হাসিনার নির্দেশে ববি হাজ্জাজকে হত্যা চেষ্টা: এনডিএম

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১: ৪০
ছবি: সংগৃহীত

পতিত ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচার শেখ হাসিনা পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে আজ ঘৃণ্য চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে। স্বৈরাচার হাসিনার নির্দেশে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন-এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজের ওপর হত্যাচেষ্টা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি। এনডিএম মহাসচিব মোমিনুল আমিন লিখিত বক্তব্যে এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

শনিবার দুপুরে ববি হাজ্জাজের গুলশানের বাসায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞাপন

এনডিএমের মহাসচিব মোমিনুল আমিন বলেন, আজ সকালে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ঢাকা মহানগরের  সহ-সভাপতি মোস্তফা আল নাফিসের নির্দেশে ছাত্রলীগ কর্মী মোঃ নূর (২৫) এনডিএমের  চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজের গুলশান বাসবভনে প্রবেশ করার সময় দেহরক্ষী কর্তৃক সন্দেহভাজন হিসাবে ধরা পরে । প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজকে বোমা মেরে হত্যার উদ্দেশ্যে তাঁর গতিবিধি ও  চলাচল নজরদারিতে এবং তার সাথে  সাক্ষাতের উদ্দেশ্যে সে এই বাসভবনে এসেছে। উপস্থিত দেহরক্ষীরা নূরের মুঠোফোন পরীক্ষা করলে তাঁর এই দাবীর স্বপক্ষে প্রাথমিক সত্যতা খুঁজে পায়। পরবর্তীতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি অবহিত করলে গুলশান থানা পুলিশ নূরকে আটক করে নিয়ে যায়।

গোয়েন্দা সংস্থা মারফত জানতে পারি, বনানীতে অবস্থিত এনডিএম চেয়ারম্যান কার্যালয়ে কে বা কারা বোমা সদৃশ বস্তু রেখে যাওয়ার খবরে বনানী থানা পুলিশ আমাদের বনানী কার্যালয় পরীক্ষা করেছে এবং নজরদারির মধ্যে রেখেছে।

এনডিএমের মহাসচিব বলেন জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন-এনডিএম কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি এই ঘৃণ্য অপচেষ্টার তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ববি হাজ্জাজ শুধু জুলাই গণঅভুথানের বীর যোদ্ধাই ছিলেন না তিনি ছিলেন হাসিনা ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের সাহসী কন্ঠস্বর। ২০১৩ সালে র‍্যাব তাঁকে প্রথমে গুম এবং পরে জোরপূর্বক লন্ডনে পাঠিয়েছিল হাসিনার বিনাভোটের নির্বাচনের বিরুদ্ধে শক্ত ও সাহসী অবস্থান নেয়ার কারণে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের মাননীয় চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ জুলাই আন্দোলনের সময় ১৯ জুলাই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে মেরুল বাড্ডা  এলাকায় প্রতিরোধ গড়ে তোলার সময় হাসিনার পুলিশ কর্তৃক গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। ৫ই আগষ্ট হাসিনা পালানোর পর সংগঠন হিসাবে আওয়ামী লীগ এবং ১৪ দলের বিচার চেয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে প্রথম অভিযোগ দায়ের করেন ববি হাজ্জাজ। তাঁর প্রচেষ্টাতেই হাসিনার ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিকের দুর্নীতি বিশ্বব্যাপী উন্মোচিত হয় এবং টিউলিপ সিদ্দিক মন্ত্রিত্ব হারায়। আমরা আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টিকে গণহত্যার আসামি হিসাবে অভিযুক্ত করে বিচার চেয়ে সমাবেশ করায়  তাঁর প্রতিবাদী কন্ঠস্বরকে চিরতরে নিস্তব্ধ করে দিতে পতিত স্বৈরাচার খুনি হাসিনা নির্দেশে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কর্মীরা ববি হাজ্জাজের গুলশান বাসভবনে জড়ো হয়েছিলো। এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজকে হত্যাচেষ্টা মানে জুলাই আন্দোলনের উপর আঘাত।

মোমিনুল আমিন বলেন, আমরা বিএনপির নেতৃত্বে যারা একসাথে আন্দোলন করেছি তাঁরা নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ফিরতে সোচ্চার ছিলাম। যারা নির্বাচনের পরিবেশ ঘোলা করতে বা নির্বাচনে অংশগ্রহণে নানা শর্ত দিচ্ছে তাঁদের বুঝতে হবে আওয়ামী ফ্যাসিবাদ ফিরে আসার সুযোগ পেলে কেউ রক্ষা পাবে না।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত