সাবেক অর্থমন্ত্রী কামালসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে মামলা

মালয়েশিয়ায় শ্রমিক রপ্তানিতে ১১২৮ কোটি টাকা আত্মসাৎ

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ১২ মার্চ ২০২৫, ১৪: ৪৯

মালয়েশিয়ায় মানবপাচারের মাধ্যমে এক হাজার ১২৮ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এবং তার পরিবারসহ ৩২ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এই মামলায় বাকি অভিযুক্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে সাবেক সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী, লে. জেনারেল (অব.) মাসুদউদ্দিন চৌধুরী ও সাবেক সংসদ সদস্য বেনজীর আহমেদের প্রতিষ্ঠানসহ ১২টি রিক্রুটিং এজেন্সি।

বিজ্ঞাপন

গতকাল মঙ্গলবার সংস্থাটির মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

আসামির তালিকায় ১২ রিক্রুটিং এজেন্সির মালিক ও কর্মকর্তারাও রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে সরকার নির্ধারিত ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকার বাইরে অতিরিক্ত পাঁচগুণ অর্থ গ্রহণ করে ৬৭ হাজার ৩৮০ প্রবাসী থেকে ওই অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।

দুদক জানায়, ১২টি রিক্রুটিং এজেন্সির মধ্যে ওরবিটাল এন্টারপ্রাইজের মাধ্যমে ৬ হাজার ২৯ প্রবাসীর কাছ থেকে অতিরিক্ত ১০০ কোটি ৯৮ লাখ টাকা নেওয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির মালিক সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের স্ত্রী কাশমিরি কামাল। মামলায় কাশমিরির পাশাপাশি তার স্বামী মুস্তফা কামালকেও আসামি করা হয়েছে।

ওরবিটাল ইন্টারন্যাশনালের মাধ্যমে ২ হাজার ৯৯৫ জন থেকে অতিরিক্ত ৫০ কোটি ১৬ লাখ টাকা গ্রহণের অভিযোগ রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির মালিক মুস্তফা কামালের মেয়ে নাফিসা কামাল। এ মামলায় বাবা ও মেয়ে আসামি।

স্নিগ্ধা ওভারসিজ লিমিটেডের মাধ্যমে ৬ হাজার ৬৫৭ প্রবাসীর কাছ থেকে অতিরিক্ত ১১১ কোটি ৫০ লাখ টাকা গ্রহণের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির মালিক সাবেক সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী, তার স্ত্রী নুরজাহান বেগমসহ সাতজনের নামে মামলা হয়েছে।

রিক্রুটিং এজেন্সি বিনিময় ইন্টারন্যাশনালের মাধ্যমে ৫ হাজার ৪৫৮ জন থেকে অতিরিক্ত ৯১ কোটি ৪২ লাখ টাকার বেশি টাকা গ্রহণের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির মালিক চৌদ্দগ্রামের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুস সোবহান ভূইয়া ও তার স্ত্রী তাসলিমা আক্তারকে আসামি করা হয়েছে।

ফাইভ এম ইন্টারন্যাশনালের মাধ্যমে ৭ হাজার ১২৪ প্রবাসী থেকে অতিরিক্ত ১১৯ কোটি ৩২ লাখ টাকার বেশি গ্রহণের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির মালিক ফেনীর সাবেক সংসদ সদস্য লে. জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী ও তার মেয়ে তাসনিয়া মাসুদসহ কয়েকজনকে আসামি করা হয়।

এছাড়া ইউনিক ইস্টার্ন প্রাইভেট লিমিটেডের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত ৬৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকা, ক্যাথারসিস ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের বিরুদ্ধে ১৩০ কোটি ৪৩ লাখ, আহমদ ইন্টারন্যাশনালের বিরুদ্ধে ১৪৩ কোটি ৯১ লাখ, বিএম ট্রাভেলস লিমিটেডের বিরুদ্ধে ১৩৫ কোটি ৫৫ লাখ, বিএনএস ওভারসিজ লিমিটেডের বিরুদ্ধে ৭০ কোটি ৬০ লাখ, রুবেল বাংলাদেশ লিমিটেডের বিরুদ্ধে ৪৭ কোটি ৬৫ লাখ এবং ইফতি ওভারসিজের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত ৬৩ কোটি ৫৯ লাখ টাকার বেশি গ্রহণের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানের মালিক এবং অন্যদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক। আসামিদের বিরুদ্ধে দুদক ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে অভিযোগ আনা হয়।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত