আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে দক্ষ পোলিং এজেন্ট প্রস্তুত করছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এরই অংশ ‘পোলিং এজেন্ট প্রশিক্ষকদের’ নিয়ে কর্মশালা করেছে দলটি। এতে প্রশিক্ষকদের বিশেষ দিক-নির্দেশনা দিলেন কেন্দ্রীয় নেতারা।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর মগবাজারে আল-ফালাহ মিলনায়তনে এই কর্মশালার আয়োজন করে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাচন বিভাগ।
দলের কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কর্মশালার শুরুতেই দারসুল কোরআন পেশ করেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম।
অনুষ্ঠানের প্রধান আলোচক হিসেবে সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের তার সমাপনী ভাষণে বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন এবং জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দেশবাসীর নিকট পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরেছে।
জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশকে একটি ন্যায়-ভিত্তিক ও জবাবদিহি-মূলক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্ররূপে গড়ে তুলতে চায়। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী পাঁচ দফা গণদাবি আদায়ের লক্ষ্যে গত ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে কর্মসূচি পালন করে আসছে।
তিনি আরও বলেন, পাঁচ দফা গণদাবি আদায়ের লক্ষ্যে জামায়াতে ইসলামী দ্বিতীয় ধাপে তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। ইতোমধ্যেই আমাদের এই পাঁচ দফা গণদাবি জনগণের কাছে ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। দেশের জনগণ এ দাবির প্রতি সমর্থন দিয়ে রাজপথে নেমে নিয়মতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন করে যাচ্ছে।
বর্তমান সরকারের উচিত অবিলম্বে জনগণের পাঁচ দফা দাবি মেনে নিয়ে জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান করা। সরকার যদি জনগণের যৌক্তিক দাবি উপেক্ষা করে এবং বিদ্যমান সমস্যার দ্রুত সমাধান না করে তাহলে দেশের জনগণ তাদের ন্যায্য দাবি আদায়ের জন্য কঠোর হতে বাধ্য হবে।
তিনি দ্বিতীয় দফায় জামায়াতে ইসলামী ঘোষিত তিন দিনের কর্মসূচিতে ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করে দাবি আদায় করার জন্য দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন।
কর্মশালায় বিভিন্ন বিষয়ের উপর দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নির্বাচন বিভাগের সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মো. ইজ্জত উল্লাহ এবং সদস্য মোবারক হোসাইন। ‘পোলিং এজেন্ট প্রশিক্ষক কর্মশালা’র ডেলিগেটরাও কর্মশালায় তাদের মূল্যবান বক্তব্য পেশ করেন।

