
স্টাফ রিপোর্টার

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ জানিয়েছেন, আগামী নভেম্বরের মধ্যেই দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরবেন বলে তারা আশা করছেন। শুক্রবার বিকেলে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ জানান, জোটের প্রার্থী হলেও ভোটে নিজ দলের প্রতীকে লড়তে হবে - এমন আরপিও (জনপ্রতিনিধিত্ব আদেশ) সংশোধনের সঙ্গে বিএনপি একমত নয়।
তিনি মনে করেন, এই সংশোধনী ছোট দলগুলোকে জোটবদ্ধ হতে নিরুৎসাহিত করবে। সংশোধিত আরপিও একতরফাভাবে পাস করা হয়েছে উল্লেখ করে এর বিরুদ্ধে বিএনপির পক্ষ থেকে আপত্তি জানিয়ে চিঠি দেওয়া হবে। এ সময় তিনি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আরপিও পুনঃবিবেচনা করার আহ্বান জানান।
জোট গঠনের প্রক্রিয়া
জোট গঠনের প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, বিএনপি একটি বৃহত্তর জোট গঠনের প্রক্রিয়ায় রয়েছে। এনসিপির সঙ্গে রাজনৈতিক যোগাযোগ রয়েছে, তবে জোট হবে কি না তা এখনও নিশ্চিত নয়।
চলতি মাসের মধ্যেই তাদের দলের প্রায় ২০০ আসনে একক প্রার্থীকে 'গ্রিন সিগনাল' দেওয়া হবে। প্রার্থীরা যাতে দ্রুত নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু করতে পারেন, সে লক্ষ্যেই এই সিদ্ধান্ত।
অনেকে বলে বেড়াচ্ছেন তারেক রহমানের কল পেয়েছেন, তাঁদের প্রার্থিতা নিশ্চিত...এমন প্রশ্নের জবাবে সালাহউদ্দিম আহমদ বলেন, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দিনরাতই কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। এটি নতুন কিছু নয়। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত সবার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। নির্বাচনের আগে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা হওয়াই স্বাভাবিক।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেওয়া জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নিয়ে জোট গঠিত হতে পারে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে যোগাযোগ আছে, তবে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক আলোচনা হয়নি। জোটবদ্ধ হব কি না—তা এখনই বলা যাচ্ছে না।
সরকারের দুজন উপদেষ্টাকে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে—এমন খবরে বিএনপির অবস্থান জানতে চাইলে সালাহউদ্দিন বলেন, ওই দুই উপদেষ্টার বিষয়ে আমরা সরাসরি কিছু বলিনি। তাঁরা যদি নির্বাচনে অংশ নিতে চান, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই তাঁদের সরকার থেকে সরে আসা উচিত। তবে যদি তাঁরা নির্বাচনে না আসেন এবং কোনো রাজনৈতিক দলে যোগ না দেন, তাহলে তাঁদের নিরপেক্ষতা বজায় রাখা সম্ভব।
তিনি বলেন, আমরা সরাসরি কাউকে পদত্যাগ করতে বলিনি। যাঁরা ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে আছেন, তাঁরা যদি কোনো রাজনৈতিক দলে যোগ না দেন বা নির্বাচনে অংশ না নেন, তাহলে সেটি তখন বিবেচনা করা যাবে।
নির্বাচনে কোনো বিদ্রোহী প্রার্থী যদি দলের বিপক্ষে গিয়ে দাঁড়ান, তাঁর বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেবে বিএনপি—এমন প্রশ্নের জবাবে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, আশা করি কেউ দাঁড়াবে না। আমরা সমঝোতার ভিত্তিতে, আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে সিঙ্গেল (একক) প্রার্থী নির্ধারণ করতে পারব। তারপরও যদি কেউ দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে, তো শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য যে ব্যবস্থা আমরা নিয়ে থাকি, সাংগঠনিকভাবে তা-ই হবে।
তিনি জানান, বিএনপির মনোনয়নে সাবেক ছাত্রনেতা, সাবেক যুবনেতা, বর্তমান ছাত্রনেতা, বর্তমান যুবনেতা, একটা অংশ থাকবে তারুণ্যের প্রতিনিধিত্বকারী অংশ হিসেবে। সেটা তাঁরা আগেও করেছেন। এ ছাড়া নির্বাচনী এলাকায় যাঁর গ্রহণযোগ্যতা বেশি এবং জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক যাঁর বেশি, নির্ধারিত এলাকায় যাঁর জনসমর্থন বেশি, পরিচিতি বেশি এবং মেধা জ্ঞানগরিমা আছে, সেসব বিবেচনায় নিয়ে প্রার্থী নির্বাচন করবে বিএনপি।
অনুমোদিত আরপিওতে পরিবর্তন আনতে চিঠি দেবে বিএনপি
নির্বাচনসংক্রান্ত আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ বা আরপিও (সংশোধন) অধ্যাদেশের যে খসড়া উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন হয়েছে, তা নিয়ে আপত্তি রয়েছে বিএনপির। দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, এই খসড়ায় পরিবর্তন আনতে সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে তারা চিঠি দেবে।
কোনো দল জোটগতভাবে নির্বাচন করলেও নিজেদের প্রতীকে অংশ নিতে হবে। এমন বিধান যুক্ত করে নির্বাচনসংক্রান্ত আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (সংশোধন) অধ্যাদেশের খসড়া গতকাল বৃহস্পতিবার অনুমোদন করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘নির্বাচন সংস্কার কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনায় নির্বাচনী ব্যবস্থা সংস্কারসংক্রান্ত বিষয়গুলোর অনেকগুলোতে আমরা সবাই সম্মত হয়েছিলাম। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে আইন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে নির্বাচনী আচরণবিধি ও আরপিওর যে খসড়াটা উত্থাপন করা হয়েছে, এটাতে যে পরিবর্তন আনা হয়েছে, তাতে বিএনপির কোনো সম্মতি ছিল না।
জোটবদ্ধ নির্বাচনে নিজস্ব দলের প্রতীকে নির্বাচন করতে হলে ছোট রাজনৈতিক দলগুলো জোটবদ্ধ হতে উৎসাহিত হবে না বলে উল্লেখ করেন সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, ‘এটাতে তাদেরও (ছোট রাজনৈতিক দলগুলোরও) সম্মতি নেই, আমাদেরও সম্মতি নেই। এটা নির্বাচন কমিশন থেকে একতরফাভাবে কেন উত্থাপন করা হলো জানি না। আরপিওর অধ্যাদেশের খসড়ার ওপরে মতামত চেয়েছিলেন। আমরা মতামত জানিয়েছিলাম।’
বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারক ফোরামের এই নেতা বলেন, ‘অধ্যাদেশের জন্য যেসব সংশোধনী এসেছে, তার অধিকাংশের সাথে আমরা একমত। কিন্তু প্রতীকের (নিজস্ব প্রতীকের বাইরে জোটের প্রতীক নিতে পারবে না) এ বিষয়ে আমরা সম্মত হইনি কখনো। আমার মনে হয় আমাদের একটা সুষ্ঠু রাজনীতির স্বার্থে, নির্বাচনের স্বার্থে এটা পুনর্বিবেচনা করা প্রয়োজন। এ কথা আমরা আমাদের দলের পক্ষ থেকে জানিয়েছি, আমরা হয়তো আনুষ্ঠানিক চিঠিও দেব নির্বাচন কমিশনে এবং আইন উপদেষ্টার কাছে।
আওয়ামী লীগ-জাতীয় পার্টি জোট করলে তাদের ব্যাপার
জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগকে ছাড়া নির্বাচন না করতে চায় সেটা তাদের স্বাধীনতা বলে মন্তব্য করে বিএনপির সালাহউদ্দিন বলেন, খুব শিগগিরই রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হবে। সেই আইসিটিঅ্যক্টের (তথ্যপ্রযুক্তি আইন) অধীনে। এখন যদি জাতীয় পার্টি এসে আওয়ামী লীগকে ছাড়া নির্বাচন না করতে চায় সেটা তাদের স্বাধীনতা।
জাতীয় পার্টি প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নরে জবাবে তিনি বলেন, আমাদের জানা মতে জাতীয় পার্টি বাংলাদেশে নিষিদ্ধ কোন রাজনৈতিক দল নয়। তাদের রেজিস্ট্রেশনও বহাল আছে। তাদের বিরুদ্ধে মানবতা বিরোধী অপরাধের কোন মামলা পার্টি হিসেবে জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে এখনো পর্যন্ত দায়ের করা হয়নি। এসব ক্ষেত্রে জাতীয় পার্টি নির্বাচনে না আসার জন্য কোন যোগ্যতা তো নেই। জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কি করবে না, সেটা তাদের নিজস্ব ব্যাপার। তাদের পুরাতন সঙ্গী আওয়ামী লীগের সাথে যদি তারা জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করতে চায় সেটাও তাদের নিজস্ব ব্যাপার।
সালাহউদ্দিন বলেন, আওয়ামী লীগের তো কোন রেজিস্ট্রেশন এখন নাই। নির্বাচন কমিশনে মার্কাও নাই এবং তাদের বিরুদ্ধে, তাদের নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে মানবতা বিরোধী অপরাধে এবং গণহত্যার অপরাধে বিচার চলছে। অনেকেই বাকি আছে। তারাও হয়তো বিচারের আওতায় আসবে। দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে।
রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, শিগরিই যদি এই ইনভেস্টিগেশনটা (অনুসন্ধান) শেষ হয়, এটা আরো আগে হতে পারতো কারণ আইন তো পরিবর্তন হয়েছে সেই লোকটা আরো অনেক আগে বাট (কিন্তু) এই বিষয়ে তারা তদন্তটা শুরু করেছে অনেক পরে। তারপরও আশা করা যায় যে, তাদের বিরুদ্ধে খুব শিগগিরই রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হবে সেই আইসিটিঅ্যক্টের (তথ্যপ্রযুক্তি আইন) অধীনে। এখন যদি জাতীয় পার্টি এসে আওয়ামী লীগকে ছাড়া নির্বাচন না করতে চায় সেটা তাদের স্বাধীনতা।
সাবেক এক সেনাপ্রধান শঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে আগামী এক–দুই বছরের ভিতরে নির্বাচন হবে না, নির্বাচন নিয়ে বিএনপি কোন শঙ্কা দেখে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, যারা গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল এবং শক্তি তাদের মধ্যে কেউ কি আজ পর্যন্ত বলেছে তারা ফেব্রুয়ারির প্রথম অর্ধে নির্বাচন চায় না? কেউ কি বলেছে? তো যদি না বলে থাকে, জনগণ তো নির্বাচনের জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। প্রত্যেক রাজনৈতিক দল যদি নির্বাচন চায়, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে। পারলে আরো আগে, তাহলে নির্বাচনের অনুষ্ঠানের বিষয়ে কেন শঙ্কা প্রকাশতে হবে? কোন কারণ তো নেই।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ জানিয়েছেন, আগামী নভেম্বরের মধ্যেই দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরবেন বলে তারা আশা করছেন। শুক্রবার বিকেলে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ জানান, জোটের প্রার্থী হলেও ভোটে নিজ দলের প্রতীকে লড়তে হবে - এমন আরপিও (জনপ্রতিনিধিত্ব আদেশ) সংশোধনের সঙ্গে বিএনপি একমত নয়।
তিনি মনে করেন, এই সংশোধনী ছোট দলগুলোকে জোটবদ্ধ হতে নিরুৎসাহিত করবে। সংশোধিত আরপিও একতরফাভাবে পাস করা হয়েছে উল্লেখ করে এর বিরুদ্ধে বিএনপির পক্ষ থেকে আপত্তি জানিয়ে চিঠি দেওয়া হবে। এ সময় তিনি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আরপিও পুনঃবিবেচনা করার আহ্বান জানান।
জোট গঠনের প্রক্রিয়া
জোট গঠনের প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, বিএনপি একটি বৃহত্তর জোট গঠনের প্রক্রিয়ায় রয়েছে। এনসিপির সঙ্গে রাজনৈতিক যোগাযোগ রয়েছে, তবে জোট হবে কি না তা এখনও নিশ্চিত নয়।
চলতি মাসের মধ্যেই তাদের দলের প্রায় ২০০ আসনে একক প্রার্থীকে 'গ্রিন সিগনাল' দেওয়া হবে। প্রার্থীরা যাতে দ্রুত নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু করতে পারেন, সে লক্ষ্যেই এই সিদ্ধান্ত।
অনেকে বলে বেড়াচ্ছেন তারেক রহমানের কল পেয়েছেন, তাঁদের প্রার্থিতা নিশ্চিত...এমন প্রশ্নের জবাবে সালাহউদ্দিম আহমদ বলেন, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দিনরাতই কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। এটি নতুন কিছু নয়। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত সবার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। নির্বাচনের আগে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা হওয়াই স্বাভাবিক।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেওয়া জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নিয়ে জোট গঠিত হতে পারে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে যোগাযোগ আছে, তবে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক আলোচনা হয়নি। জোটবদ্ধ হব কি না—তা এখনই বলা যাচ্ছে না।
সরকারের দুজন উপদেষ্টাকে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে—এমন খবরে বিএনপির অবস্থান জানতে চাইলে সালাহউদ্দিন বলেন, ওই দুই উপদেষ্টার বিষয়ে আমরা সরাসরি কিছু বলিনি। তাঁরা যদি নির্বাচনে অংশ নিতে চান, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই তাঁদের সরকার থেকে সরে আসা উচিত। তবে যদি তাঁরা নির্বাচনে না আসেন এবং কোনো রাজনৈতিক দলে যোগ না দেন, তাহলে তাঁদের নিরপেক্ষতা বজায় রাখা সম্ভব।
তিনি বলেন, আমরা সরাসরি কাউকে পদত্যাগ করতে বলিনি। যাঁরা ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে আছেন, তাঁরা যদি কোনো রাজনৈতিক দলে যোগ না দেন বা নির্বাচনে অংশ না নেন, তাহলে সেটি তখন বিবেচনা করা যাবে।
নির্বাচনে কোনো বিদ্রোহী প্রার্থী যদি দলের বিপক্ষে গিয়ে দাঁড়ান, তাঁর বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেবে বিএনপি—এমন প্রশ্নের জবাবে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, আশা করি কেউ দাঁড়াবে না। আমরা সমঝোতার ভিত্তিতে, আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে সিঙ্গেল (একক) প্রার্থী নির্ধারণ করতে পারব। তারপরও যদি কেউ দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে, তো শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য যে ব্যবস্থা আমরা নিয়ে থাকি, সাংগঠনিকভাবে তা-ই হবে।
তিনি জানান, বিএনপির মনোনয়নে সাবেক ছাত্রনেতা, সাবেক যুবনেতা, বর্তমান ছাত্রনেতা, বর্তমান যুবনেতা, একটা অংশ থাকবে তারুণ্যের প্রতিনিধিত্বকারী অংশ হিসেবে। সেটা তাঁরা আগেও করেছেন। এ ছাড়া নির্বাচনী এলাকায় যাঁর গ্রহণযোগ্যতা বেশি এবং জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক যাঁর বেশি, নির্ধারিত এলাকায় যাঁর জনসমর্থন বেশি, পরিচিতি বেশি এবং মেধা জ্ঞানগরিমা আছে, সেসব বিবেচনায় নিয়ে প্রার্থী নির্বাচন করবে বিএনপি।
অনুমোদিত আরপিওতে পরিবর্তন আনতে চিঠি দেবে বিএনপি
নির্বাচনসংক্রান্ত আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ বা আরপিও (সংশোধন) অধ্যাদেশের যে খসড়া উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন হয়েছে, তা নিয়ে আপত্তি রয়েছে বিএনপির। দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, এই খসড়ায় পরিবর্তন আনতে সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে তারা চিঠি দেবে।
কোনো দল জোটগতভাবে নির্বাচন করলেও নিজেদের প্রতীকে অংশ নিতে হবে। এমন বিধান যুক্ত করে নির্বাচনসংক্রান্ত আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (সংশোধন) অধ্যাদেশের খসড়া গতকাল বৃহস্পতিবার অনুমোদন করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘নির্বাচন সংস্কার কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনায় নির্বাচনী ব্যবস্থা সংস্কারসংক্রান্ত বিষয়গুলোর অনেকগুলোতে আমরা সবাই সম্মত হয়েছিলাম। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে আইন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে নির্বাচনী আচরণবিধি ও আরপিওর যে খসড়াটা উত্থাপন করা হয়েছে, এটাতে যে পরিবর্তন আনা হয়েছে, তাতে বিএনপির কোনো সম্মতি ছিল না।
জোটবদ্ধ নির্বাচনে নিজস্ব দলের প্রতীকে নির্বাচন করতে হলে ছোট রাজনৈতিক দলগুলো জোটবদ্ধ হতে উৎসাহিত হবে না বলে উল্লেখ করেন সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, ‘এটাতে তাদেরও (ছোট রাজনৈতিক দলগুলোরও) সম্মতি নেই, আমাদেরও সম্মতি নেই। এটা নির্বাচন কমিশন থেকে একতরফাভাবে কেন উত্থাপন করা হলো জানি না। আরপিওর অধ্যাদেশের খসড়ার ওপরে মতামত চেয়েছিলেন। আমরা মতামত জানিয়েছিলাম।’
বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারক ফোরামের এই নেতা বলেন, ‘অধ্যাদেশের জন্য যেসব সংশোধনী এসেছে, তার অধিকাংশের সাথে আমরা একমত। কিন্তু প্রতীকের (নিজস্ব প্রতীকের বাইরে জোটের প্রতীক নিতে পারবে না) এ বিষয়ে আমরা সম্মত হইনি কখনো। আমার মনে হয় আমাদের একটা সুষ্ঠু রাজনীতির স্বার্থে, নির্বাচনের স্বার্থে এটা পুনর্বিবেচনা করা প্রয়োজন। এ কথা আমরা আমাদের দলের পক্ষ থেকে জানিয়েছি, আমরা হয়তো আনুষ্ঠানিক চিঠিও দেব নির্বাচন কমিশনে এবং আইন উপদেষ্টার কাছে।
আওয়ামী লীগ-জাতীয় পার্টি জোট করলে তাদের ব্যাপার
জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগকে ছাড়া নির্বাচন না করতে চায় সেটা তাদের স্বাধীনতা বলে মন্তব্য করে বিএনপির সালাহউদ্দিন বলেন, খুব শিগগিরই রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হবে। সেই আইসিটিঅ্যক্টের (তথ্যপ্রযুক্তি আইন) অধীনে। এখন যদি জাতীয় পার্টি এসে আওয়ামী লীগকে ছাড়া নির্বাচন না করতে চায় সেটা তাদের স্বাধীনতা।
জাতীয় পার্টি প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নরে জবাবে তিনি বলেন, আমাদের জানা মতে জাতীয় পার্টি বাংলাদেশে নিষিদ্ধ কোন রাজনৈতিক দল নয়। তাদের রেজিস্ট্রেশনও বহাল আছে। তাদের বিরুদ্ধে মানবতা বিরোধী অপরাধের কোন মামলা পার্টি হিসেবে জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে এখনো পর্যন্ত দায়ের করা হয়নি। এসব ক্ষেত্রে জাতীয় পার্টি নির্বাচনে না আসার জন্য কোন যোগ্যতা তো নেই। জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কি করবে না, সেটা তাদের নিজস্ব ব্যাপার। তাদের পুরাতন সঙ্গী আওয়ামী লীগের সাথে যদি তারা জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করতে চায় সেটাও তাদের নিজস্ব ব্যাপার।
সালাহউদ্দিন বলেন, আওয়ামী লীগের তো কোন রেজিস্ট্রেশন এখন নাই। নির্বাচন কমিশনে মার্কাও নাই এবং তাদের বিরুদ্ধে, তাদের নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে মানবতা বিরোধী অপরাধে এবং গণহত্যার অপরাধে বিচার চলছে। অনেকেই বাকি আছে। তারাও হয়তো বিচারের আওতায় আসবে। দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে।
রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, শিগরিই যদি এই ইনভেস্টিগেশনটা (অনুসন্ধান) শেষ হয়, এটা আরো আগে হতে পারতো কারণ আইন তো পরিবর্তন হয়েছে সেই লোকটা আরো অনেক আগে বাট (কিন্তু) এই বিষয়ে তারা তদন্তটা শুরু করেছে অনেক পরে। তারপরও আশা করা যায় যে, তাদের বিরুদ্ধে খুব শিগগিরই রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হবে সেই আইসিটিঅ্যক্টের (তথ্যপ্রযুক্তি আইন) অধীনে। এখন যদি জাতীয় পার্টি এসে আওয়ামী লীগকে ছাড়া নির্বাচন না করতে চায় সেটা তাদের স্বাধীনতা।
সাবেক এক সেনাপ্রধান শঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে আগামী এক–দুই বছরের ভিতরে নির্বাচন হবে না, নির্বাচন নিয়ে বিএনপি কোন শঙ্কা দেখে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, যারা গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল এবং শক্তি তাদের মধ্যে কেউ কি আজ পর্যন্ত বলেছে তারা ফেব্রুয়ারির প্রথম অর্ধে নির্বাচন চায় না? কেউ কি বলেছে? তো যদি না বলে থাকে, জনগণ তো নির্বাচনের জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। প্রত্যেক রাজনৈতিক দল যদি নির্বাচন চায়, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে। পারলে আরো আগে, তাহলে নির্বাচনের অনুষ্ঠানের বিষয়ে কেন শঙ্কা প্রকাশতে হবে? কোন কারণ তো নেই।

তিনি বলেন, ‘যদি জাতিসংঘ আমাদের সবার শান্তি ও বহুপাক্ষিক সহযোগিতার আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করতে চায়, তবে তাকে অবশ্যই পরিবর্তিত বিশ্ব বাস্তবতার সঙ্গে অভিযোজিত হতে হবে। আমরা জাতিসংঘ সংস্কারের পক্ষে— যাতে এটি আরও গতিশীল, সমন্বিত এবং পরিবর্তনশীল বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে সবার প্রত্যাশা পূরণে সক্ষম হয়।’
৬ ঘণ্টা আগে
লিবিয়ায় অনিয়মিতভাবে অবস্থান করা ৩০৯ জন বাংলাদেশি দেশে ফিরেছে। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এবং ত্রিপোলিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের সহযোগিতায় একটি বিশেষ চার্টার্ড ফ্লাইটে আজ তাদের বাংলাদেশে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে
ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা অধ্যাদেশে (পিডিপিও) ডেটা লোকালাইজেশনের (দেশের ভেতরে তথ্য সংরক্ষণের) কোনো বাধ্যতামূলক বিধান রাখা হয়নি বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
৬ ঘণ্টা আগে
বহুল আলোচিত ‘জুলাই সনদ’ ২০২৬ সালের পাঠ্যবইয়ে যুক্ত হচ্ছে না। আগামী বছরের জন্য ছাপা ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির বইয়ে জুলাই সনদ যুক্ত করার বিষয়ে প্রাথমিক পরিকল্পনা থাকলেও আমলাদের বিরোধিতায় সেটি আর হচ্ছে না। সময় স্বল্পতার কথা বলে বাদ দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
৬ ঘণ্টা আগে