নামধারী সাংবাদিকদের কাছে যে জবাব চাইলেন মারুফ কামাল খান

আমার দেশ অনলাইন
প্রকাশ : ১১ জুলাই ২০২৫, ১৭: ২০
আপডেট : ১১ জুলাই ২০২৫, ১৭: ৩১

হাসিনা রেজিমকে ম্যাস মার্ডারে উস্কানি দেওয়া এবং বিপুল ভাবে অর্থ-সম্পদের মালিক হওয়া কিছু সাংবাদিক নামধারীর মানবাধিকার রক্ষায় এখন যারা মারাত্মক সোচ্চার। তাদের কাছে জবাব চেয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের সাবেক প্রেসসচিব, সাংবাদিক ও লেখক মারুফ কামাল খান।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার নিজের ভেরিফাইড ফেসবুকে তিনি এ জবাব চান।

তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, হত্যা পরিকল্পনার মিথ্যা মামলায় শফিক রেহমানকে ধরে নিয়ে গিয়ে জেলে দিয়েছিল হাসিনা রেজিম। মাহমুদুর রহমানকে আটক করে রিমান্ডে নিয়ে অত্যাচার করেছে। আবুল আসাদকে ছাত্রলীগের গুন্ডারা অফিসে ঢুকে টেনে হিঁচড়ে হেনস্তা করে পুলিশে দিয়েছে। তারপর তাকে জেল খাটতে হয়েছে। রুহুল আমীন গাজীকে হাতে দড়ি বেঁধে জেলে নেওয়া হয়েছে। সাংবাদিক দম্পত্তি সাগর-রুনির পৈশাচিক হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের সনাক্তই করা হয়নি। ফটো সাংবাদিক কাজলকে দীর্ঘদিন গুম করে রাখা হয়েছে। দৈনিক ইনকিলাবের রবিউল্লাহ্‌ রবি, রফিক মোহাম্মদ, আহমেদ আতিক ও আফজাল বারীকে গ্রেফতার এবং পত্রিকার অফিস ও প্রেস সিলগালা করে দেওয়া হয়। প্রথম আলোর রোজিনা ইসলামকে আটক করা হয়।একুশে টিভির মালিককে ও সাংবাদিক কনক সরোয়ারকে কারাগারে নিক্ষেপ করা হয়েছে। খুলনার সাংবাদিক মুনীর উদ্দীন আহমেদ এবং কক্সবাজারের সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফাকে সীমাহীন নিগ্রহের শিকার হতে হয়েছে। বিশাল তালিকার এ এক ভগ্নাংশ মাত্র।

চ্যানেল ওয়ান, দিগন্ত টিভি, ইসলামিক টিভি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বন্ধ করা হয়েছে দৈনিক আমার দেশ। আমি নিজে যত রকমের হেনস্তার শিকার হয়েছি, বহু মিথ্যা মামলায় জর্জরিত হয়েছি, সে-সব কথা নাই বা বললাম। ১৫ বছরের এতো সাংবাদিক নিগ্রহ ও মিডিয়ার কণ্ঠরোধের বিরুদ্ধে কারা কারা সোচ্চার হয়েছিলেন? হাসিনা রেজিমকে ম্যাস মার্ডারে উস্কানি দেওয়া এবং বিপুল ভাবে অর্থ-সম্পদের মালিক হওয়া কিছু সাংবাদিক নামধারীর মানবাধিকার রক্ষায় এখন যারা মারাত্মক সোচ্চার তারা কি সেদিন টু-শব্দটিও করেছিল? নাকি সোল্লাসে হাসিনাকে এসব নিবর্তনে মদত যুগিয়ে গেছে? জবাব চাই।

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিষয়:

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত