পাঁচটি সংস্কার কমিশনের ১৬টি সুপারিশ বাস্তবায়ন করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের দুটি, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের একটি, দুর্নীতি দমন সংস্কার কমিশনের ৪টি এবং বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের ৮টি। ৮৫টি আশু বাস্তবায়নে প্রক্রিয়াধীন। ১০টির আংশিক বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এসব তথ্য জানান।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ১১ সংস্কার কমিশন যে ১২১টি আশু বাস্তবায়নযোগ্য সুপারিশ করেছিল, এর মধ্যে এখন পর্যন্ত ১৬টি বাস্তবায়িত হয়েছে। ৮৫টি আশু বাস্তবায়নে প্রক্রিয়াধীন। ১০টির আংশিক বাস্তবায়ন করা হয়েছে। আর ১০টি বাস্তবায়ন করা যাবে কি না, তা নিয়ে আলোচনা চলছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হয়েছে- নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্র্যাইব্যুনাল আইন সংশোধন, নির্বাচন পর্যবেক্ষণ ও গণমাধ্যম নীতিমালা; জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের নাগরিকের পাসপোর্ট পাওয়া মৌলিক অধিকার; দুর্নীতি দমন সংস্কার কমিশনের তদন্ত-পূর্ব আবশ্যিক অনুসন্ধান ব্যবস্থা বিলোপ, দুদক আইনের ধারা ৩২ক বিলোপ, উচ্চমাত্রার দুর্নীতি তদন্তে বিভিন্ন এজেন্সির সমন্বয়ে আলাদা টাস্কফোর্স গঠন ও CAG ও IMED এর সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর এবং বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের সুপ্রীম কোর্টের বিচারক নিয়োগ কমিশন, ‘ইনফরমেশন ডেস্ক’ স্থাপন, নারী ও শিশুদের জন্য স্বতন্ত্র স্থান, অনলাইনে সরকারি সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ, আইনজীবীর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলায় অপর পক্ষে অন্য আইনজীবী নিয়োগের প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণের বিষয়ে সার্কুলার জারি, আইনগত সহায়তা কার্যক্রমের সাথে মধ্যস্থতা কার্যক্রমকে সংযুক্তকরণ, দেওয়ানী মামলার নিষ্পত্তি ত্বরান্বিত করা এবং ফৌজদারী মামলার নিষ্পত্তি ত্বরান্বিত করার সুপারিশ বাস্তবায়ন হয়েছে।
বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলোর মধ্যে আটটি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। সেগুলো হলো—সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ কমিশন, ইনফরমেশন ডেস্ক স্থাপন, নারী ও শিশুদের জন্য স্বতন্ত্র স্থান, আইনজীবীর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলায় অপর পক্ষে অন্য আইনজীবীর নিয়োগে প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণের বিষয়ে সার্কুলার জারি, আইনগত সহায়তা কার্যক্রমের সঙ্গে মধ্যস্থতা কার্যক্রমকে সংযুক্তকরণ, দেওয়ানি মামলা নিষ্পত্তি ত্বরান্বিত করা এবং ফৌজদারি মামলার নিষ্পত্তি ত্বরান্বিত করা।

