রংপুরে গণপিটুনিতে দুজন নিহত, ন্যায়বিচার নিশ্চিতে আসকের আহ্বান

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ১১ আগস্ট ২০২৫, ২০: ৩৭

রংপুরের তারাগঞ্জে হিন্দু সম্প্রদায়ের দুই নাগরিককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। পাশাপাশি এই ঘটনায় ন্যায়বিচার দাবি করেছে সংস্থাটি। সোমবার এক বিবৃতিতে আসক এই দাবি জানায়।

বিজ্ঞাপন

আসক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গত ৯ আগস্ট উপজেলার ঘনিরামপুর এলাকার রুপলাল দাস (৪০) ও মিঠাপুকুর উপজেলার প্রদীপ দাসকে (৩৫) ভ্যান চোর সন্দেহে স্থানীয়রা পিটিয়ে হত্যা করে। সম্পর্কে তারা ভাগনি জামাই ও শ্বশুর। রুপলাল দাস জুতাসেলাইয়ের কাজ করতেন এবং প্রদীপ দাস ভ্যানচালক ছিলেন। রুপলালের মেয়ের বিয়ের দিন ঠিক করার জন্য প্রদীপ দাস ভ্যান চালিয়ে আত্মীয়ের বাড়িতে যাচ্ছিলেন। পথে বটতলা এলাকায় স্থানীয়রা তাদের থামিয়ে সন্দেহজনকভাবে পিটিয়ে হত্যা করে।

আইন ও সালিশ কেন্দ্র এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছে, আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে হত্যা করা দেশের আইনের শাসন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল। সংবিধানের ৩১ ও ৩২ অনুচ্ছেদে প্রত্যেক নাগরিকের আইনগত সুরক্ষা ও জীবন রক্ষার অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে, যা এখানে ভঙ্গ হয়েছে।

আসক বিবৃতিতে আরও জানায়, এ ধরনের গণপিটুনির ঘটনা দেশে ধারাবাহিকভাবে ঘটছে, যা জনগণের মধ্যে গভীর নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টি করেছে। শুধু ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত কমপক্ষে ১১১ জন মব সন্ত্রাসের শিকার হয়েছেন এবং নিহত হয়েছেন।

আইন ও সালিশ কেন্দ্র দাবি করেছে, এই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক এবং নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ও নিরাপত্তা প্রদান করা প্রয়োজন। পাশাপাশি সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আহ্বান জানানো হয়েছে, সংঘবদ্ধ প্ররোচনামূলক কর্মকাণ্ডে জড়িতদের ছাড় দেওয়া যাবে না, তাদের শনাক্ত করে কঠোরভাবে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। কারণ এ ধরনের ঘটনা মানবাধিকারের ভিত্তিকে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত করে।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত