জেলা প্রতিনিধি, কুমিল্লা
আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বলেছেন, ‘এখন যেটা ডিজিটাল আইন, সেটা শুরু হয় আইসিটি অ্যাক্ট থেকে। আমি ও আমার দেশ ছিলাম সেটার প্রথম আসামি। আমি বন্দি জীবন যাপন শুরু করলাম অফিসের ভিতরে। দীর্ঘ চার মাস বন্দি জীবন পার করলাম।’
সোমবার (২০ অক্টোবর) সকালে নবাব ফয়জুন্নেসা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে আমার দেশ পাঠকমেলা কুমিল্লা জেলা কর্তৃক আয়োজিত মহান ৩৬ জুলাই যোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ফ্যাসিবাদী সরকারের ইতিহাস টেনে তিনি বলেন, ২০০৯ সালে আমাদের কাছে একটা সংবাদ আসলো —তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর পুত্র (সজিব ওয়াজেদ জয়) জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের একটা দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ছে। সেই সংবাদ আমরা ছাপাবো কিনা —এটা একটা বড় সিদ্ধান্ত ছিল। তখন আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম, নিউজ ছাপাবো।
সেই সংবাদ থেকেই আমার সঙ্গে শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত লড়াই শুরু হয় এবং আমি জেনেশুনেই সেই লড়াইয়ে যোগ দিয়েছিলাম। আমি জানতাম এর প্রতিক্রিয়া কতটা ভয়ংকর হতে পারে।
হাসিনার বিচার ব্যবস্থা নিয়ে তিনি বলেন, ২০১০ সালে আমরা বুঝতে পারলাম, বাংলাদেশের জুডিশিয়ারি শেখ হাসিনার তদবির বাহনের ভূমিকা পালন করছে। দেশের সুপ্রিম কোর্টসহ সবাই একই কাজে জড়িত। তারা রায় দিচ্ছে — ‘শেখ হাসিনা দেখতে সুন্দরী।’
তখন আরেকটি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়লাম —এটার বিরুদ্ধে আমি লিখব কিনা। তখন সিদ্ধান্ত নিলাম, লিখব। তারপর আমি একটি আর্টিকেল লিখলাম— ‘স্বাধীন বিচারের নামে তামাশা’।
এটা লেখার কারণে আমার নামে মামলা হলো, সাজা হলো, পত্রিকা প্রথমবারের মতো বন্ধ হলো— কয়েক সপ্তাহ বন্ধ ছিল। আমি এক বছর জেল খেটে বের হলাম। তারপরেও আমি আমার আদর্শ থেকে বিচ্যুত হইনি।
স্কাইপ কেলেঙ্কারি নিয়ে তিনি আরো বলেন, এরপর বড় পরীক্ষা আসলো— যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে। তখনকার কথিত বিচারকরা আগে থেকেই রায় ঠিক করে রাখতো এবং বলা হচ্ছিল, সবাইকে ফাঁসির রায় দেওয়া হবে। তখনো আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম, এটার বিরুদ্ধে লিখব।
আমরা স্কাইপ কেলেঙ্কারি বের করলাম— বাংলাদেশে এ পর্যন্ত যত ইনভেস্টিগেশন নিউজ হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম ছিল এটা। এখন যেটা ডিজিটাল আইন, সেটা শুরু হয় আইসিটি অ্যাক্ট থেকে। আমি এবং আমার দেশ ছিলাম সেটার প্রথম আসামি। আমি বন্দি জীবন যাপন শুরু করলাম অফিসের ভেতরে। দীর্ঘ চার মাস বন্দি জীবন পার করলাম।
এরপর আমি আরেক পরীক্ষায় পড়লাম— গণজাগরণ মঞ্চ নামে ভারতীয় এজেন্টরা শাহবাগে নতুন প্রজেক্ট নিয়ে নামলো। তখনকার সকল মিডিয়াও তাদের পক্ষে অবস্থান নিল।
আমার দেশ পাঠকমেলা কুমিল্লা জেলার সভাপতি ডা. আরিফ মোর্শেদ খানের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মনিরুল হক চৌধুরী, কুমিল্লা মহানগর জামায়াতের আমির কাজী দ্বীন মোহাম্মদ, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. মো. হায়দার আলী, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কলামিস্ট এম আব্দুল্লাহ, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সোলায়মান, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ মহাসচিব ডা. গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, এবি পার্টির কুমিল্লা জেলা সভাপতি মিয়া মোহাম্মদ তৌফিক, কুমিল্লা ইবনে তাইমিয়া স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ সফিকুর রহমান হেলাল, কুমিল্লা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি জহিরুল হক দুলাল, এনসিপির কুমিল্লা মহানগর যুগ্ম-সমন্বয়ক রাশেদুল হাসান, জুলাই আগস্ট শহীদ পরিবারের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন শহীদ হামিদুর রহমান সাদমানের মা কাজী শারমিন, শহীদ মুনতাসির রহমানের বাবা সৈয়দ গাজীউর রহমান।
আমার দেশ কুমিল্লা প্রতিনিধি এম হাসানের সঞ্চালনায় এ অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন আমার দেশ পরিচালক ড. শাকিল ওয়াহেদ, আমার দেশের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক জাহেদ চৌধুরী, আমার দেশ মফস্বল সম্পাদক আবু দারদা যোবায়ের এবং কুমিল্লার বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, শিক্ষাবিদ, সরকারি কর্মকর্তা ও বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা।
আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বলেছেন, ‘এখন যেটা ডিজিটাল আইন, সেটা শুরু হয় আইসিটি অ্যাক্ট থেকে। আমি ও আমার দেশ ছিলাম সেটার প্রথম আসামি। আমি বন্দি জীবন যাপন শুরু করলাম অফিসের ভিতরে। দীর্ঘ চার মাস বন্দি জীবন পার করলাম।’
সোমবার (২০ অক্টোবর) সকালে নবাব ফয়জুন্নেসা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে আমার দেশ পাঠকমেলা কুমিল্লা জেলা কর্তৃক আয়োজিত মহান ৩৬ জুলাই যোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ফ্যাসিবাদী সরকারের ইতিহাস টেনে তিনি বলেন, ২০০৯ সালে আমাদের কাছে একটা সংবাদ আসলো —তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর পুত্র (সজিব ওয়াজেদ জয়) জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের একটা দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ছে। সেই সংবাদ আমরা ছাপাবো কিনা —এটা একটা বড় সিদ্ধান্ত ছিল। তখন আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম, নিউজ ছাপাবো।
সেই সংবাদ থেকেই আমার সঙ্গে শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত লড়াই শুরু হয় এবং আমি জেনেশুনেই সেই লড়াইয়ে যোগ দিয়েছিলাম। আমি জানতাম এর প্রতিক্রিয়া কতটা ভয়ংকর হতে পারে।
হাসিনার বিচার ব্যবস্থা নিয়ে তিনি বলেন, ২০১০ সালে আমরা বুঝতে পারলাম, বাংলাদেশের জুডিশিয়ারি শেখ হাসিনার তদবির বাহনের ভূমিকা পালন করছে। দেশের সুপ্রিম কোর্টসহ সবাই একই কাজে জড়িত। তারা রায় দিচ্ছে — ‘শেখ হাসিনা দেখতে সুন্দরী।’
তখন আরেকটি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়লাম —এটার বিরুদ্ধে আমি লিখব কিনা। তখন সিদ্ধান্ত নিলাম, লিখব। তারপর আমি একটি আর্টিকেল লিখলাম— ‘স্বাধীন বিচারের নামে তামাশা’।
এটা লেখার কারণে আমার নামে মামলা হলো, সাজা হলো, পত্রিকা প্রথমবারের মতো বন্ধ হলো— কয়েক সপ্তাহ বন্ধ ছিল। আমি এক বছর জেল খেটে বের হলাম। তারপরেও আমি আমার আদর্শ থেকে বিচ্যুত হইনি।
স্কাইপ কেলেঙ্কারি নিয়ে তিনি আরো বলেন, এরপর বড় পরীক্ষা আসলো— যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে। তখনকার কথিত বিচারকরা আগে থেকেই রায় ঠিক করে রাখতো এবং বলা হচ্ছিল, সবাইকে ফাঁসির রায় দেওয়া হবে। তখনো আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম, এটার বিরুদ্ধে লিখব।
আমরা স্কাইপ কেলেঙ্কারি বের করলাম— বাংলাদেশে এ পর্যন্ত যত ইনভেস্টিগেশন নিউজ হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম ছিল এটা। এখন যেটা ডিজিটাল আইন, সেটা শুরু হয় আইসিটি অ্যাক্ট থেকে। আমি এবং আমার দেশ ছিলাম সেটার প্রথম আসামি। আমি বন্দি জীবন যাপন শুরু করলাম অফিসের ভেতরে। দীর্ঘ চার মাস বন্দি জীবন পার করলাম।
এরপর আমি আরেক পরীক্ষায় পড়লাম— গণজাগরণ মঞ্চ নামে ভারতীয় এজেন্টরা শাহবাগে নতুন প্রজেক্ট নিয়ে নামলো। তখনকার সকল মিডিয়াও তাদের পক্ষে অবস্থান নিল।
আমার দেশ পাঠকমেলা কুমিল্লা জেলার সভাপতি ডা. আরিফ মোর্শেদ খানের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মনিরুল হক চৌধুরী, কুমিল্লা মহানগর জামায়াতের আমির কাজী দ্বীন মোহাম্মদ, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. মো. হায়দার আলী, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কলামিস্ট এম আব্দুল্লাহ, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সোলায়মান, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ মহাসচিব ডা. গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, এবি পার্টির কুমিল্লা জেলা সভাপতি মিয়া মোহাম্মদ তৌফিক, কুমিল্লা ইবনে তাইমিয়া স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ সফিকুর রহমান হেলাল, কুমিল্লা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি জহিরুল হক দুলাল, এনসিপির কুমিল্লা মহানগর যুগ্ম-সমন্বয়ক রাশেদুল হাসান, জুলাই আগস্ট শহীদ পরিবারের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন শহীদ হামিদুর রহমান সাদমানের মা কাজী শারমিন, শহীদ মুনতাসির রহমানের বাবা সৈয়দ গাজীউর রহমান।
আমার দেশ কুমিল্লা প্রতিনিধি এম হাসানের সঞ্চালনায় এ অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন আমার দেশ পরিচালক ড. শাকিল ওয়াহেদ, আমার দেশের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক জাহেদ চৌধুরী, আমার দেশ মফস্বল সম্পাদক আবু দারদা যোবায়ের এবং কুমিল্লার বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, শিক্ষাবিদ, সরকারি কর্মকর্তা ও বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা।
মসজিদ ব্যবস্থাপনা ও নীতিমালা প্রণয়ন বিষয়ে কর্মশালা করেছে বাংলাদেশ মসজিদ মিশন। মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর কাটাবন সেন্ট্রাল পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে এ কর্মশালা সভাপতিত্ব করেন মিশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা যাইনুল আবেদীন।
২২ মিনিট আগেতৌহিদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, প্রত্যেকে নিজ নিজ কাজ করবে- আমরা এটাই মনে করি। মানবাধিকার সংগঠনগুলো তাদের কাজ করবে। তবে সরকারের পক্ষে তাদের সবকিছু মেনে নেওয়া কখনোই সম্ভব হবে না।
৩৯ মিনিট আগেজুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় ও পদ্ধতি নিয়ে বিশেষ আদেশের খসড়া আজ বুধবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে জমা দেবেন বিশেষজ্ঞরা।
২ ঘণ্টা আগেদেশে গত একযুগে ৬৭ হাজার ৮৯০টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে এক লাখ ১৬ হাজার ৭২৬ জন নিহত এবং এক লাখ ৬৫ হাজার ২১ জন আহত হয়েছেন। ২০১৪ থেকে ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হতাহতের এই পরিসংখ্যান জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
৩ ঘণ্টা আগে