ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের আচরণবিধি লঙ্ঘন ও নির্বাচনকালীন অভিযোগ যাচাইয়ের জন্য ১০জন কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সম্প্রতি ইসির সহকারী সচিব মোহাম্মদ শহীদুর রহমান স্বাক্ষরিত এক পত্রে নিয়োগ সংক্রান্ত এ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
জারি নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট সুষ্ঠু, সুন্দর এবং নিরপেক্ষভাবে পরিচালনার জন্য তফসিল ঘোষণার পর হতে নির্বাচনি ফলাফল গেজেটে প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত নিয়োগপ্রাপ্ত ১০ কর্মকর্তা নির্বাচনের কাজে যুক্ত থাকবে।
দায়িত্ব বণ্টন করে নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ভোটকেন্দ্র সম্পর্কিত প্রাপ্ত অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য তারা কমিশনে উপস্থাপন করবেন। একইসঙ্গে, নির্বাচনকালীন আচরণ-বিধি ভঙ্গ ও অন্যান্য অভিযোগ নিষ্পত্তিতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। অনুরুপভাবে, নির্বাচন উপলক্ষ্যে গঠিত বিভিন্ন কমিটির নিকট হতে প্রতিবেদন সংগ্রহ ও নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টিতে নিয়ে আসবেন।
এছাড়া, মনোনয়নপত্র দাখিল হতে বার্তাশিট সংগ্রহসহ রিটার্নিং অফিসারের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ; প্রতীক বরাদ্দের পর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর তালিকা সংগ্রহ এবং তালিকায় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের নাম বাংলা বর্ণমালার ক্রমানুসারে হয়েছে কিনা তা যাচাইকরণ, ব্যালট পেপার মুদ্রণের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর তালিকা মুদ্রণালয়ে পাঠানো; ব্যালট পেপার মুদ্রণের প্রুফ রিডিং এবং চূড়ান্ত মুদ্রণের জন্য অনুমোদন দেওয়া; ভোটগ্রহণের দিন পরিস্থিতি প্রতিবেদন সংগ্রহ ও নির্বাচন কমিশনে উপস্থাপন এবং বেসরকারি ফলাফল সংগ্রহ ও পরিবেশন এবং ওসিভিও আইসিভিবিষয়ক দায়িত্ব পালন করবেন। নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের কাজে সমন্বয় করবেন, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক, আইন অনুবিভাগের যুগ্মসচিব ও নির্বাচন ব্যবস্থাপনা-২ শাখার কর্মকর্তারা।
ইসির ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২৯ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২০ জানুয়ারি। চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ও প্রতীক বরাদ্দ হবে ২১ জানুয়ারি। নির্বাচনি প্রচার চলবে ২২ জানুয়ারি থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত। ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ১২ ফেব্রুয়ারি।

