জিয়াউলের ৩৪২ কোটি টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১০: ২৭
আপডেট : ২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১০: ৪৮

৩৪২ কোটি টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন এবং প্রায় ৪০ কোটি ৮৭ লাখ টাকার বেশি অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (বরখাস্ত) জিয়াউল আহসান ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল বুধবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

বিজ্ঞাপন

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, আসামি মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান (বরখাস্ত) নিজ নামে ২২ কোটি ২৭ লাখ টাকার বেশি জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন করেছেন। ‘গাইডলাইন অব ফরেন এক্সচেঞ্জ ট্রানজেকশন-২০১৮ ও এফইপিডি সার্কুলার-৬’ অনুযায়ী বর্তমান অনুমোদিত সীমা লঙ্ঘন করে নিজ হিসেবে ৫৫ হাজার মার্কিন ডলার জমা করে।

এ ছাড়া বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ জমা করে স্ত্রী নুসরাত জাহানের সহযোগিতা ও যোগসাজশে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে স্থানান্তর, হস্তান্তর ও রূপান্তর করেন, তার নামীয় ৮টি সক্রিয় ব্যাংক হিসাবে প্রায় ১২০ কোটি টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন করেন এবং একজন উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তা হওয়ার সুবাদে এই কাজে নিজ পদ ও অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহার করেন। এ মামলায় স্ত্রী নুসরাতকেও আসামি করা হয়েছে।

অন্যদিকে দ্বিতীয় মামলায় তার স্ত্রী নুসরাত জাহানের নিজ নামে ১৮ কোটি ৫৯ লাখ টাকার বেশি জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। এ ছাড়া তার নামীয় চারটি সক্রিয় ব্যাংক হিসাবে প্রায় ২২২ কোটি ৫০ লাখ টাকার বেশি অস্বাভাবিক লেনদেন করেছেন। মামলায় তাকে স্বামী জিয়াউল আহসানকে সহযোগিতা ও পরস্পর যোগসাজশে ওই অর্থ বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে স্থানান্তর, হস্তান্তর ও রূপান্তর করার অভিযোগ আনা হয়েছে। এ মামলায় স্বামী ও স্ত্রীকে আসামি করা হয়েছে।

আসামিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইনে পৃথক দুটি মামলা করেছে। ২০২৪ সালের গত ১৮ ডিসেম্বর দুদক তিন সদস্যের অনুসন্ধান টিম গঠন করে জিয়াউলের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নামে। তার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার ও অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়াসহ অর্থ পাচারের অভিযোগ রয়েছে।

এমবি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত