ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বচনে দলবিহীন ও রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় শিক্ষার্থীদের নিয়ে গঠিত প্যানেল ‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য’ তাদের ১১ দফা নির্বাচনি ইশতেহার ঘোষণা করেছে। প্যানেলটি ‘নয় দলীয়করণ, নয় বিরাজনিতীকরণ’ স্লোগানকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের দাবির বাস্তবায়ন প্রতিশ্রুত করেছে।
মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে প্যানেলের সহ-সভাপতি প্রার্থী উমামা ফাতেমা ইশতেহারের মূল দিক তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের কাছে গিয়ে তাদের দাবি শুনেছি। শিক্ষার্থীরা যেসব সমস্যা ও প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করেছে, সেগুলো আমরা গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করেছি। আমাদের লক্ষ্য হলো তাদের সত্যিকারের চাহিদার প্রতিফলন ঘটানো।
উমামা আরও বলেন, প্রতিটি প্রস্তাবনা শিক্ষার্থীদের দৈনন্দিন জীবনের বাস্তব অভিজ্ঞতা ও সমস্যার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করা হয়েছে, যাতে তা কার্যকরভাবে তাদের কল্যাণে ভূমিকা রাখতে পারে। এই ইশতেহার শুধুমাত্র প্রতিশ্রুতির কাগজ নয়, এটি আমাদের পদক্ষেপকে কার্যকরভাবে পরিচালিত করার দিকনির্দেশনা।
প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী আল সাদী ভূঁইয়া বলেন, আমাদের ইশতেহার শতভাগ বাস্তবধর্মী। প্রতিটি প্রস্তাবনা শিক্ষার্থীদের দৈনন্দিন জীবন ও শিক্ষার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত এবং বাস্তবসম্মত। ইশতেহার বাস্তবায়িত হলে শিক্ষার্থীরা সত্যিই উপকৃত হবে।
ইশতেহারের মধ্যে উল্লেখযোগ্য প্রস্তাবনাগুলো হলো:
- বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও একাডেমিক কাঠামোকে চিরতরে দলীয়করণের পথে বন্ধ করা।
- গণরুম সিস্টেম, গেস্টরুম কালচার, সিট সংকট, খাবার সংকট ও শিক্ষার্থীদের অর্থনৈতিক অস্বচ্ছলতার স্থায়ী সমাধান।
- সিলেবাসে মহান মুক্তিযুদ্ধ ও ২৪ এর গণঅভ্যুত্থান অন্তর্ভুক্ত করে গবেষণার সুযোগ নিশ্চিত করা।
- ইঞ্জিনিয়ারিং ল্যাবগুলোতে উন্নত জিপিইউ স্থাপন ও এআই ইনকিউবিউটর তৈরির উদ্যোগ।
- প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য ন্যায্য বেতনে পার্টটাইম চাকরির সুযোগ।
- যৌন নিপীড়ন সেলকে সর্বোচ্চ কার্যকরী করা এবং অভিযোগের আপডেট নিয়মিত অনলাইনে প্রকাশ করা।
- প্রতিটি হলে প্রশাসনিক তত্ত্বাবধানে ক্যান্টিন-ডাইনিং চালু করা।
- শতভাগ আবাসন ব্যবস্থায় প্রতি শিক্ষার্থীর জন্য একটি বেড ও একটি টেবিল নিশ্চিত করা।
- বিশ্ববিদ্যালয় বাসগুলোর আপ ও ডাউনট্রিপ সংখ্যা বৃদ্ধি করে রাত ৮টা পর্যন্ত ডাউন ট্রিপ চালু করা।

