জাতিসংঘ ঘোষিত আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে দেশে-বিদেশে সকল নির্যাতিত মানুষের প্রতি গভীর সহমর্মিতা প্রকাশ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
মঙ্গলবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রুহুল কবীর রিজভীর মাধ্যমে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, বাংলাদেশসহ বিশ্বের কোথাও যেন ভবিষ্যতে আর কেউ মৌলিক মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত না হয়—সেজন্য মানবাধিকার রক্ষা প্রতিদিনের জন্য অপরিহার্য।
বিবৃতিতে তারেক রহমান উল্লেখ করেন, “১০ ডিসেম্বর মানবাধিকার দিবস—জাতিসংঘ ঘোষিত একটি আন্তর্জাতিক দিন। ২০২৫ সালের প্রতিপাদ্য ‘মানবাধিকার: আমাদের প্রতিদিনের জন্য অপরিহার্য।’ এই প্রতিপাদ্য স্মরণ করিয়ে দেয়, মানবাধিকার কোনো বিশেষ দিনের বিষয় নয়; প্রতিদিন মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে নজরদারি ও প্রতিকার প্রয়োজন।”
তিনি বলেন, গত দেড় দশকে দেশ ফ্যাসিবাদী শাসনের এক অন্ধকার সময় পার করেছে, যখন মানবাধিকার ‘সমাধিস্থ’ হয় এবং রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে গণতন্ত্রকে নিশ্চিহ্ন করা হয়। রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, ছাত্র, শ্রমিক থেকে সাধারণ মানুষ সবাই মিথ্যা মামলা, কারাবাস, নির্যাতন, গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি।
নাগরিক স্বাধীনতার সংগ্রামে যারা প্রাণ দিয়েছেন তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও নির্যাতিতদের প্রতি সহমর্মিতা জানান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, “আমরা এখন নতুন যাত্রায়—গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও মানবাধিকারের সুরক্ষার যাত্রা। ভবিষ্যতের রাষ্ট্রব্যবস্থা এমন হতে হবে যেখানে অধিকার সুরক্ষিত থাকবে এবং দারিদ্র্য হ্রাসকে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য হিসেবে বিবেচনা করা হবে।”
বিবৃতিতে বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলাকে “মানবাধিকার লঙ্ঘনের কলঙ্কজনক অধ্যায়” হিসেবে উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, দীর্ঘ কারাবাস ও বর্তমান শারীরিক অবস্থার মধ্যে দেশনেত্রীর প্রতি অন্যায় আচরণ জনগণকে মানবাধিকার রক্ষার সংগ্রামে আরও দৃঢ় করেছে।
তারেক রহমান আরও বলেন, “দেশের মানুষ এখন মানবাধিকার রক্ষার অঙ্গীকারে ঐক্যবদ্ধ। প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সকলে এগিয়ে আসতে হবে। মানবাধিকার দিবসে এটিই হোক আমাদের দৃঢ় অঙ্গীকার।”

