রকীবুল হক
পতিত আওয়ামী সরকারের দীর্ঘ দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপতি ছিলেন আবদুল হামিদ। এর আগে কয়েক মাস ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতিসহ দীর্ঘদিন স্পিকারের দায়িত্ব পালন করেন স্বৈরাচার শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত এই নেতা।
তার দুই শ্যালক আওয়ামী লীগ ও জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি করেন। এক পরিবারের দুই ভাই দেশের বিপরীত মেরুর দুটি দলের নেতা হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে বেশ আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে।
সূত্রমতে, আবদুল হামিদের শ্যালক খ্যাতিমান চিকিৎসক কর্নেল (অব.) অধ্যাপক জিহাদ খান জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য। ঢাকা মহানগর উত্তর জামায়াতেরও মজলিসে শূরা সদস্য তিনি। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল) আসনে জামায়াতের প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে তাকে। বর্তমানে তিনি ইবনে সিনা হাসপাতালে কর্মরত। এর আগে তিনি ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) হৃদরোগের অধ্যাপক হিসেবে দীর্ঘদিন কর্মরত ছিলেন। বিভাগের প্রধান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
এদিকে জিহাদ খানের বড় ভাই বিশিষ্ট চিকিৎসক অধ্যাপক আ ন ম নৌশাদ খান আওয়ামী রাজনীতিতে জড়িত। তিনি প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ও জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি। চব্বিশের জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক সহায়তা ও নির্দেশদাতা হিসেবে করিমগঞ্জ থানায় একটি মামলার আসামি নৌশাদ খান। সম্প্রতি তিনি আবদুল হামিদের সঙ্গে থাইল্যান্ড গেছেন। আবদুল হামিদের স্ত্রী রাশিদা হামিদ কিশোরগঞ্জ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রী।
আমার দেশ’র কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, জিহাদ ও নওশাদের আরো দুই ভাই আমেরিকায় থাকেন। তাদের রাজনৈতিক পরিচয় জানা নেই। তবে তাদের খালা হাফেজা আসমা খাতুন (মৃত) জামায়াতে ইসলামীর মহিলা বিভাগের সেক্রেটারি এবং দলীয় এমপি ছিলেন। পঞ্চম জাতীয় সংসদের মহিলা আসন থেকে মনোনীত হন তিনি। এছাড়া জামায়াতের সাবেক দুই আমির অধ্যাপক গোলাম আযম ও মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর বেয়াইন ছিলেন হাফেজা আসমা খাতুন। জেহাদ খান ১৯৮৮ সালে জামায়াতের রোকন হন।
সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের এই দুই শ্যালক দুই দলের নেতা হওয়ার বিষয়টি আলোচিত হলেও তা স্বাভাবিক হিসেবে দেখছেন কিশোরগঞ্জ জেলা জামায়াতের আমির রমজান আলী। তিনি আমার দেশকে বলেন, বাংলাদেশে বহু পরিবারে একেকজন একেক দল করেন। অধ্যাপক জিহাদ খান দীর্ঘদিন ধরে জামায়াতের রাজনীতিতে আছেন। তিনি রাজনীতি করেন ঢাকায়। কিশোরগঞ্জ জামায়াতের কোনো পদে তিনি নেই।
তিনি বলেন, আবদুল হামিদের শ্যালক হলেও তার সঙ্গে অধ্যাপক জিহাদ খানের ব্যক্তি বা সংগঠনের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে কোনো যোগাযোগ ছিল না। তার ভাই আওয়ামী লীগ নেতা নৌশাদ খানের সঙ্গেও রাজনৈতিক কোনো স্বার্থ-সংশ্লিষ্টতা ছিল না। বরং জামায়াত করার কারণে পতিত আওয়ামী সরকারের সময়ে তিনি নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। সম্প্রতি তাকে কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করায় একটি মহল পরিকল্পিতভাবে তাকে নিয়ে সমালোচনা করছে।
অনুরূপ মন্তব্য করে ঢাকা মহানগর উত্তর জামায়াতের প্রচার সম্পাদক আতাউর রহমান সরকার বলেন, জামায়াতের কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগর উত্তরের মজলিসে শূরা সদস্য অধ্যাপক জিহাদ খান। তার ভাই ও ভগ্নিপতি আওয়ামী রাজনীতিতে জড়িত থাকলেও তার খালাসহ তাদের অধিকাংশ আত্মীয়-স্বজন জামায়াত পরিবারের। দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে এক পরিবার থেকে ভিন্ন রাজনীতি করার ঘটনা খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার।
পতিত আওয়ামী সরকারের দীর্ঘ দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপতি ছিলেন আবদুল হামিদ। এর আগে কয়েক মাস ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতিসহ দীর্ঘদিন স্পিকারের দায়িত্ব পালন করেন স্বৈরাচার শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত এই নেতা।
তার দুই শ্যালক আওয়ামী লীগ ও জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি করেন। এক পরিবারের দুই ভাই দেশের বিপরীত মেরুর দুটি দলের নেতা হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে বেশ আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে।
সূত্রমতে, আবদুল হামিদের শ্যালক খ্যাতিমান চিকিৎসক কর্নেল (অব.) অধ্যাপক জিহাদ খান জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য। ঢাকা মহানগর উত্তর জামায়াতেরও মজলিসে শূরা সদস্য তিনি। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল) আসনে জামায়াতের প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে তাকে। বর্তমানে তিনি ইবনে সিনা হাসপাতালে কর্মরত। এর আগে তিনি ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) হৃদরোগের অধ্যাপক হিসেবে দীর্ঘদিন কর্মরত ছিলেন। বিভাগের প্রধান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
এদিকে জিহাদ খানের বড় ভাই বিশিষ্ট চিকিৎসক অধ্যাপক আ ন ম নৌশাদ খান আওয়ামী রাজনীতিতে জড়িত। তিনি প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ও জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি। চব্বিশের জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক সহায়তা ও নির্দেশদাতা হিসেবে করিমগঞ্জ থানায় একটি মামলার আসামি নৌশাদ খান। সম্প্রতি তিনি আবদুল হামিদের সঙ্গে থাইল্যান্ড গেছেন। আবদুল হামিদের স্ত্রী রাশিদা হামিদ কিশোরগঞ্জ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রী।
আমার দেশ’র কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, জিহাদ ও নওশাদের আরো দুই ভাই আমেরিকায় থাকেন। তাদের রাজনৈতিক পরিচয় জানা নেই। তবে তাদের খালা হাফেজা আসমা খাতুন (মৃত) জামায়াতে ইসলামীর মহিলা বিভাগের সেক্রেটারি এবং দলীয় এমপি ছিলেন। পঞ্চম জাতীয় সংসদের মহিলা আসন থেকে মনোনীত হন তিনি। এছাড়া জামায়াতের সাবেক দুই আমির অধ্যাপক গোলাম আযম ও মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর বেয়াইন ছিলেন হাফেজা আসমা খাতুন। জেহাদ খান ১৯৮৮ সালে জামায়াতের রোকন হন।
সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের এই দুই শ্যালক দুই দলের নেতা হওয়ার বিষয়টি আলোচিত হলেও তা স্বাভাবিক হিসেবে দেখছেন কিশোরগঞ্জ জেলা জামায়াতের আমির রমজান আলী। তিনি আমার দেশকে বলেন, বাংলাদেশে বহু পরিবারে একেকজন একেক দল করেন। অধ্যাপক জিহাদ খান দীর্ঘদিন ধরে জামায়াতের রাজনীতিতে আছেন। তিনি রাজনীতি করেন ঢাকায়। কিশোরগঞ্জ জামায়াতের কোনো পদে তিনি নেই।
তিনি বলেন, আবদুল হামিদের শ্যালক হলেও তার সঙ্গে অধ্যাপক জিহাদ খানের ব্যক্তি বা সংগঠনের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে কোনো যোগাযোগ ছিল না। তার ভাই আওয়ামী লীগ নেতা নৌশাদ খানের সঙ্গেও রাজনৈতিক কোনো স্বার্থ-সংশ্লিষ্টতা ছিল না। বরং জামায়াত করার কারণে পতিত আওয়ামী সরকারের সময়ে তিনি নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। সম্প্রতি তাকে কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করায় একটি মহল পরিকল্পিতভাবে তাকে নিয়ে সমালোচনা করছে।
অনুরূপ মন্তব্য করে ঢাকা মহানগর উত্তর জামায়াতের প্রচার সম্পাদক আতাউর রহমান সরকার বলেন, জামায়াতের কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগর উত্তরের মজলিসে শূরা সদস্য অধ্যাপক জিহাদ খান। তার ভাই ও ভগ্নিপতি আওয়ামী রাজনীতিতে জড়িত থাকলেও তার খালাসহ তাদের অধিকাংশ আত্মীয়-স্বজন জামায়াত পরিবারের। দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে এক পরিবার থেকে ভিন্ন রাজনীতি করার ঘটনা খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার।
আগামী জাতীয় নির্বাচন কবে হবে, ডিসেম্বর না জুন- তা ক্লিয়ার করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
৪৪ মিনিট আগেবিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, ‘দেশকে মানবিক করিডোরের নামে যুদ্ধের মধ্যে নিয়ে যাওয়া বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। এদিকে না গিয়ে দেশকে রক্ষা, যুদ্ধমুক্ত ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিন।’
৩ ঘণ্টা আগেইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, গণঅভ্যুত্থানের পক্ষের শক্তির মধ্যে বিভাজন রোধে মুখোমুখি রাজনীতির অশুভ সংস্কৃতি থেকে বের হতে হবে। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন তিনি।
৬ ঘণ্টা আগেজাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, 'প্রকাশ্য দিবালোকে হাসিনার নির্দেশে এতগুলো মানুষ খুন হলো, এতগুলো মানুষের রক্ত ঝরল, তারপরও ৯ মাসে একটি বিচারকার্যও সম্পন্ন হলো না।
৬ ঘণ্টা আগে