আমার দেশ জনপ্রিয় বাংলা নিউজ পেপার

ডিএমপির এআই দাবি করা সেই ছবিটি আসল

স্টাফ রিপোর্টার
ডিএমপির এআই দাবি করা সেই ছবিটি আসল

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীদের অবরোধে এক পুলিশ কর্মকর্তার শিক্ষার্থীর মুখ চেপে ধরার একটি ছবি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি কিনা এ নিয়ে বিতর্ক এখন তুঙ্গে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছিল, ছবিটি এআই দিয়ে তৈরি। কিন্তু ফ্যাক্টচেকার এবং ছবি ধারণকারী প্রতিষ্ঠান বলছে, ‘এটি আসল ছবি।’

বিজ্ঞাপন
ডিএমপির দাবি করা এআই ছবিটি আসল
ডিএমপির দাবি করা এআই ছবিটি আসল

পুলিশের প্রেস বিজ্ঞপ্তি আমার দেশের অনলাইনে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশিত হলে এ নিয়ে বুয়েট শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে মন্তব্য কলামে এআই ছবি নয় বলে অনেকে মন্তব্য করেন। ফোন করেও কেউ কেউ প্রতিবাদ জানান। সংবাদ সম্মেলনেও ছবিটি আসল বলে দাবি করেন শিক্ষার্থীরা।

পরে বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধান করেছে আমার দেশ। ছবিটি দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড (টিবিএস) পত্রিকার ফেসবুক পেজে প্রকাশ করে বলা হয়েছে, এটি তাদের ফটোগ্রাফার রাজিব ধর বুধবার (২৭ আগস্ট) মিন্টু রোডে ছবিটি তুলেছেন। বিষয়টি আমার দেশকে নিশ্চিত করেছেন টিবিএস’র প্রধান প্রতিবেদক আব্বাস উদ্দিন নয়ন।

একই তথ্য জানাচ্ছেন ফ্যাক্টচেকাররাও। আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা এএফপির বাংলাদেশের ফ্যাক্ট-চেকবিষয়ক সাবেক সম্পাদক কদরুদ্দিন শিশির জানিয়েছেন, ‘ছবিটি এআই দিয়ে তৈরি নয়, আসল ছবি।’

Buet-2

রমনার ডিসির শিক্ষার্থীর মুখ চেপে ধরার ছবিটি বাস্তব, এআই নয় বলেও জানিয়েছে ফ্যাক্টওয়াচ। ডিএমপির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে দাবি করা হচ্ছে, এই ছবিটি এআই দিয়ে তৈরি। তবে ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ছবিটি বাস্তব। ওই সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত একজন ফটো সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলে ও ছবির মেটাডেটা বিশ্লেষণ করে ফ্যাক্টওয়াচ এটি নিশ্চিত করেছে।

ছবিটি নিয়ে বিশ্লেষণ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাইফুল আলম চৌধুরী। ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে তিনি বলেন, ‘পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে বুয়েটের এক শিক্ষার্থীর মুখ চেপে ধরা ছবিটি এআই জেনারেটেড। পুলিশের এমন দাবি অবলীলায় ছাপিয়েছে গণমাধ্যমগুলো।

এমনকি যেসব গণমাধ্যমের ফ্যাক্টচেক উইং আছে তারাও এটি প্রকাশ করেছে। পুলিশ কোন সফটওয়্যার দিয়ে, মেটাডেটা এনালাইসিস করেছে, কি দেখে মনে হলো ছবিটা এআই জেনারেটরেড - তার কোনো ব্যাখ্যা নাই। এআই জেনারেটেড ছবি কী না তার সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ হলো মেটা ডেটা এনালাইসিস করা। আমার জানা মতে, পুলিশের মধ্যে এ ধরনের এনালিস্ট নেই। খুব ক্রুসিয়াল না হলে এখন আর ফ্যাক্ট চেক করি না। কিন্তু পুলিশের দাবির পর ছবিটার একটা গ্রামার দেখেই মনে হয়েছে এই ছবি এআই জেনারেটেড নয়।’

এই শিক্ষক বলেন, ‘এআই ছবিতে যদি একাধিক হাত থাকে তাহলে হাতগুলো একসাথে ৯০ এবং ১২০ ডিগ্রি এঙ্গেলে থাকতে পারে না। সেজন্য ছয়টা টুলস দিয়ে পরীক্ষা করলাম। ফলাফল ছবিটা রিয়েল। গণমাধ্যমের কাজ তিনি হেসে বলেন, কেঁদে বলেন, দাবি করেন - এসব বিশেষণ দিয়ে জানানো নয়। গণমাধ্যমের দায়িত্ব সত্য জানানো। যেহেতু এআই আর ফ্যাক্ট চেকিং প্রশিক্ষণ দেই তাই পুলিশের এই ছবিটা ভালো উদাহরণ হয়ে থাকলো।’

ডিসক্লেইমার: রমনার ডিসিকে নিয়ে ছড়ানো ছবি এআই দিয়ে তৈরি বলা হলেও ফ্যাক্টচেকার এবং ছবি ধারণকারী প্রতিষ্ঠান বলছে, ‘এটি আসল ছবি।’

Google News Icon

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

রায়েরবাজারে দাফন করা অজ্ঞাত ১৮২ শহীদের লাশ উত্তোলন শুরু রোববার

‌নির্বাচনের প্রক্রিয়া যেন ব্যাহত না হয়, সে জন্য কাজ করছে বিএন‌পি: আলাল

যৌথবাহিনীর হাতে আটক বহিষ্কৃত যুবদল নেতার কারাগারে মৃত্যু

টিসিবির মাধ্যমে চিনি বিক্রি চলমান থাকবে: শিল্প উপদেষ্টা

স্বৈরাচার দেশে জুলুমতন্ত্র কায়েম করে সবকিছু লুটেপুটে নিয়েছে: জাহিদুল ইসলাম

এলাকার খবর
খুঁজুন