বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৬০তম জন্মদিন আজ বৃহস্পতিবার। ১৯৬৫ সালের ২০ নভেম্বর তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তবে গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী পরিস্থিতিতে তারেক রহমানের জন্মদিনে আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠান বা উৎসব না করার নির্দেশনা জারি করেছে বিএনপি। এর ব্যত্যয় হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
গত মঙ্গলবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের বিষয়টি ফের স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জন্মদিন উপলক্ষে দলের নেতাকর্মীদের কেক কাটা, পোস্টার বা ব্যানার লাগানো, আলোচনা সভাসহ কোনো ধরনের আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠান বা উৎসব না করার নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান এক-এগারো সরকারের সময় বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ২০০৮ সালে লন্ডনে চলে যান। এরপর থেকে তিনি সপরিবারে সেখানেই বসবাস করছেন। বিএনপির বগুড়া কমিটির সদস্য হিসেবে তার রাজনৈতিক জীবনের যাত্রা শুরু। মাত্র ২২ বছর বয়সে ১৯৮৮ সালে তারেক রহমান বগুড়ার গাবতলী থানা বিএনপির সদস্য হন। ২০০১ সালের নির্বাচনে মায়ের পাশাপাশি তারেক রহমানও দেশব্যাপী নির্বাচনি প্রচার চালান। ২০১৬ সালের ১৯ মার্চ ষষ্ঠ কাউন্সিলে তারেক রহমান দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। জুলাই অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার শাসনামলে ২০১৮ সালে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর তিনি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
এদিকে বিএনপির সিনিয়র নেতারা জানিয়েছেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দ্রুত দেশে ফেরার কথা রয়েছে তারেক রহমানের। দেশে ফিরেই তিনি নির্বাচনি প্রচারে নেমে যাবেন। ইতোমধ্যে তার নিরাপত্তা ও নির্বাচনি গণসংযোগের জন্য বুলেট প্রুফ গাড়ি আমদানির অনুমতি পেয়েছে বিএনপি।

