জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি
স্টাফ রিপোর্টার
জুলাই ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে চার দিনব্যাপী ৩৬ জুলাই কালচারাল ফেস্ট ‘জুলাই জাগরণ’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে সাইমুম শিল্পী-গোষ্ঠী। পহেলা আগস্ট থেকে চার আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই ফেস্ট অনুষ্ঠিত হবে।
বুধবার সকাল ১১টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন জুলাই জাগরণের পরিচালক আবু মুসা।
তিনি বলেন, সাইমুম শিল্পী-গোষ্ঠী ১৯৭৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ দেশের মানুষের বিশ্বাস, সংস্কৃতি ও জাতীয় চেতনাকে কেন্দ্র করে সাংস্কৃতিক আন্দোলনের নানা শাখায় কাজ করে যাচ্ছে। বিগত স্বৈরশাসনে সাইমুমকে দেশীয় ও নৈতিক মূল্যবোধের সাংস্কৃতিক আন্দোলনের প্রধান প্রতিবন্ধক হিসেবে মনে করা হতো। সেই সময় সাইমুমের ওপর চালানো হয় ভয়াবহ নিপীড়ন, নেতাদেরকে একাধিকবার গ্রেপ্তার করে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হয়, সংগঠনের অফিস থেকে কম্পিউটার, হার্ডডিস্ক, সিডি, ডিভিডিসহ গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ বাজেয়াপ্ত করা হয় এবং সংগঠনের প্রতিবাদী কণ্ঠকে দমন করার বহু চেষ্টা চালানো হয়। তবুও সাইমুম থেমে যায়নি। বরং সময়ের ধারায় আরও শক্তিশালী হয়ে গড়ে তুলেছে অসংখ্য শিল্পী ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, যারা এখনো নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন দেশের শিল্প-সংস্কৃতির বিকাশ ও মূল্যবোধভিত্তিক সমাজ গঠনে।
তারই ধারাবাহিকতায় সাইমুম আয়োজন করছে, ২০২৪ এর ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানকে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে এবং জুলাইকে হৃদয় থেকে ধারণ করার বার্তা নিয়ে ৩৬ জুলাই কালচারাল ফেস্ট ‘জুলাই জাগরণ’।
আবু মুসা বলেন, চার দিনের এই আয়োজনে থাকবে জুলাইয়ের ওপর নির্মিত চলচ্চিত্র ও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী, মঞ্চনাটক ও আবৃত্তি পরিবেশনা, শহীদ পরিবার ও আহতদের গল্প এবং স্মৃতিচারণ, শিশুদের জন্য কিডস জোন ও খেলার আয়োজন, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে জুলাই চলাকালে আকা গ্রাফিতি প্রদর্শনী ও শহীদদের স্মরণে তৈরি বিশাল ক্যানভাসে বাংলাদেশের মানচিত্র আরো থাকছে ফুড স্টল, গ্রাফিতি ওয়াল, ‘আয়নাঘর’ নামক বিশেষ প্রদর্শনী এবং প্রতিদিন সন্ধ্যায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
তিনি বলেন, আয়োজনটি চলবে ৩টি অধিবেশনে, যার প্রথমে সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে বিকাল পর্যন্ত জুলাইয়ের ওপর নির্মিত বিভিন্ন চলচ্চিত্র, ডকুফিল্ম, বিভিন্ন ক্যাটাগরির ডকুমেন্টারি। তারপর বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শহীদ পরিবার, আহত ও অতিথিদের নিয়ে একটি অধিবেশন থাকবে আর সর্বশেষ সন্ধ্যা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, যেখানে থাকবে দেশসেরা শিল্পী ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের বিভিন্ন পরিবেশনা, থাকবে মঞ্চ নাটক।
এ আয়োজনে উপস্থিত থাকবেন অন্তর্বর্তী সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের উপদেষ্টাবৃন্দ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ, জাতীয় পর্যায়ের শিল্পী, অভিনেতা, সাংস্কৃতিক সংগঠন। থাকবেন সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ, আলেমসমাজ, সোশ্যাল অ্যাক্টিভিস্ট, ডিরেক্টরসহ নানা শ্রেণি পেশার অতিথিরা। সেই সঙ্গে থাকবেন, শহীদ পরিবার ও আহত যোদ্ধারা।
সংবাদ সম্মেলনে সাইমুমের উপদেষ্টা সাদিক কায়েম বলেন, ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন হলেও কালচারাল ফ্যাসিস্টরা এখনো আগের মতোই রয়েছে, এদেরকে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা থেকে না সরালে ফ্যাসিবাদ আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে।
ওই সম্মেলনে সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠীর বর্তমান পরিচালক শিল্পী জাহিদুল ইসলাম বিগত স্বৈরাচার আমলে সাইমুমের ওপর বিভিন্ন নিপীড়ন তুলে ধরেছেন এবং সাইমুমের বর্তমান কার্যক্রম সম্পর্কে ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সাইমুমের অবদান তুলে ধরেন।
তারা আশাব্যক্ত করেন, ওই আয়োজনে ব্যাপক জনসমাগম হবে, কেননা জুলাই গণঅভ্যুত্থান উপলক্ষ্যে নানা আয়োজন থাকলেও সাইমুমের এই আয়োজন সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম এবং নান্দনিক। অনুষ্ঠানে সবাইকে আমন্ত্রণ জানান আয়োজকরা।
জুলাই ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে চার দিনব্যাপী ৩৬ জুলাই কালচারাল ফেস্ট ‘জুলাই জাগরণ’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে সাইমুম শিল্পী-গোষ্ঠী। পহেলা আগস্ট থেকে চার আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই ফেস্ট অনুষ্ঠিত হবে।
বুধবার সকাল ১১টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন জুলাই জাগরণের পরিচালক আবু মুসা।
তিনি বলেন, সাইমুম শিল্পী-গোষ্ঠী ১৯৭৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ দেশের মানুষের বিশ্বাস, সংস্কৃতি ও জাতীয় চেতনাকে কেন্দ্র করে সাংস্কৃতিক আন্দোলনের নানা শাখায় কাজ করে যাচ্ছে। বিগত স্বৈরশাসনে সাইমুমকে দেশীয় ও নৈতিক মূল্যবোধের সাংস্কৃতিক আন্দোলনের প্রধান প্রতিবন্ধক হিসেবে মনে করা হতো। সেই সময় সাইমুমের ওপর চালানো হয় ভয়াবহ নিপীড়ন, নেতাদেরকে একাধিকবার গ্রেপ্তার করে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হয়, সংগঠনের অফিস থেকে কম্পিউটার, হার্ডডিস্ক, সিডি, ডিভিডিসহ গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ বাজেয়াপ্ত করা হয় এবং সংগঠনের প্রতিবাদী কণ্ঠকে দমন করার বহু চেষ্টা চালানো হয়। তবুও সাইমুম থেমে যায়নি। বরং সময়ের ধারায় আরও শক্তিশালী হয়ে গড়ে তুলেছে অসংখ্য শিল্পী ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, যারা এখনো নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন দেশের শিল্প-সংস্কৃতির বিকাশ ও মূল্যবোধভিত্তিক সমাজ গঠনে।
তারই ধারাবাহিকতায় সাইমুম আয়োজন করছে, ২০২৪ এর ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানকে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে এবং জুলাইকে হৃদয় থেকে ধারণ করার বার্তা নিয়ে ৩৬ জুলাই কালচারাল ফেস্ট ‘জুলাই জাগরণ’।
আবু মুসা বলেন, চার দিনের এই আয়োজনে থাকবে জুলাইয়ের ওপর নির্মিত চলচ্চিত্র ও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী, মঞ্চনাটক ও আবৃত্তি পরিবেশনা, শহীদ পরিবার ও আহতদের গল্প এবং স্মৃতিচারণ, শিশুদের জন্য কিডস জোন ও খেলার আয়োজন, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে জুলাই চলাকালে আকা গ্রাফিতি প্রদর্শনী ও শহীদদের স্মরণে তৈরি বিশাল ক্যানভাসে বাংলাদেশের মানচিত্র আরো থাকছে ফুড স্টল, গ্রাফিতি ওয়াল, ‘আয়নাঘর’ নামক বিশেষ প্রদর্শনী এবং প্রতিদিন সন্ধ্যায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
তিনি বলেন, আয়োজনটি চলবে ৩টি অধিবেশনে, যার প্রথমে সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে বিকাল পর্যন্ত জুলাইয়ের ওপর নির্মিত বিভিন্ন চলচ্চিত্র, ডকুফিল্ম, বিভিন্ন ক্যাটাগরির ডকুমেন্টারি। তারপর বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শহীদ পরিবার, আহত ও অতিথিদের নিয়ে একটি অধিবেশন থাকবে আর সর্বশেষ সন্ধ্যা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, যেখানে থাকবে দেশসেরা শিল্পী ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের বিভিন্ন পরিবেশনা, থাকবে মঞ্চ নাটক।
এ আয়োজনে উপস্থিত থাকবেন অন্তর্বর্তী সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের উপদেষ্টাবৃন্দ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ, জাতীয় পর্যায়ের শিল্পী, অভিনেতা, সাংস্কৃতিক সংগঠন। থাকবেন সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ, আলেমসমাজ, সোশ্যাল অ্যাক্টিভিস্ট, ডিরেক্টরসহ নানা শ্রেণি পেশার অতিথিরা। সেই সঙ্গে থাকবেন, শহীদ পরিবার ও আহত যোদ্ধারা।
সংবাদ সম্মেলনে সাইমুমের উপদেষ্টা সাদিক কায়েম বলেন, ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন হলেও কালচারাল ফ্যাসিস্টরা এখনো আগের মতোই রয়েছে, এদেরকে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা থেকে না সরালে ফ্যাসিবাদ আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে।
ওই সম্মেলনে সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠীর বর্তমান পরিচালক শিল্পী জাহিদুল ইসলাম বিগত স্বৈরাচার আমলে সাইমুমের ওপর বিভিন্ন নিপীড়ন তুলে ধরেছেন এবং সাইমুমের বর্তমান কার্যক্রম সম্পর্কে ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সাইমুমের অবদান তুলে ধরেন।
তারা আশাব্যক্ত করেন, ওই আয়োজনে ব্যাপক জনসমাগম হবে, কেননা জুলাই গণঅভ্যুত্থান উপলক্ষ্যে নানা আয়োজন থাকলেও সাইমুমের এই আয়োজন সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম এবং নান্দনিক। অনুষ্ঠানে সবাইকে আমন্ত্রণ জানান আয়োজকরা।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, জনগণের রক্ষক সেনাবাহিনীকে কোনদিন যেন জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করানো না হয়।
৩৩ মিনিট আগেজাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)’র সহ-সভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র রাশেদ প্রধান বলেছেন, সোনার বাংলাকে শ্মশানে পরিণত করার জন্য হিন্দুস্তান ও আওয়ামী লীগ ৭১ সাল থেকেই একসাথে কাজ করছে। যুগে যুগে তাদের সহযোগিতা করেছে জাতীয় পার্টি ও ১৪ দল।
১ ঘণ্টা আগেকারাগারে পাঠানো সেনা কর্মকর্তারা হলেন—র্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, ব্রিগেডিয়ার কে এম আজাদ, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন
১ ঘণ্টা আগেবিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপদেষ্টা হুমায়ুন কবিরকে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব (আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক) হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে