ড. ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের মধ্যে ফ্যাসিবাদের দোসর ও বিভাজন সৃষ্টিকারী রয়েছে মন্তব্য করে বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেছেন, পতিত ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসররা ড. ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে অপচেষ্টা করছে। ফ্যাসিবাদ বিরোধী শিবিরে হানাহানি বিভক্তি বিভাজন ও দোষারোপের রাজনীতি ভর করছে। কিছু উপদেষ্টা বিভাজন তৈরিতে মদদ যুগিয়েছে। তাই লেবার পার্টি মনে করে উপদেষ্টা পরিষদে সংস্কার এনে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলন সংগ্রামের রাজপথের রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে সর্বদলীয় অন্তর্বর্তী সরকার পুনর্গঠন করা সময়োপযোগী পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হবে।
শুক্রবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ যুবমিশনের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
ডা. ইরান বলেন, আওয়ামী লীগের কিছু এমপি মন্ত্রী ও দলীয় নেতা পালিয়েছে, কিছু গ্রেপ্তার হয়েছে। ১৭ বছরে প্রশাসনের দোসররা নানামুখী চক্রান্ত করছে। পালিয়ে যাওয়া ও লুকিয়ে থাকা অপশক্তি দেশি-বিদেশি অপশক্তির সহায়তায় ড. ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডার মাধ্যমে ষড়যন্ত্র করছে। ৫ আগস্টের ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন সংগ্রামের শক্তিগুলোর মধ্যে অনৈক্য, বিদ্বেষ হানাহানি বিভক্তি বিভাজন ও দোষারোপে রাজনীতি পতিত ফ্যাসিস্টদের ফিরে আসার সুযোগ তৈরি করছে। এ পরিস্থিতিতে দেশপ্রেমিক ও ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের সকল রাজনৈতিক শক্তিকে নিয়ে সর্বদলীয় সংলাপের মাধ্যমে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠায় উদ্যোগ নিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
"বৈষম্যহীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় জাগো যুব জাগো" স্লোগান নিয়ে বাংলাদেশ যুব মিশন আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে যুব মিশনের আহ্বায়ক হিসেবে সালমান খান বাদশা ও সদস্য সচিব মো. মাহমুদুল হাসান জাবেরের নাম ঘোষণা করা হয়।
এতে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ লেবার পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান এস এম ইউসুফ আলী, অ্যাডভোকেট জোহরা খাতুন জুঁই, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব খন্দকার মিরাজুল ইসলাম, যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ রুম্মান সিকদার, মুফতি তরিকুল ইসলাম সাদি, দফতর সম্পাদক মো. মিরাজ খান, লেবার পার্টির দক্ষিণ সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম, উত্তর সাধারণ সম্পাদক মো. আরিফ সরকার, বাংলাদেশ ছাত্র মিশন সভাপতি সৈয়দ মো. মিলন, সাধারণ সম্পাদক মো. নাজমুল ইসলাম মামুন। এছাড়া ১৩টি যুব সংগঠনের প্রতিনিধিগণ বক্তব্য রাখেন।

