‘অপরাজেয় বাংলা’ নামে নতুন একটি রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ হয়েছে। সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক অনুষ্ঠানে দলটির আত্মপ্রকাশ ঘটে।
আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান বিমান বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত গ্ৰুপ ক্যাপ্টেন ফরিদ উদ্দিন, জনেন্দ্র নাথ সরকার ও মো. মোসাদ্দেক, স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য ফরিদুল ইসলাম ফরিদ, এ কে এস বি মজুমদার, মীর মুস্তাফিজুর রহমান, গোলাম রহমান, তানজুম আফরোজ আঁখি প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানোত্তর বাংলাদেশ আজ এমন এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে দাঁড়িয়ে, যেখানে সঠিক বিদেশি বিনিয়োগ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশকে বিশ্বে নেক্সট ১১ অর্থনীতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার বাস্তব সুযোগ রয়েছে। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে ২০৩০-৩১ অর্থবছরের মধ্যে যোগাযোগ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবেশ ও সামরিক খাতে ৩১ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি স্মার্ট জিও নেশন হিসেবে গড়ে তোলার অভীষ্ট উদ্দেশ্য নিয়েই অপরাজেয় বাংলার আত্মপ্রকাশ।
একুশে পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তিত্ব আহমেদ ইকবাল হায়দারকে চেয়ারপারসন করে হিন্দু, মুসলিম, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ ও উপজাতিসহ ১৯৭১ ও ২০২৪-এর চেতনায় এবং নিজ নিজ ক্ষেত্রে পেশাদারত্ব অর্জনকারী ব্যক্তিদের সমন্বয়ে এই রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম গঠিত হয়েছে। এতে রয়েছেন ১১ সদস্যের ভাইস চেয়ারম্যান পরিষদ, ২৪ সদস্যের স্ট্যান্ডিং কমিটি এবং ৭১ সদস্যবিশিষ্ট সেন্ট্রাল এক্সিকিউটিভ কমিটি।
অপরাজেয় বাংলার ভাইস চেয়ারম্যান গ্রুপ ক্যাপ্টেন (অব.) মো. ফরিদ উদ্দিন দলটির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা রক্ষা করা। একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, গণতন্ত্র, মানবাধিকার, বৈষম্যহীন সমাজ বিনির্মাণ এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা। চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের আকাঙক্ষাকে ধারণ করে একটি বৈষম্যহীন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা। গ্রামীণ জনপদের উন্নয়ন ও শিল্পায়ন কর্মসূচিকে অগ্রাধিকার দিয়ে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনের মাধ্যমে জনগণের জীবনমান উন্নয়ন এবং সামগ্রিক সমৃদ্ধি নিশ্চিত করা। অগ্রাধিকারভিত্তিক উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের মাধ্যমে জাতীয় জীবনে সুষম অর্থনীতি প্রতিষ্ঠা করা, যাতে সব নাগরিকের খাদ্য, বস্ত্র, চিকিৎসা, শিক্ষা ও বাসস্থানের চাহিদা পূরণের সুযোগ নিশ্চিত হয়।
দলের লক্ষ্য সম্পর্কে তিনি আরো বলেন, সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশি জনগণের ধর্ম ইসলাম এবং অন্যান্য ধর্মাবলম্বী জনগোষ্ঠীর জন্য ধর্মীয় শিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করে মানবিক মূল্যবোধ সংরক্ষণ করা। অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জন্য শিক্ষা সম্প্রসারণ ও জাতীয় জীবনে তাদের অধিকতর সুবিধা ও সম্মানজনক অংশগ্রহণের সুযোগ নিশ্চিত করা। নারী ও যুব সম্প্রদায়সহ সব মানবসম্পদের সুষ্ঠু, কার্যকর ও বাস্তবভিত্তিক সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করা। আন্তর্জাতিক বন্ধুত্ব, প্রীতি ও সমতার ভিত্তিতে পররাষ্ট্রনীতি প্রণয়ন করা। প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে পারস্পরিক সার্বভৌমত্বের প্রতি সম্মান বজায় রেখে এবং বিশেষভাবে ভ্রাতৃপ্রতিম মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে সুদৃঢ় সম্পর্ক গড়ে তোলা।
এছাড়া মুক্তবাজার অর্থনীতি, বৈদেশিক বিনিয়োগ এবং বাস্তবমুখী প্রকল্পের মাধ্যমে আর্থসামাজিক উন্নয়ন সাধন করে জনগণের জীবনমান উন্নয়ন করা। দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বব্যবস্থা, বিশেষ করে আঞ্চলিক ও ভূরাজনৈতিক বাস্তবতায়, বাংলাদেশকে ভারসাম্যপূর্ণ, প্রতিযোগিতামূলক ও সক্ষম কূটনৈতিক এবং প্রতিরক্ষা মতবাদ পূর্ণাঙ্গ করার মাধ্যমে একটি সমৃদ্ধ জাতি গঠন করা দলটির লক্ষ্য বলে জানান মো. ফরিদ উদ্দিন।
আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন


‘রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ ও প্রার্থীদের আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স দিতে নীতিমালা জারি