নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ১৫: ০৩
জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে দলটি আত্মপ্রকাশ করে। ছবি : আমার দেশ

আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ ঘটছে। সরকারঘোষিত সময় অনুযায়ী ফেব্রুয়ারির নির্বাচনকে টার্গেট করে এসব রাজনৈতিক দল সক্রিয় হয়ে উঠছে। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার আত্মপ্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ইউনাইটেড পার্টি (বিইউপি) নামের নতুন রাজনৈতিক দল।

মঙ্গলবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর আহমেদ চৌধুরী হলে এক সংবাদ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে দলটি আত্মপ্রকাশ করে।

বিজ্ঞাপন

মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের ইতিহাস যথাযথভাবে সংরক্ষণ, মূল্যায়ন, সুরক্ষা নিশ্চিত করাসহ ১৮টি লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে আত্মপ্রকাশ করেছে দলটি।

বিইউপি নামের নতুন এই রাজনৈতিক দলের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন প্রধানিয়া, মহাসচিব মো. আমিনুল ইসলাম ও ট্রেজারার আব্দুল কাদের ভূঁইয়া।

সংবাদ সম্মেলনে দলের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন প্রধানিয়া বলেন, এই দলের মূল লক্ষ্য হলো মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া, জনগণের অধিকার সংরক্ষণ করা, অর্থনৈতিক ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা, আইনের শাসন নিশ্চিত করা, একটি উন্নত ও আধুনিক বাংলাদেশ রাষ্ট্র গঠন করা।

তিনি আরো বলেন, দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও জাতির গৌরবজনক ইতিহাসকে সমুন্নত রাখতে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ।

দলটির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যগুলো হলো

১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের ইতিহাস যথাযথভাবে সংরক্ষণ, মূল্যায়ন, সুরক্ষা নিশ্চিত করা।

জুলাইযোদ্ধা, চব্বিশের শহীদ ও আহতদের যথাযথ মূল্যায়ন ও তাদের প্রাপ্য মর্যাদা নিশ্চিত করা।

বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করে আধুনিক ও যুগোপযোগী বিচারালয় গড়ে তোলা।

এই জনপদের হাজার বছরের সংস্কৃতি ও কৃষ্টিকে ধারণ ও লালন করে আমাদের নিজস্ব জাতীয়তাকে বিকশিত করা।

দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে সর্বদা অবিচল থাকা।

প্রকৃত গণতান্ত্রিক চর্চা ধারাকে সমুন্নত ও প্রতিষ্ঠিত করা।

মানবাধিকার, বাক ও ব্যক্তি স্বাধীনতা, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও সব ধর্মের সমমর্যাদা নিশ্চিত করা।

অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের মাধ্যমে বেকারত্ব ও দারিদ্র দূরীকরণ।

আন্তর্জাতিক বিশ্বের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে যুগোপযোগী প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা।

দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করা

দেশ পুনর্গঠনে নারীদের অংশগ্রহণ ও যথোপযুক্ত স্থানে যুক্ত করা, তৃণমূল থেকে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত সব কর্মক্ষেত্রে নারীদের সমঅধিকার সংরক্ষণ করা।

পরিবেশের সুরক্ষা ও আন্তর্জাতিক টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা।

যুব সমাজকে সৃজনশীল কাজে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।

প্রবাসী সুরক্ষা নীতিমালা প্রণয়ন, বিদেশে বাংলাদেশি শ্রমিকদের সব ধরনের সুরক্ষাসহ তাদের ভোটাধিকারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

দেশের স্বার্থে বলিষ্ঠ বৈদেশিক পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণ করা।

দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার ও বলিষ্ঠ পদক্ষেপ ও কার্যকরী ভূমিকা গ্রহণ করা।

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা। সাংবাদিক ও গণমাধ্যম কর্মীদের অধিকার নিশ্চিত করা ও তাদের সুরক্ষা প্রদানে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

কৃষক, শ্রমিক তথা মেহনতি মানুষের কল্যাণ এবং তাদের যথাযথ মূল্যায়ন ও প্রাপ্য অধিকার নিশ্চিত করা।

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত