চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

এজলাসের ভেতর সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুলের ওপর হামলা

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশ : ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ২০: ৫০
আপডেট : ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ২১: ১০

নারায়ণগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মাদরাসা ছাত্র সোলাইমান (১৯) হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে চারদিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।

সোমবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মঈনউদ্দিন কাদির রিমান্ড মঞ্জুর করেন। শুনানী শেষে আদালতের এজলাসের ভেতর বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের হামলার শিকার হয়েছেন সাবেক এই আইনমন্ত্রী। তারা তাকে কিল ঘুষি দেয়।

বিজ্ঞাপন

এর আগে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।

এসময় পুলিশ কোনোমতে বিএনপিপন্থি আইনজীবিদের রোষানল থেকে তাকে নিয়ে দৌড়ে প্রিজন ভ্যানে তোলেন। বিপুল সংখ্যক পুলিশ প্রিয়জন ভ্যান ঘিরে রাখেন। তখন ভ্যানের চারপাশে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা সাবেক আইনমন্ত্রীর ফাঁসি দাবি করে নানা স্লোগান দেন। পরে কড়া পুলিশ পাহারায় আনিসুল হককে নারায়ণগঞ্জ কারাগারে নিয়ে যাওযা হয়। এরআগে সকালে কড়া নিরাপত্তায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে কেরাণীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে নারায়ণগঞ্জের আদালতে আনা হয়। আদালতে রিমান্ড শুনানীর সময় বিএনপিপন্থি বিপুল সংখ্যক আইনজীবী এজলাসের ভেতর ও বাইরে অবস্থান নেয়। তারা আনিসুল হকের ফাঁসি দাবি করে নানা শ্লোগান দিতে থাকে।

কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মো. কাইউম খান জানান, সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় দায়ের হওয়া সোলাইমান হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে চারদিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।

পুলিশ জানায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলন চলাকালে গত ৫ আগস্ট দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ওপর গুলিবিদ্ধ হন ১৯ বছর বয়সী হাফেজ সোলাইমান। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথেই মৃতু্য হয়। এ ঘটনায় ২২ অগাস্ট সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করে মামলা করেন নিহত সোলাইমানের ভগ্নিপতি শামীম কবির। মামলায় আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী, ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামাল, মন্ত্রী দিপু মনি, আনিসুল হক, ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, সাবেক এমপি শামীম ওসমানসহ ৫১ জনকে আসামি করা হয়েছে।

বাদি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, গত বছরের ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন পণ্ড করার জন্য আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করে জনমনে আতঙ্ক তৈরি করেন।

ওই সময় আনিসুল হকের নির্দেশ পেয়ে আসামিরা সড়কে অবস্থানরত ছাত্র-জনতার ওপর ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ভীতির সৃষ্টি ও হাতে থাকা অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি করেন। তখন মাদরাসাছাত্র সোলাইমান গুলিবিদ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে মারা যান।

এমএস

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত