‘ঝাড়ুদার আব্দুল হাকিম অন্তত তিন দিন দেখেছেন যে— শেখ ফজলে নূর তাপস ডিএডি তৌহিদের সঙ্গে এবং আরো কিছু সৈনিকদের সঙ্গে নামাজ আদায় করে মসজিদের ভিতরে গোপন বৈঠক করছে।’
ঢাকার পিলখানায় নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদনে ২৫ নম্বর কয়েদি সাক্ষীর জবানবন্দিতে এ তথ্য উঠে এসেছে।
এই সাক্ষীর জবানবন্দিতে আরো উঠে এসেছে—ফজলে নূর তাপস মাঝে মাঝে ভোট চাইতে পিলখানায় আসতেন এবং ভোটের দিনও পিলখানায় এসেছিলেন। ভোটের দিন অনেক সৈনিকসহ ঝাড়ুদার আব্দুল হাকিমকেও জড়িয়ে ধরে নৌকা মার্কায় ভোট দিতে অনুরোধ করেছেন।
এদিকে পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তরে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দলগতভাবে আওয়ামী লীগের সম্পৃক্ততা পেয়েছে জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশন। তারা বলছে, এ ঘটনার মূল সমন্বয়কারী ছিলেন তৎকালীন সংসদ সদস্য শেখ ফজলে নূর তাপস। পুরো ঘটনাটি সংঘটিত করার ক্ষেত্রে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘গ্রিন সিগন্যাল’ ছিল। এ ছাড়া এই ঘটনায় ভারতেরও সম্পৃক্ততা পেয়েছে কমিশন।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিডিআরের (বর্তমানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ—বিজিবি) সদর দপ্তরে নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ১১ মাস ধরে তদন্ত করে প্রতিবেদন তৈরি করে রোববার প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন হস্তান্তর করে কমিশন।


‘হঠাৎ স্লোগান দিতে দিতে পিলখানায় ঢোকে ২৫ জন’
পিলখানা হত্যাকাণ্ডের আগে জুয়েলকে ফোনে যে নির্দেশনা দিয়েছিলেন তাপস