান সংস্কার চূড়ায় হইবে এবং উক্তরূপ সংস্কার বিষয়ে অন্য কোনোভাবে অনুমোদন বা সম্মতির প্রয়োজন হইবে না।
(২) পরিষদ কর্তৃক গৃহীত সংবিধান সংস্কারের পূর্ণাঙ্গ পার এবং উক্তরূপে সংস্কারকৃত সংবিধ্যানর পূর্ণাঙ্গ পাঠ অনতিবিলম্বে সরকার সরকারি গেজেটে প্রকাশ করিবে।
১৫। সরকার কর্তৃক নির্দেশনা আরি। এই লাদেশের বিশানাখলি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সরকার প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করিতে পারিবে।

জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ জারি করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। বৃহস্পতিবার তিনি আদেশ জারির পর তার গেজেট প্রকাশিত হয়।
এই আদেশের ভিত্তিতে গণভোট হবে। গণভোটে যেসব বিষয় থাকবে তা এই আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে। গণভোটের জন্য নির্বাচন কমিশন প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন করবে বলেও আদেশে জানানো হয়েছে।
গেজেটের হুবহু তুলে ধরা হলো
আদেশ নং ০১, ২০২৫
জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫
যেহেতু সুদীর্ঘ গণতান্ত্রিক সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত ছাত্র-জনতার সফল গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতা ও অভিপ্রায়ের প্রকাশ ঘটিয়াছে; এবং
যেহেতু উক্ত গণঅভ্যুত্থানের ফলে ৫ আগস্ট ২০২৪ (২১ শ্রাবণ ১৪৩১) তারিখে তৎকালীন ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন ঘটে, ৬ আগস্ট ২০২৪ (২২ শ্রাবণ ১৪৩১) তারিখে জাতীয় সংসদ ভাঙ্গিয়া দেওয়া হয় এবং ৮ আগস্ট ২০২৪ (২৪ শ্রাবণ ১৪৩১) তারিখে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়, যাহা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কার্যকারিতা ও স্বীকৃতি লাভ করিয়াছে; এবং
যেহেতু রাষ্ট্রীয় সংস্কার সাধনের মাধ্যমে সুশাসন, গণতন্ত্র ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং কর্তৃত্ববাদী ও ফ্যাসিবাদী শাসনের পুনরাবৃত্তি রোধ করিবার উদ্দেশ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, বিচার বিভাগ, পুলিশ প্রশাসন ও দুর্নীতি দমন ব্যবস্থায় সংস্কারের সুপারিশ প্রণয়নের লক্ষ্যে ৬টি সংস্কার কমিশন গঠন করে এবং উক্ত কমিশনসমূহ স্ব স্ব প্রতিবেদন সরকারের নিকট পেশ করে; এবং
যেহেতু উপরিউক্ত প্রতিবেদনগুলিতে অন্তর্ভুক্ত সুপারিশসমূহের বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার সরকার ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ (২৯ মাঘ ১৪৩২) তারিখে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করে;
যেহেতু জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী সকল রাজনৈতিক দল ও টির সহিত আলোচনাক্রমে সংবিধান সংস্কারসহ অন্যান্য সংস্কারের সুপারিশ সংবলিত জুলাই নীয় সনদ ২০২৫ প্রণয়ন করে এবং রাজনৈতিক দল ও জোটসমূহ সম্মিলিতভাবে উক্ত সনদে স্বাক্ষর তাহা বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করে; এবং
