জনতার প্রতিটি লড়াইয়ে ছিল শ্রমজীবীদের রক্ত-ঘাম: নজরুল ইসলাম খান

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ০৬ আগস্ট ২০২৫, ১৫: ৩১

'জুলাই গণঅভ্যুত্থানের লড়াই ছাত্রদের নেতৃত্বে হলেও, শ্রমজীবী মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছাড়া এই লড়াই সফল হতো না' বলে শ্রমজীবী মানুষের অবদানের কথা স্মরণ করে তাদের স্বীকৃতির দাবি জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।

বিজ্ঞাপন

জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে অনুষ্ঠিত ‘কেমন আছে জুলাই ছাত্র-শ্রমিক গণঅভ্যুত্থানে নিহত গার্মেন্টস শ্রমিক পরিবার এবং নিহত শ্রমিকেরা?’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনলাইনে যুক্ত হয়ে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন তিনি।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, 'শুধু জুলাই ২৪ নয়, ১৯৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধসহ দেশের প্রতিটি ঐতিহাসিক আন্দোলন-সংগ্রামে শ্রমজীবী মানুষ রক্ত-ঘাম ঝরিয়ে লড়েছে। তাদের এই অবদান অনস্বীকার্য।

জুলাই গণঅভ্যুত্থান ছাত্রদের নেতৃত্বে হলেও এই লড়াইয়ে শ্রমজীবী মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণের ফলেই এই লড়াই সফল হয়েছে। শ্রমজীবী মানুষের অংশগ্রহণ শুধুমাত্র জুলাই ২০২৪ এর গণঅভ্যুত্থানেই নয়, ১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধসহ এই দেশের প্রতিটি গণআন্দোলন ও সংগ্রামে তাদের অবদান অনস্বীকার্য। এই অবদানের স্বীকৃতি পাওয়া শ্রমজীবী মানুষের অধিকার।”

সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিরুল হক আমিন। তিনি বলেন, ''সবখানেই বলা হয় ছাত্র গণঅভ্যুত্থান, অথচ সরকারি গেজেট অনুযায়ী মোট ৮৪৪ শহীদের মধ্যে ২৮৪ জনই শ্রমজীবী মানুষ। এর মধ্যে গার্মেন্টস শ্রমিকই ২৬ জন। এটা শুধু সংখ্যার কথা নয়, এটা শ্রমিকদের ত্যাগের গভীরতার প্রমাণ। তাই শুধু 'ছাত্র অভ্যুত্থান' নয়, ‘ছাত্র-শ্রমিক অভ্যুত্থান’ বলা হোক''।

তিনি আরো বলেন, আমরা অবহেলিত থাকতে চাই না। লিখিত-প্রকাশিত যেকোনো জায়গায় যেন শ্রমজীবী মানুষের ত্যাগের কথা সঠিকভাবে উঠে আসে, সেটিই আমাদের আবেদন। আমাদের আত্মত্যাগের জন্য রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি চাই।

আলোচনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বীর প্রতীক।

এছাড়াও বক্তব্য রাখেন শ্রম ও সংস্কার কমিশনের প্রধান ও নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ, অ্যাডভোকেট আবেদ রাজা,আব্দুল কাদের হাওলাদার,বাবুল আখতার প্রমুখ।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত