খালেদা জিয়া প্রসঙ্গে ডেইলি স্টারের তথ্য ফাঁস করলেন আসিফ নজরুল

বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৬ জুন ২০২৫, ২১: ৫৩

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ঝেড়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, আজ থেকে ১৩-১৪ বছর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন লেকচারার খালেদা জিয়ার নামে আজেবাজে কথা লিখেন। ডেইলি স্টার তাকে জাতীয় নায়ক বানিয়ে দিয়েছিল।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর তোপখানা রোডে সিরডাপ মিলনায়তনে ‘গণমাধ্যমের স্বাধীনতা : সাংবাদিকদের সুরক্ষা ও অভিযোগ নিষ্পত্তির আইনি কাঠামোর পর্যালোচনা’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

আসিফ নজরুল বলেন, ‘ওই লেকচারারকে প্রফেসর উল্লেখ করে তার লেখা প্রকাশ করত ডেইলি স্টার। প্রত্যেক দিন প্রফেসর লেখা হতো। কারণ খালেদা জিয়ার নামে তিনি বাজে কথা লিখেছিলেন এবং ছাত্রদল তার পদত্যাগ চেয়েছিল। তবে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি সর্বসম্মতিক্রমে যখন তাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের করে দিল, সে সংবাদটি ছাপেনি ডেইলি স্টার।’

আসিফ নজরুল বলেন, ‘আমি দুঃখিত, কিন্তু আমাকে বলতে হচ্ছে তিনি এত উন্মত্ত মানসিকতার ছিলেন, কয়েক বছর আগে আত্মহত্যা করেছেন।’

আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনারা দেখবেন, প্রথম আলো সুযোগ পেলেই প্রয়াত জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে লিখে বিএনপিপন্থি। আমি সোহরাব ভাইকে (সোহরাব হাসান) সব সময় বলতাম, জাফরুল্লাহ চৌধুরী যদি বিএনপিপন্থি হন, তবে আনিসুজ্জামান আর জাফর ইকবালের নামের আগে আওয়ামী লীগপন্থি কেন লিখেন না? এমন পক্ষপাতি আচরণ করলে মানুষের আস্থা থাকবে না।’

পরিচিত উপদেষ্টারা গণমাধ্যমে বেশি নোংরামির শিকার হচ্ছেন বলে মন্তব্য করে আসিফ নজরুল বলেন, ‘অনেকেই আমাদের কাছে অন্যায় তদবির নিয়ে আসেন। তাদের এসব তদবির না রাখতে পারলেই দালাল বলা শুরু করে দেন। অন্তর্বর্তী সরকারের অনেক দুর্বলতা থাকলেও প্রধান উপদেষ্টাসহ অন্য উপদেষ্টারা সেবকের মতো কাজ করছেন।’

সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলার বিষয়ে তিনি বলেন, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে যত মামলা হয়েছে, সেগুলো সাংবাদিকতার জন্য হয়নি। জামিনের ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় বিবেচনা করা হয়। আমরা আইন মন্ত্রণালয় থেকে সাংবাদিকদের জামিন দেওয়া বা না দেওয়ার ব্যাপারে কোনো কিছু বলিনি।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান বদিউল আলম মজুমদার, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, সিপিবি সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু, সাংবাদিক এমএ আজিজ, সোহরাব হাসান, ডা. জাহেদ উর রহমান, ভূরাজনৈতিক বিশ্লেষক ও শিক্ষক পারভেজ করিম আব্বাসী, ডা. সাখাওয়াৎ হোসেন, ফ্যাক্টচেকার কদরুদ্দিন শিশির প্রমুখ।

আসিফ নজরুল বলেন, উপদেষ্টাদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের পরও মামলা দায়ের করা হয়নি। সাংবাদিকদের জামিন না দেওয়ার বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয় কোনো হস্তক্ষেপ করেনি।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত