মুজিবনগরের সঙ্গে শেখ মুজিবের কোনো সম্পর্ক নেই: মনির হায়দার

জেলা প্রতিনিধি, মেহেরপুর
প্রকাশ : ১৯ জুলাই ২০২৫, ১৮: ০১

মুজিবনগরের সঙ্গে শেখ মুজিবুর রহমানের কোনো সরাসরি সম্পর্ক নেই। পরাজিত শক্তির অর্থনৈতিক নেটওয়ার্ক এখনো পর্যন্ত পুরো মাত্রায় সক্রিয় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ঐকমত্য) মনির হায়দার।

শনিবার সকালে গাংনী উপজেলা সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মেহেরপুর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ।

তিনি বলেন, বৈদ্যনাথতলা বা ভাবেরপাড়ায় যে ঐতিহাসিক ঘটনাটি ঘটেছিল, সেখান থেকেই বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। পরে সেই স্থানটির নাম দেয়া হয় মুজিবনগর। তিনি কোনোদিন মুজিবনগরেই আসেননি। তার সঙ্গে এই মুজিবনগরের কোনো সম্পর্ক নেই। তাহলে জায়গাটির নাম কেন মুজিবনগর রাখা হলো? এটির নাম হতে পারতো মুক্তিনগর কিংবা মুক্তিপুর।

তিনি আরো বলেন, বৈদ্যনাথ তলা ভবের পাড়া এই বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্মের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল সেখানে ‘প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার’ শপথ গ্রহন করে। সাম্য, মানবিক মর্যাদা এবং সামাজিক সুবিচার মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনাই এটা। এই মুজিবনগর থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল। দুর্ভাগ্যক্রমে ১৯৭২ সালের সংবিধানে এই তিনটি জিনিসকে মূলনীতি করা হয়নি। জুলাই অভ্যুত্থানের পর বর্তমান সংবিধান সংস্কার কমিশন সেখানে এই তিনটি জিনিসকে অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার আন্দোলনে শেখ মুজিবুর রহমানের যে অবদান সেটি অস্বীকার করার কিংবা উপেক্ষা করার কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু মুজিবনগরের ব্যাপারটা সম্পূর্ণ ভিন্ন। তার নামে এই জায়গার না কেন মুজিবনগর হলো সেটি আমি জানি না। এটির নাম হতে পারতো মুক্তিনগর কিংবা মুক্তিপুর। এটার সাথে মুক্তি শব্দটা যুক্ত হবে। কিন্তু এমন একজন ব্যক্তির নাম এখানে যুক্ত হয়েছে যিনি এখানে কখনো আসেননি।

আমাদেরকে নিশ্চিত করতে হবে, যারা ২৪ এর গণহত্যার সাথে জড়িত ছিল এই গণহত্যাকে নানা ভাবে পৃষ্টপোষকতা দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া। তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে নিরপেক্ষতার চর্চা আত্মঘাতী।

সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, গাংনী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আমজাদ হোসেন, গাংনী উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি রেজাউল হক, সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলু, গাংনী বাজার কমিটির সভাপতি সালাউদ্দিন শাওনসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

সভায় বক্তারা, উপজেলার বিভিন্ন সমস্যা যেমন, চাষাবাদের জন্য পানির সংকট, শিক্ষা-স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়ন, শিল্পায়নের অভাব, রাস্তার বেহাল দশা ও যুবকদের কর্মসংস্থানের অভাব তুলে ধরেন। এসব সমস্যার সমাধানে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বাস্তবসম্মত উদ্যোগ গ্রহণ করার আশ্বাস দেন মনির হায়দার।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত