আওয়ামী লীগও জিয়াউর রহমানের দর্শন অস্বীকার করতে পারেনি: ড. মঈন খান

ঢাবি সংবাদদাতা
প্রকাশ : ০৫ জুলাই ২০২৫, ২৩: ৫৭

আওয়ামী লীগ শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের বাস্তবতা, যুক্তিবাদ এবং বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের দর্শন অস্বীকার করতে পারেনি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান।

শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত “শহীদ জিয়া ও বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ” শীর্ষক আলোচনা সভা ও কবিতা পাঠ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কবি শাহীন রেজা এবং সঞ্চালনা করেন কবি ড. শহিদ আজাদ। প্রথম পর্বে ‘চেতনায় জাতীয়তাবাদ’ শীর্ষক একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

এ সময় ড. মঈন খান বলেন, আওয়ামী লীগ দীর্ঘদিন বাঙালি জাতীয়তাবাদকে ভিত্তি করে দেশ শাসন করলেও তারা বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের কোনো বিকল্প দর্শন দাঁড় করাতে পারেনি। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের যে বাস্তবতা, যুক্তিবাদ ও দর্শন, তা আওয়ামী লীগও অস্বীকার করতে পারেনি।

তিনি আওয়ামী লীগকে স্বৈরাচারী এবং দুঃশাসনের ধারক হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, জিয়াউর রহমানের পর আওয়ামী লীগ বহু বছর দেশ শাসন করেছে, কিন্তু জাতীয়তাবাদ প্রতিষ্ঠা করতে ব্যর্থ হয়েছে। জিয়া বাঙালি জাতীয়তাবাদের সীমাবদ্ধতা চিহ্নিত করে ‘বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ’ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এই দর্শন ছিল সব জাতিগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্তির এক উদার রূপ।

জাতীয় পরিচয়ের ব্যাপারে তিনি বলেন, বাংলাদেশে প্রায় ৫০টি আদিবাসী জনগোষ্ঠী রয়েছে- চাকমা, মারমা, সাঁওতাল, হাজং, খাসিয়া, কোচসহ আরও অনেকে। তাদের উপেক্ষা করে জাতীয়তাবাদকে শুধু বাঙালি জাতীয়তাবাদ বলা যৌক্তিক নয়। জিয়া বলেছিলেন, বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ একটি পুষ্পমাল্য, যেখানে বাঙালি একটি বড় ফুল হলেও, অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীরাও সমানভাবে অংশীদার।

আওয়ামী লীগের ভূমিকার সমালোচনা করে তিনি আরও বলেন, জাতীয় সংসদে মাত্র ১১ মিনিটের ব্যবধানে গণতন্ত্রের কবর রচনা করে আওয়ামী লীগ একদলীয় শাসন কায়েম করেছিল। আর শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়া সেই একদলীয় শাসন উৎখাত করে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রবর্তন করেছিলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্লাহ। তিনি বলেন, এ শতকের মধ্যেই বৃহত্তর ভারত একাধিক জাতি-রাষ্ট্রে বিভক্ত হবে। কিন্তু ভারতবাসী বৃহত্তর ভারতের মোহ ত্যাগ করতে পারবে না।

জাতীয় পরিচয় ও সার্বভৌমত্ব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা যতদিন নিজেদের পরিচয় নিয়ে গর্ববোধ করতে না পারবো, ততদিন আমাদের স্বাধীনতা হুমকির মুখে থাকবে। বাংলা ভাষার সঙ্গে বাঙালি মুসলমানের সম্পর্ক সাম্প্রদায়িক নয়।

অনুষ্ঠানে আরো আলোচনা করেন জাতীয় প্রেস ক্লাব সভাপতি ও কালেরকণ্ঠ সম্পাদক কবি হাসান হাফিজ, কবি আল মুজাহিদী এবং চিত্রনায়ক উজ্জল।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত