বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, এই যে তরুণ ছেলেরা, যারা কর্মসংস্থানহীন। যাদের ভিন্ন সোর্স থেকে খাওয়া পরার ব্যবস্থা হচ্ছে, তারা বিভ্রান্ত অবস্থায় আছে। সবকিছু মিলিয়ে বলব, অর্থনীতিবীদ, সমাজনীতিবীদ বা রাজনীতিবীদদের জন্য সামনে কর্মসংস্থানের একটা বড় চ্যালেঞ্জ বিরাজ করছে।
শনিবার সিরডাপ মিলনায়তনে গণতান্ত্রিক পুনর্গঠনের জন্য মুক্ত আলোচনা ও তরুণদের কর্মসংস্থান প্রসঙ্গ নিয়ে আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে এই মন্তব্য করেন তিনি ।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, অর্থনীতির পাঠ্য বইতে যে আনইমপ্লোয়ীমেন্টের কথা বলা হয়, বাস্তবতার সাথে তার মিল খুবই কম। একজন মানুষের যদি ইনভায়রনমেন্ট না থাকে, তাহলে তার জন্য কাজ করা খুবই কঠিন। অনেক বেকার যুবকদের সাথে কথা বলেছি। তাদের জীবন ধারণ নিয়ে সমস্যা নেই।
বেকার থাকলে একটা সমাজ বা জাতির জীবনে যে প্রভাব থাকে, সেই প্রভাব কিন্তু হচ্ছে না। অর্থাৎ কর্মসংস্থানহীন থাকলে তার জীবননির্বাহে কোন সমস্যা হচ্ছে না। তার পরিবারের কেউ না কেউ তার জীবন পরিচালনায় সহযোগিতা করছে। কর্মসংস্থানহীনতা বিছিন্নভাবে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে চিন্তা করার সুযোগ নেই।
এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সরোয়ার তুষার বলেন, গতকাল একজন প্রার্থী আমাদের সবার প্রিয় হাদী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আমরা দেখতে পাচ্ছি ফাঁকা আওয়াজ ছাড়া সরকার কিছুই করছে না। আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীদের জামিনে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন করলে পেওয়াজ নিয়ে উত্তর দেন। আমাদের এই উপদেষ্টার প্রতি আস্থা নেই। এতদিন যা হয়েছে, এখন এই উপদেষ্টাকে পরিবর্তন করুন।
আমরা আমাদের দলের পক্ষ থেকে মনে করি, আমাদের কর্মসংস্থান ঢাকামুখী। আমরা এই ব্যবস্থাকে ডিসেন্ট্রালাইজ করতে হবে। এখন যেহেতু স্কিল ডেভেলপমেন্টের সময়, প্রত্যেকটা জেলাকে কর্মসংস্থানের হাব তৈরি করতে হবে। শিক্ষাখাতে জিডিপির বরাদ্দ করা দরকার। দক্ষতা উন্নয়নেও জিডিপির বরাদ্দ বাড়ানো দরকার।
বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আনোয়ার উল আলম চৌধুরী পারভেজ বলেন, দেশের অর্থনীতি রেমিট্যান্স, কৃষি ও গার্মেন্টস- এই তিন খাতের ওপর দাঁড়িয়ে থাকলেও ভবিষ্যতে এগুলো থেকে পর্যাপ্ত কর্মসংস্থান তৈরি কঠিন।
বিদেশে কর্মী যাওয়া কমে গার্মেন্টসে অটোমেশন বাড়ছে। কৃষি খাত প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে উঠছে। তাই নতুন খাত খোঁজা জরুরি। বলেন, কারখানাগুলোতে যোগ্য চাকরি প্রার্থীর তীব্র সংকটের মাঝেই বিবিএস-এর জরিপ বলছ দেশে বেকারত্ব বাড়েছে।
এগ্রো-বেজড ইন্ডাস্ট্রি, ট্যুরিজম, ব্লু ইকোনমি ও হালাল গুডস খাতে বাংলাদেশের বড় সম্ভাবনা রয়েছে। এরমধ্যে হালাল গুডস ও ফুডের বৈশ্বিক বাজার প্রায় এক ট্রিলিয়ন ডলার।

