খালেদা জিয়ার লন্ডনযাত্রা

কাতারের পাঠানো এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে আছে যেসব সুবিধা

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ : ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯: ৫২
আপডেট : ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১১: ০৬
কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য আগামীকাল মঙ্গলবার রাত ১০টায় লন্ডনের উদ্দেশে যাত্রা করবেন। কাতারের আমিরের পাঠানো ‘বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স’এ তিনি লন্ডন যাবেন।

এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি কাতারের রাজধানী দোহায় অবতরণ করবে স্থানীয় সময় রাত দেড়টায়। সেখান থেকে অ্যাম্বুলেন্সটিতে করে লন্ডন যাবেন তিনি। লন্ডনের একটি হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হবে।

বিজ্ঞাপন

কাতার এয়ারওয়েজ সূত্রে জানা গেছে, খালেদা জিয়াকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ১৬ জন আরোহী থাকবেন। ফ্লাইটটির ক্যাপ্টেন অ্যান্থনি জেমিসন কানাডার নাগরিক। তিনিসহ ফ্লাইটে আটজন ক্রু থাকবেন। খালেদা জিয়াকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটির পাশাপাশি সম্ভাব্য জরুরি প্রয়োজনে প্রস্তুত থাকবে আরেকটি এয়ারক্র্যাফট।

এয়ার অ্যাম্বুলেন্স এ-৩১৯ মডেলের উড়োজাহাজ। ফ্রান্সের এয়ারবাস কোম্পানির তৈরি এই অত্যাধুনিক উড়োজাহাজ জরুরি পরিস্থিতিতে রোগীদের জন্য সর্বোত্তম চিকিৎসাসেবা দিতে সক্ষম। এটি বেশ দ্রুতগতির উড়োজাহাজ। স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ পরিবেশ এবং সর্বশেষ প্রযুক্তির চিকিৎসা সরঞ্জামের জন্য এটি অনন্য। এককথায় কাতারের আমিরের এয়ার অ্যাম্বুলেন্সকে বলা যেতে পারে একটি উড়ন্ত হাসপাতাল। এতে রয়েছে আধুনিক সব ধরনের চিকিৎসা সুবিধা।

এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে রয়েছে- ভেন্টিলেটর, ডিফিব্রিলেটর, মনিটর, ইনফিউশন পাম্প এবং অন্যান্য জরুরি ওষুধ। একটি পূর্ণ নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রও (আইসিইউ) রয়েছে। রোগীর অবস্থার অবনতি হলে অবস্থা স্থিতিশীল রাখার জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের সুবিধা মিলবে এ উড়োজাহাজে।

রোগীকে দেখভালের জন্য সার্বক্ষণিক অত্যন্ত দক্ষ চিকিৎসক ও নার্স রয়েছেন। রোগীর স্বস্তি ও স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য এ উড়োজাহাজ সেভাবেই নকশা করা হয়। রোগী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের জন্য আলাদা স্থান রয়েছে এতে। এই এয়ার অ্যাম্বুলেন্স দীর্ঘ যাত্রার (ফ্লাইটের) ক্ষেত্রেও রোগীর সব ধরনের চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম।

এদিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর জন্য কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বিমানবন্দরে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থার সমম্বয়ে বৈঠক করেছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। কর্মকর্তারা জানান, বিএনপির বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মীর জমায়েতে যাতে নিরাপত্তা বিঘ্নিত না হয়, সে জন্য বিশেষ এই সতর্কাবস্থা।

বিমানবন্দর থানার ওসি তাসলিমা আক্তার জানিয়েছেন, ১০ প্লাটুন পুলিশ থাকবে। এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাব, বেবিচকের এ্যাফসেক বাহিনীসহ সোয়াটের মতো স্পেশাল টিমও থাকছে।

বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া জানান, বিমানবন্দরে নিরাপত্তাজনিত কোনো সমস্যা যাতে না হয়, সে লক্ষ্যে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিমানবন্দরে প্রবেশে কড়াকড়ি থাকবে।

এমবি

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিষয়:

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত