মুক্তির মোনাজাতে ইনকিলাব মঞ্চ

হামলা ও ষড়যন্ত্রের প্রত্যেকটা হাসিনা ও দিল্লির নির্দেশে

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ০৭ অক্টোবর ২০২৫, ১৯: ৪৪

শুধু জুলাই গণহত্যা নয় গত ১৫ বছর যত মন্দিরে হামলা হয়েছে, যত উপাসনালয়ে হামলা হয়েছে, যত ধরনের আগুন লাগানো হয়েছে ও ষড়যন্ত্র হয়েছে প্রত্যেকটা হাসিনা এবং দিল্লির নির্দেশে করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান বিন হাদি।

মঙ্গলবার রাজধানীর শহীদ আবরার ফাহাদ এভিনিউতে ইনকিলাব মঞ্চ কর্তৃক আয়োজিত ভারতীয় আধিপত্যবাদ বিরোধী সংগ্রামে অগ্রসেনা শহীদ আবরার ফাহাদের শাহাদাত বার্ষিকী ও আগ্রাসন বিরোধী মুক্তির মোনাজাত অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

শরীফ ওসমান বিন হাদি বলেন, আমরা কেন এই গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগের অফিসের সামনে দাঁড়ালাম? আসলে আমরা আওয়ামী লীগের অফিসের সামনে দাঁড়াই নাই। আমরা দাঁড়িয়েছি -যে বিল্ডিং এ বসে পিলখানা হত্যাকান্ডের পরিকল্পনা করা হয়েছে, শাহবাগ গণহত্যা চালানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে সেখানে।

শুধু তাই না, কোরআন শরীফগুলো পুড়িয়ে দিয়ে, ফুটপাতের দোকানগুলো পুড়িয়ে দিয়ে, কওমি মাদ্রাসার বাচ্চাদের নামে চালিয়ে দেওয়া হয়েছে যেই অফিসের নির্দেশে সেখানে দাড়িয়েছি। মানুষকে স্মরণ করে দিতে।

শেখ হাসিনার ফাঁস হওয়া কল রেকর্ডের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই কল রেকর্ড থেকে বুঝা যায় মেট্রোরেল থেকে শুরু করে, বিটিভি ভবন ও সেতুভবনসহ বিভিন্ন স্থাপনায় হাসিনার নির্দেশেই হামলা ও অগ্নিকাণ্ড ঘটনা ঘটানো হয়েছে।

এতে বোঝা যায় শুধুমাত্র জুলাই গণহত্যা নয় গত ১৫ বছর যত মন্দিরে হামলা হয়েছে, যত উপাসনালয়ে হামলা হয়েছে, যত ধরনের আগুন লাগানো হয়েছে, ও ষড়যন্ত্র হয়েছে প্রত্যেকটা খুনি হাসিনা এবং তার স্বামী দিল্লীর নির্দেশে করা হয়েছে।

এসময় ইনকিলাব মঞ্চের এই মুখপাত্র কার্যক্রম নিষিদ্ধঘোষিত আওয়ামিলীগের ভবনটির সামনে পিলখানা, শাপলা ও জুলাই গণহত্যার -ছবি স্থাপন করার দাবি জানান। যাতে মানুষ ইতিহাসের ভয়াবহতা স্মরণ রাখতে পারে।

সেইসাথে এই ভবনকে গুড়িয়ে না দিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য বার্তা হিসেবে 'ফেরাউনের দেহের মতো' সংরক্ষণ করার আহ্বান জানান তিনি।

ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য সচীব আবদুল আল জাবের'র সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য সচীব ফাতিমা তাসনিম জুমা, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ইনকিলাব মঞ্চ আহ্বায়ক নূর মোহাম্মদ, রায়হান আহমেদ, ফজলে রাব্বি প্রমুখ।

বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন, বাংলার এই মাটিতে কোনো আগ্রাসন স্থায়ী হতে পারে না। শহীদ আবরার ফাহাদের মতো তরুণরা ছিল স্বাধীনতার চেতনার প্রতীক, ভবিষ্যতেও আগ্রাসনের বিরুদ্ধে দেশের পক্ষে এমন হাজার আবরার দাঁড়াবে।

শহীদ আবরার ফাহাদকে শ্রদ্ধা জানিয়ে আধিপত্যবিরোধী ও সকল ধরনের আগ্রাসন-বিরোধী আন্দোলনের আহ্বান জানান তারা।

পিলখানা, শাপলা ও জুলাইসহ সকল গণহত্যাকাণ্ডের বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করার অনুরোধ জানিয়ে তারা বলেন, শহীদদের রক্তের ওপর দিয়ে যারা সরকারে আছেন তাদের গদ্দারি করা ঠিক হবে না।

রজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যে বলেন, রাজনৈতিক মতবিরোধ থাকবেই -তবে ভারতের আধিপত্যবাদের বিপক্ষে দাঁড়ানো এবং দেশের উপর যেসব অন্যায় হয়েছে সেগুলোর বিচার করার ব্যাপারে ঐকমত্য থাকা জরুরি।

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত