স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম এতিমখানার শিশুদের সঙ্গে ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদ্যাপন করেছেন। এতিমদের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ, তাদের মাঝে পড়ালেখা ও ক্রীড়াসামগ্রীসহ বিভিন্ন উপহারসামগ্রী বিতরণ করেছেন।
শনিবার সকালে সস্ত্রীক পুরাণ ঢাকার আজিমপুরে অবস্থিত এতিমখানা প্রাঙ্গণে পৌঁছালে এতিমখানার প্রশাসক ও সরকারের একজন পদস্থ কর্মকর্তা তাদের স্বাগত জানান।
১২ রবিউল আউয়াল ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষ্যে এতিমখানা প্রশাসনের বিশেষ আমন্ত্রণে তার সঙ্গে ছিলেন পাকিস্তানের ডেপুটি হাইকমিশনার মুহাম্মদ ওয়াসিফ, প্রেস কাউন্সিলর ফসিউল্লাহসহ হাইকমিশনের অন্যান্য কর্মকর্তারা। ওই সময় তারা এতিমখানা প্রাঙ্গণের মাদ্রাসা, আধুনিক ল্যাবরেটরি মসজিদসহ বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থাপনা পরিদর্শন করেন এবং এতিম শিশু-কিশোরদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।

এ সময় পাকিস্তান হাইকমিশনার বাংলাদেশ তথা গোটা উপমহাদেশের মুসলমানদের কল্যাণের জন্য স্যার সলিমুল্লাহর ঐতিহাসিক অবদানগুলোকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে বলেন যে, 'নবাব স্যার সলিমুল্লাহর দূরদর্শী নেতৃত্ব শুধু বর্তমান বাংলাদেশের ভূখণ্ডেই সীমাবদ্ধ ছিল না বরং তার নেতৃত্ব ছিল গোটা উপমহাদেশে বিস্তৃত।'
পরে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট ও সলিমুল্লাহ এতিমখানাসহ অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা নবাব স্যার সলিমুল্লাহ'র রুহের মাগফেরাত কামনা করে এ সকল প্রতিষ্ঠানের উন্নতি ও কল্যাণের জন্য সর্বদা পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।
অন্যদিকে হাইকমিশনার মহোদয়ের স্ত্রীও এতিম মেয়ে শিশুদের সঙ্গে কুশল বিনিময় ও মধ্যাহ্নভোজে অংশগ্রহণ করেন।
তিনি নবাব সলিমুল্লাহ'র স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তার হাতেগড়া এই মানবিক প্রতিষ্ঠানের শিশুদের পাশে থাকারও প্রত্যয় ব্যক্ত করেন এবং এতিমখানা প্রশাসনেরও দায়িত্বশীলতার প্রশংসা করেন। দুপুরে এতিমখানা মসজিদে যোহরের নামাজ শেষে তিনি এতিমখানা প্রাঙ্গণ ত্যাগ করেন।
উল্লেখ্য পুরান ঢাকার লালবাগের আজিমপুরে অবস্থিত উপমহাদেশের মুসলমানদের অবিসংবাদিত নেতা নবাব স্যার সলিমুল্লাহ ১৯০৯ সালে ‘স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম এতিমখানা’ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।


পাকিস্তান-চীন স্থায়ী বন্ধুত্বকে আরো গভীর করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