বিমানের পরিত্যক্ত ১০ টায়ার চুরি, থানায় জিডি

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ১০টি টায়ার চুরি হয়েছে। এ বিষয়ে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। গত সোমবার জিডি করেন বিমানের সহকারী ব্যবস্থাপক (নিরাপত্তা) মোশারেফ হোসেন। চুরির কথা না বলে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অবহিত না করে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।

জিডিতে বলা হয়, গত ‘ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ১০টি আনসার্ভিসেবল টায়ার বিমানবন্দরের হ্যাঙ্গার কমপ্লেক্সের পাশে থাকা অকশন শেডে খুঁজে পাওয়া যায়নি। চাকার সন্ধান না পাওয়ায় বিমানের ম্যাটেরিয়াল ম্যানেজমেন্ট সুপারভাইজার আরমান হোসেন ও স্টোর হেলপার সামসুল হককে জিজ্ঞাসাবাদ করলে জানা যায়, ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের সহকারী মহাব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলামের কাছে হস্তান্তর করেছে। যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অবহিত না করে এমন কাজ করা হয়েছে।’

বিমানের কর্মকর্তা জানান, এখানে অনুমোদিত কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়া অন্য কারও প্রবেশের সুযোগ নেই। তাই ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ভেতরের একটি চক্রই এ ঘটনায় জড়িত। ইতোমধ্যে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে তদন্ত শুরু হয়েছে।

এ বিষয়ে বিমানের মহাব্যবস্থাপক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এ বি এম রওশন কবীর আমার দেশকে বলেন, পুরাতন অকেজো টায়ার নিলামে ওঠানোর জন্য বিমানের হ্যাঙ্গারে রাখা ছিল। সেখান থেকে ১০টি টায়ার বিমানের দুই সদস্য ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের এক ব্যক্তিকে দিয়ে তার কাছ থেকে আবার ৬টি টায়ার নিয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে বিষয়টি ধরা পড়েছে। এ ঘটনায় বিমানবন্দর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। এখন পুলিশি তদন্তের মাধ্যমে জড়িতরা চিহ্নিত হবে। এরপর তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের উপমহাব্যবস্থাপক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. কামরুল ইসলাম আমার দেশকে বলেন,বিমানের অকেজো ,পরিত্যক্ত টায়ার দিয়ে ইউএস বাংলা কি করবে?। বিমানের উড়োজাহাজ আর ইউএস বাংলার উড়োজাহাজ একই ধরনেরও না। ইউএস বাংলার বহরে রয়েছে এটিআর ,এয়ারবাস, বোয়িং ৭৩৭ উড়োজাহাজ। বিমানের চাকাগুলো বোয়িং- ৭৭৭ উড়োজাহাজের। আমাদের বহরে বোয়িং ৭৭৭-উড়োজাহাজই নেই। বিমানের যদি ১০টি টায়ার পরিত্যক্ত হয় তাহলে ইউএস বাংলারও ১০টি টায়ার পরিত্যক্ত হয়। আমাদের গুলোই আমাদের ফেলে দিতে হয়। তাহলে বিমানের পরিত্যক্ত টায়ার দিয়ে ইউএস বাংলা কি করবে।