যেহেতু সংবিধান সংস্কার বিষয়ে জুলাই জাতীয় সনদে অন্তর্ভুক্ত প্রস্তাবসমূহ বাস্তবায়নের জন্য প্রিভৌম ক্ষমতার অধিকারী জনগণের অনুমোদন প্রয়োজন এবং তদুদ্দেশ্যে গণভোট অনুষ্ঠান, বিধান সংস্কার পরিষদ গঠন ও উক্ত পরিষদ কর্তৃক সংবিধান সংস্কার করার আবশ্যকতা রহিয়াছে;
যেহেতু উপরে বর্ণিতমতে জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫ বাস্তবায়ন সম্পন্ন করিবার জন্য একটি অনুষ্ঠানিক আদেশ জারি করা একান্ত প্রয়োজন;
সেহেতু ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত ছাত্র-জনতার সফল গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রকাশিত জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতা ও অভিপ্রায়ের ভিত্তিতে এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পরামর্শক্রমে, রাষ্ট্রপতি এই আদেশ জারি করিলেন-
১। সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন। (১) এই আদেশ জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫ নামে অভিহিত হইবে।
(২) এই আদেশের -
(ক) ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ১২ ও ১৫ অনুচ্ছেদ অবিলম্বে কার্যকর হইবে, এবং
(খ) ৭, ৮, ৯, ১০, ১১, ১৩ ও ১৪ অনুচ্ছেদ গণভোটের ইতিবাচক ফলাফল সাপেক্ষে সরকারি গেজেটে প্রকাশের তারিখে কার্যকর হইবে।
২। সংজ্ঞা।-বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোনো কিছু না থাকিলে, এই আদেশে,
(ক) "গণভোট” অর্থ এই আদেশের অধীনে অনুষ্ঠিত গণভোট;
(খ) "জুলাই গণঅভ্যুত্থান" অর্থ ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে বাংলাদেশে সংঘটিত ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান;
(গ) "জুলাই জাতীয় সনদ অর্থ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কর্তৃক গঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের উদ্যোগে রাজনৈতিক দল ও জোটসমূহ এবং উক্ত কমিশন কর্তৃক স্বাক্ষরিত জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫:
(ঘ) 'জাতীয় সংসদ" অর্থ সংবিধানের ৬৫ অনুচ্ছেদ অনুসারে গঠিত জাতীয় সংসদঃ
(৫) "নির্বাচন কমিশন" অর্থ সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী গঠিত নির্বাচন কমিশনঃ
(চ) "নির্বাচিত প্রতিনিধি" অর্থ সংবিধানের ৬৫ অনুচ্ছেদের (২) দফা অনুসারে গঠিত জাতীয় সংসদের সকল সংসদ সদস্য;
(ছ) "পরিষদ” অর্থ এই আদেশের ৭ অনুচ্ছেদ অনুসারে গঠিত সংবিধান সংস্কার পরিষদ;
(জ) "সভাপ্রধান" অর্থ এই আদেশের ৯ অনুচ্ছেদ অনুসারে পরিষদের সভায় সভাপ্রধান হিসাবে দায়িত্ব পালনকারী ব্যক্তি;
(ক) 'সংবিধান" অর্থ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান; এবং
(ঞ) "সংসদ নির্বাচন" অর্থ এই আদেশ জারির অব্যবহিত পরে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদের সাধারণ নির্বাচন।
৩। জুলাই জাতীয় সনদে অন্তর্ভুক্ত সংবিধান সংস্কার বিষয়ে গণভোট। জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতা প্রয়োগের উদ্দেশ্যে এই আদেশ এবং জুলাই জাতীয় সনদের সংবিধান সংস্কার সম্পর্কিত অংশ গণভোটে উপস্থাপন করা হইবে।
৪। গণভোটের ব্যালটে উপস্থাপনীয় প্রশ্ন। (১) গণভোটে নিম্নরূপ প্রশ্ন উপস্থাপন করা হইবে
"আপনি কি জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫ এবং জুলাই জাতীয় সনদে লিপিবদ্ধ সংবিধান সংস্কার সম্পর্কিত নিম্নলিখিত প্রস্তাবসমূহের প্রতি আপনার সম্মতি জ্ঞাপন করিতেছেন?"; (হাঁ। না):
(ক) নির্বাচনকালীন তত্বাবধায়ক সরকার, নির্বাচন কমিশন এবং অন্যান্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান জুলাই সনদে বর্ণিত প্রক্রিয়ার আলোকে গঠন করা হইবে।
(ঘ) আগামী জাতীয় সংসদ হইবে দুই কক্ষ বিশিষ্ট। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলগুলোর প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে ১০০ সদস্য বিশিষ্ট একটি উচ্চ কক্ষ গঠিত হইবে এবং সংবিধান সংশোধনী করিতে হলে উচ্চকক্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের অনুমোদন দরকার হইবে।
(গ) সংসদে নারীর প্রতিনিধি বৃদ্ধি, বিরোধী দল হইতে ডেপুটি স্পীকার ও কয়েকটি সংসদীয় কমিটির সভাপতি নির্বাচন, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সীমিতকরন, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বৃদ্ধি, মৌলিক অধিকার, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, স্থানীয় সরকার সহ বিভিন্ন বিষয়ে যে ৩০ টি প্রস্তাবে জুলাই জাতীয় সনদে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যমত হইয়াছে-সেগুলো বাস্তবায়নে আগামী সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী দলগুলো বাধ্য থাকিবে।
(ঘ) জুলাই জাতীয় সনদে বর্ণিত অপরাপর সংস্কার রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিশ্রুতি অনুসারে বাস্তবায়ন করা হইবে।
(২) ব্যালটের মাধ্যমে গণভোট অনুষ্ঠিত হইবে এবং নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত ব্যালটে প্রত্যেক ভোটার গোপনে ভোটদান করিবেন।
৫। গণভোট অনুষ্ঠান। এই আদেশ জারির অব্যবহিত পর অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন এই আদেশ অনুসারে গণভোট অনুষ্ঠান করা হইবে।
৬। গণভোট অনুষ্ঠানের জন্য আইন প্রণয়ন। গণভোট অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্দেশ্যে যথোপযুক্ত আইন প্রণয়ন করা হইবে।
৭। সংবিধান সংক্ষার পরিষদ গঠন, উহার কার্যাবলি ও বিলুপ্তি। (১) গণভোটে উপস্থাপিত
প্রশ্নের উত্তরে প্রদত্ত সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট (হ্যাঁ) সূচক হইলে,-
(ক) এই আদেশ জারির অব্যবহিত পর অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদের সাধারণ নির্বাচনে নির্বাচিত প্রতিনিধিগণের সমন্বয়ে একটি সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠিত হইবে, যাহা সংবিধান সংস্কার বিষয়ে সকল ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারিবে;
(খ) উক্ত নির্বাচনে নির্বাচিত প্রতিনিধিগণ একইসাথে জাতীয় সংসদের সদস্য হিসাবে এবং এই আদেশ অনুসারে সংবিধান সংস্কার পরিষদের সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করিবেন;
(গ) পরিষদ উহার প্রথম অধিবেশন শুরুর তারিখ হইতে ১৮০ (একশত আশি) কার্য দিবসের মধ্যে জুলাই জাতীয় সনদ এবং গণভোটের ফলাফল অনুসারে সংবিধান সংস্কার সম্পন্ন করিবে এবং তাহা সম্পন্ন করিবার পর পরিষদের কার্যক্রম সমাপ্ত হইবে।
(২) পরিষদের কার্যধারায় অংশগ্রহণের সময় নির্বাচিত প্রতিনিধিগণ পরিষদ সদস্য হিসাবে অভিহিত হইবেন।
(৩) এই আদেশের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, পরিষদ ইহার অধিবেশন আহ্বান ও মুলতবি, সংবিধান সংস্কার বিষয়ক প্রস্তাব উত্থাপনের পদ্ধতি, উক্ত প্রস্তাব বিবেচনা ও গ্রহণ এবং অন্য সকল বিষয়ে কার্যপ্রণালী নির্ধারণ করিবে।
(৪) জাতীয় সংসদ সচিবালয় পরিষদকে সাচিবিক সহায়তা প্রদান করিবে।
১৮। শপথ এবং শপথ-পাঠ পরিচালনা। (১) নির্বাচিত প্রতিনিধিগণ সংসদ-সদস্য হিসাবে শলম গ্রহণের পর একই শপথ অনুষ্ঠানে এই আদেশের তফসিল-১ অনুযায়ী পরিষদ-সদস্য হিসাবে শপথ গ্রহণ করিবেন এবং অনুরুপ শপথপত্রে স্বাক্ষর দান করিবেন।
(২) সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত সংসদ-সদস্যদের ক্ষেত্রে যিনি শপথ-পাঠ পরিচালনা করিবেন তিনিই এই আদেশের তফসিল-১ এ বিসৃত ফরমে পরিষদ সদস্যদের শপথ-পাঠ পরিচালনা করিবেন।
৯। পরিষদের সভাপ্রধান। (১) পরিষদের প্রথম অধিবেশনের প্রথম বৈঠকে পরিষদ-সদস্যগণ ইহার সভাপ্রধান ও উপ-সভাপ্রধান নির্বাচন করিবে, এবং উক্তরূপ নির্বাচনের পূর্ব পর্যন্ত পরিষদের বয়োজ্যেষ্ঠ একজন সদস্য সংখ্যাগরিষ্ঠ সদসার সম্মতিক্রমে বৈঠকে সভাপ্রধান হিসাবে দায়িত্ব পালন করিবেন।
(২) সভাপ্রধান ও উপ-সভাপ্রধান উভয়ের অনুপস্থিতিতে পরিষদের কার্যপ্রণালী অনুযায়ী কোন পরিষদ-সদস্য সভাপ্রধানের দায়িত্ব পালন করিবেন।
১০। পরিষদের অধিবেশন আজান, কোরাম, ভোটদান, ইত্যাদি।-(১) সংসদ নির্বাচনের ফল
ঘোষিত হইবার ৩০ (ত্রিশ) পঞ্জিকা দিবসের মধ্যে যে পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন আন্তান করা হইবে অনুরূপ পদ্ধতিতে পরিষদের প্রথম অধিবেশন আজান করা হইবে।
(২) পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ন্যূনতম ১০ (আট) জন পরিষদ সদস্যের উপস্থিতি প্রয়োজন হইবে।
(৩) সংবিধান সংস্কার সংক্রান্ত কোনো প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য পরিষদের মোট সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে সিদ্ধান্ত গৃহীত হইবে, এবং অন্যান্য বিষয়ে উপস্থিত ও ভোটদানকারী সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে পরিষদে সিদ্ধান্ত গৃহীত হইবে:
তবে শর্ত থাকে যে, সমসংখ্যক জোটের ক্ষেত্রে সভাপ্রধান নির্ণায়ক ভোট প্রদান করিবেন।
১১। পরিষদ ও উহার সদস্যদের বিশেষ অধিকার ও দায়মুক্তি। পরিষদের কোনো কার্যধারার বৈখতা এবং পরিষদ-সদস্যদের বিশেষ অধিকার ও দায়মুক্তি আতীয় সংসদ ও সংসদ সদস্যদের অনুরূপ হইবে।
১২। দুলাই জাতীয় সনদ সংবিধানে অন্তর্ভুক্তকরণ। জুলাই আত্মীয় সনদ বাস্তবায়নের অঙ্গীকারনামা অনুসারে সংবিধানে জুলাই জাতীয় সনদ অন্তর্ভুক্ত করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হইবে।
১০। সংবিধান সংস্কার অবিলম্বে কার্যকর করা।(১) এই আদেশের ৭ অনুচ্ছেদের উপ-অনুচ্ছেদ (১৪৭) অনুসারে সংবিধান সংস্কার সাম্পন্ন হইবার পর যে সকল সংস্কার অবিলছে কার্যকর করা সম্ভব আহা অবিলম্বে কার্যকর করা হইবে এবং এইক্ষেত্রে সরকার সকল যথোপযুক্ত। ব্যাবস্থা গ্রহণ করিবে।
(২) এই অনুচ্ছেদের উপ-অনুচ্ছেদ (১) এর সামগ্রিকতাকে ক্ষুন্ন না করিয়া, এই আদেশের ৭অনুচ্ছেদের উপ-অনুচ্ছেদ (১৪গ) অনুসারে সংবিধান সংস্কার সম্পন্ন হইবার পর ৩০ (ত্রিশ) কার্য দিবসের মধ্যে জাতীয় সংসদের নিম্নকক্ষের নির্বাচনে প্রায় জোটের সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত (Proportional Representation-PR) পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদের একটি উচ্চকক্ষ গঠন করা হইবে এবং উডার কর্মপরিধি নির্ধারণ করা হইবে।
(৩) এই অনুচ্ছেদের উপ অনুচ্ছেদ (২) অনুসারে গঠিত উচ্চকক্ষের মেয়াদ ইহার শপথ গ্রাহণের তারিখ হইতে জাতীয় সংসদের নিম্নকক্ষের মেয়াদের শেষ দিবস পর্যন্ত হইবে।
(৪) এই আদেশ জারির অব্যবহিত পরে অনুষ্ঠিতব্য সংসদ নির্বাচনের সময় জাতীয় সংসদের উৎকক্ষের প্রার্থী তালিকা প্রকাশের প্রয়োজন হইবে না।
১৫) এই অনুচ্ছেদের উপ-অনুচ্ছেদ (২) অনুসারে উচ্চকক্ষ গঠনের ক্ষেত্রে যে-কোনো প্রতিবন্ধকতা দূর করিবার উদ্দেশ্যে পরিষদ প্রয়োজনীয় বিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে এবং সরকার প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করিতে পারিবে।
১৪। পরিষদ কর্তৃক সংবিধান সংস্কার চূড়ান্তকরণ ও প্রকাশ।(১) পরিষণ কর্তৃক গৃহীত সংবিধান সংস্কার চূড়ায় হইবে এবং উক্তরূপ সংস্কার বিষয়ে অন্য কোনোভাবে অনুমোদন বা সম্মতির প্রয়োজন হইবে না।
(২) পরিষদ কর্তৃক গৃহীত সংবিধান সংস্কারের পূর্ণাঙ্গ পার এবং উক্তরূপে সংস্কারকৃত সংবিধ্যানর পূর্ণাঙ্গ পাঠ অনতিবিলম্বে সরকার সরকারি গেজেটে প্রকাশ করিবে।
১৫। সরকার কর্তৃক নির্দেশনা আরি। এই লাদেশের বিশানাখলি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সরকার প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করিতে পারিবে।

টিকিট বিক্রিতে যেকোনো প্রকার দুর্বৃত্তায়ন ও প্রতারণা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার। এখন থেকে যাত্রীদের সঙ্গে প্রতারণা বা হয়রানি করলে অপরাধের গুরুত্ব অনুযায়ী সর্বোচ্চ ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড এবং ১ (এক) বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
৯ মিনিট আগে
সদ্য মেয়াদ শেষ হওয়া জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজকে উপদেষ্টা পদমর্যাদায় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে সরকার। বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
২৯ মিনিট আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনে একই সঙ্গে হবে গণভোট। গণভোটে চারটি বিষয়ের ওপর একটিমাত্র প্রশ্নে ভোটাররা ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ ভোট দিয়ে মতামত জানাতে পারবেন। সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট ‘হ্যাঁ’ সূচক হলে কী হবে সে বিষয়েও ব্যাখ্যা করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
৩৭ মিনিট আগে
গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩২৬ জন। এদিকে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৮৩৩ জন।
৩৯ মিনিট আগে